ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতের আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানের ওপর জোর

  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারিজনিত অর্থনৈতিক সঙ্কট, বেকারত্বের চাপ আর ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বৈষম্যও দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে পার্লামেন্টে আজ মঙ্গলবার বাজেট পেশ করলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার চতুর্থ বাজেট। বাজেট উপস্থাপনের আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এই বাজেট ভারতে আর্থিক উন্নয়নের বাজেট। আগে থেকেই অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, ভারতের আর্থিক সংস্কার করতে হলে শুধু শিল্পে নয়, কর্মসংস্থানেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে সে দেশে।
ভারতে কর্মসংস্থানের অভাব আর বাড়তে থাকা বেকারত্ব নিয়ে গত এক বছরে বহুবার কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন বিরোধীরা। দেশটির পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের কর্মসংস্থান এবং সর্বভারতীয় কর্মসংস্থানের হারের পরিসংখ্যানগত তুলনা টেনে কেন্দ্রের নিন্দা করেছেন। আজকের কেন্দ্রীয় বাজেটে দেখা গেল, সেই খামতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করেছে। উন্নত করা হচ্ছে পর্যটন, রেল-সহ একাধিক পরিষেবা। আগামী পাঁচ বছরে এইসব ক্ষেত্রে এবং আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে ৬০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। চাকরি পাবেন ভারতে বেকাররা। তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলবে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তি হাব তৈরি করা হবে। নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই ওই হাব তৈরি করবে। এ ছাড়াও ভারতে ২৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত জাতীয় সড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়ে বিস্তার করা হচ্ছে। চালু হতে চলেছে ১১টি নতুন মেট্রোলাইন। তবে ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে বেতনভূক মধ্যবিত্তের করছাড়ের ক্ষেত্রে কোনো নতুন ঘোষণা দেননি অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, আয়করের ধাপ (স্ল্যাব) একই থাকছে। কেন্দ্রীয় বাজেটে শিল্পের বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর বাড়ানো হয়েছে। শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। ফলে করের বোঝা কমে সস্তা হয়েছে কিছু জিনিস। একই ভাবে দাম বেড়েছে বেশ কিছু দ্রব্যের। পোশাক, গহনা, চামড়াজাত পণ্য, কৃসিপণ্যের দাম কমানো হয়েছে। তবে স্টিলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানের ওপর জোর

আপডেট সময় : ১২:০৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারিজনিত অর্থনৈতিক সঙ্কট, বেকারত্বের চাপ আর ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বৈষম্যও দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে পার্লামেন্টে আজ মঙ্গলবার বাজেট পেশ করলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার চতুর্থ বাজেট। বাজেট উপস্থাপনের আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এই বাজেট ভারতে আর্থিক উন্নয়নের বাজেট। আগে থেকেই অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, ভারতের আর্থিক সংস্কার করতে হলে শুধু শিল্পে নয়, কর্মসংস্থানেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে সে দেশে।
ভারতে কর্মসংস্থানের অভাব আর বাড়তে থাকা বেকারত্ব নিয়ে গত এক বছরে বহুবার কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন বিরোধীরা। দেশটির পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের কর্মসংস্থান এবং সর্বভারতীয় কর্মসংস্থানের হারের পরিসংখ্যানগত তুলনা টেনে কেন্দ্রের নিন্দা করেছেন। আজকের কেন্দ্রীয় বাজেটে দেখা গেল, সেই খামতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করেছে। উন্নত করা হচ্ছে পর্যটন, রেল-সহ একাধিক পরিষেবা। আগামী পাঁচ বছরে এইসব ক্ষেত্রে এবং আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে ৬০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। চাকরি পাবেন ভারতে বেকাররা। তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলবে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তি হাব তৈরি করা হবে। নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই ওই হাব তৈরি করবে। এ ছাড়াও ভারতে ২৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত জাতীয় সড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়ে বিস্তার করা হচ্ছে। চালু হতে চলেছে ১১টি নতুন মেট্রোলাইন। তবে ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে বেতনভূক মধ্যবিত্তের করছাড়ের ক্ষেত্রে কোনো নতুন ঘোষণা দেননি অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, আয়করের ধাপ (স্ল্যাব) একই থাকছে। কেন্দ্রীয় বাজেটে শিল্পের বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর বাড়ানো হয়েছে। শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। ফলে করের বোঝা কমে সস্তা হয়েছে কিছু জিনিস। একই ভাবে দাম বেড়েছে বেশ কিছু দ্রব্যের। পোশাক, গহনা, চামড়াজাত পণ্য, কৃসিপণ্যের দাম কমানো হয়েছে। তবে স্টিলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।