ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ

  • আপডেট সময় : ০২:২২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভারত থেকে চাল আমদানির সময়সীমা শনিবার শেষ হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গতকাল রোববার থেকে ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতে অনেক চালের ট্রাক সিরিয়ালে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত ২৫ আগস্ট ৪০০ জন আমদানিকারককে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ছিল সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল। মোটা চাল প্রতি মেট্রিক টন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতি মেট্রিক টন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে প্রতিবছর চালের চাহিদা রয়েছে দুই কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন। আর দেশে চাল উৎপাদন হয় বছরে গড়ে সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে। সূত্র মতে, ২০১৯ সালে দেশে চাল উৎপাদন হয় তিন কোটি ৬৫ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০ সালে তিন কোটি ৭৪ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে তিন কোটি ৭৮ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়। তবে বৈরি আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাঝে মধ্যে দেশে চাল আমদানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কিছু আমদানিকারকেরা সারা বছর ধরে চাল আমদানি করেন। এতে ভরা মৌসুমে চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হন। এ অবস্থায় সরকার চাহিদা মতো চাল আনতে আমদানিকারকদের তালিকা ও চাল আমদানির পরিমাণ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। আমদানিকারক মোশাররফ হোসেন জানান, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে আর চাল আমদানি করা যাবে না। তবে এখনও প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতে চালের ট্রাক সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। আমদানিকারক আলাউদ্দীন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া মোটা চাল প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং চিকন চাল ৫২ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ থাকলেও কয়েকজন ব্যবসায়ীর চালের ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ

আপডেট সময় : ০২:২২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভারত থেকে চাল আমদানির সময়সীমা শনিবার শেষ হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গতকাল রোববার থেকে ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতে অনেক চালের ট্রাক সিরিয়ালে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত ২৫ আগস্ট ৪০০ জন আমদানিকারককে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ছিল সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল। মোটা চাল প্রতি মেট্রিক টন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতি মেট্রিক টন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে প্রতিবছর চালের চাহিদা রয়েছে দুই কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন। আর দেশে চাল উৎপাদন হয় বছরে গড়ে সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে। সূত্র মতে, ২০১৯ সালে দেশে চাল উৎপাদন হয় তিন কোটি ৬৫ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০ সালে তিন কোটি ৭৪ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে তিন কোটি ৭৮ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়। তবে বৈরি আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাঝে মধ্যে দেশে চাল আমদানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কিছু আমদানিকারকেরা সারা বছর ধরে চাল আমদানি করেন। এতে ভরা মৌসুমে চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হন। এ অবস্থায় সরকার চাহিদা মতো চাল আনতে আমদানিকারকদের তালিকা ও চাল আমদানির পরিমাণ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। আমদানিকারক মোশাররফ হোসেন জানান, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে আর চাল আমদানি করা যাবে না। তবে এখনও প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতে চালের ট্রাক সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। আমদানিকারক আলাউদ্দীন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া মোটা চাল প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং চিকন চাল ৫২ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ থাকলেও কয়েকজন ব্যবসায়ীর চালের ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।