ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ভারতীয় সেই সখিনা বেগমের জামিন

  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনুপ্রবেশের মামলায় ভারতীয় নারী সখিনা বেগমকে (৬৮) জামিন দিয়েছেন আদালত।রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এ নির্দেশ দেন।

প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই সুবীর কুমার ঘোষ জানান, সখিনা বেগম যে বাসায় ছিলেন ওই বাসার লোকদের জিম্মায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

সখিনা বেগমের পক্ষে অ্যাডভোকেট রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘মামলাটি জামিনযোগ্য ধারা। সখিনা বেগম ইচ্ছে করে এদেশে আসেননি। জোর করে (পুশ ইন) তাকে পাঠানো হয়েছে। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’ শুনানি নিয়ে আদালত সখিনা বেগমকে আশ্রয় দেওয়া ক্লান্তি আক্তার, তার মা মোছা. জাকিয়া এবং খালা ময়না আক্তারের জিম্মায় জামিনের আদেশ দেন।

শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক জানান, সখিনা বেগমের কারামুক্তিতে আরো কোন বাধা নেই। আশা করছি, আগামীকাল সোমবারই তিনি কারামুক্ত হবেন।

এদিন শুনানিকালে সখিনা বেগমকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

সখিনা বেগমকে আশ্রয় দেওয়া ক্লান্তি আক্তার সংবাদমাধ্যমকে জানান, এর আগে চার দফা জামিন শুনানিতে এসেছিলাম। কিন্তু জামিন হয়নি। আজ জামিন হয়েছে। খুব আনন্দ হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যতদিন তিনি দেশে ফিরতে না পারবেন আমাদের কাছেই থাকবেন। তিনিও দেশে ফিরতে চান। সরকারকে অনুরোধ করবো, তাকে যেন দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেয়।’

আসামের নলবাড়ী জেলার বরকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সখিনা বেগমকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার ভাসানটেক পুলিশ তুলে নেয়।

পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়। তবে মামলায় তার নাম ‘সখিনা’ লেখা হয়। এরপ তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর কয়েক দফা জামিন আবেদন করলে তা নাকচ হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সখিনাকে ভাসানটেক থানার টিনশেড টেকপাড়া গলির মাথায় পাওয়া যায়। জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নিজেকে ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেন।

এসি/আপ্র/২৩/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতীয় সেই সখিনা বেগমের জামিন

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনুপ্রবেশের মামলায় ভারতীয় নারী সখিনা বেগমকে (৬৮) জামিন দিয়েছেন আদালত।রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এ নির্দেশ দেন।

প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই সুবীর কুমার ঘোষ জানান, সখিনা বেগম যে বাসায় ছিলেন ওই বাসার লোকদের জিম্মায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

সখিনা বেগমের পক্ষে অ্যাডভোকেট রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘মামলাটি জামিনযোগ্য ধারা। সখিনা বেগম ইচ্ছে করে এদেশে আসেননি। জোর করে (পুশ ইন) তাকে পাঠানো হয়েছে। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’ শুনানি নিয়ে আদালত সখিনা বেগমকে আশ্রয় দেওয়া ক্লান্তি আক্তার, তার মা মোছা. জাকিয়া এবং খালা ময়না আক্তারের জিম্মায় জামিনের আদেশ দেন।

শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক জানান, সখিনা বেগমের কারামুক্তিতে আরো কোন বাধা নেই। আশা করছি, আগামীকাল সোমবারই তিনি কারামুক্ত হবেন।

এদিন শুনানিকালে সখিনা বেগমকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

সখিনা বেগমকে আশ্রয় দেওয়া ক্লান্তি আক্তার সংবাদমাধ্যমকে জানান, এর আগে চার দফা জামিন শুনানিতে এসেছিলাম। কিন্তু জামিন হয়নি। আজ জামিন হয়েছে। খুব আনন্দ হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যতদিন তিনি দেশে ফিরতে না পারবেন আমাদের কাছেই থাকবেন। তিনিও দেশে ফিরতে চান। সরকারকে অনুরোধ করবো, তাকে যেন দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেয়।’

আসামের নলবাড়ী জেলার বরকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সখিনা বেগমকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার ভাসানটেক পুলিশ তুলে নেয়।

পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়। তবে মামলায় তার নাম ‘সখিনা’ লেখা হয়। এরপ তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর কয়েক দফা জামিন আবেদন করলে তা নাকচ হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সখিনাকে ভাসানটেক থানার টিনশেড টেকপাড়া গলির মাথায় পাওয়া যায়। জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নিজেকে ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেন।

এসি/আপ্র/২৩/১১/২০২৫