ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

ভারতকে লজ্জার রেকর্ডে ডুবিয়ে হোয়াইটওয়াশ করল দ. আফ্রিকা

  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে আরো একবার বিব্রতকর পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের মাত্র ১৪০ রানে অলআউট করে ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। একইসঙ্গে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করল সফরকারীরা।

কেশব মহারাজের বল সপাটে বাউন্ডারি ছাড়া করতে চাইলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ক্রিজে তখন ভারতের শেষ জুটি। কোনো ধরনের প্রতিরোধ না গড়ে মারমুখী সিরাজ। মিড অন থেকে প্রাণপণে বল ধরার জন্য দৌড় দিলেন মার্কো জানসেন। বল হাতে নিয়ে পড়ে গেলেন, তবে হাতে থাকল বল। তার দিকে দৌড়ে এলেন সতীর্থ, টেম্বা বাভুমার যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না এমন ক্যাচ নেওয়া যায়! এই অবিশ্বাস্য ক্যাচে ভারতকে ১৪০ রানে অলআউট করে ৪০৮ রানে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের মাটিতে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জয়।

টানা দুই টেস্ট ম্যাচে! ২-০ তে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয়বার সিরিজ জিতল তারা। প্রথমবার হ্যান্সি ক্রনিয়ের অধীনে ২০০০ সালে এমন সাফল্য পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। ২৫ বছর পর তার সঙ্গে যোগ দিলেন বাভুমা।

৫৪৯ রানের অসম্ভব লক্ষ্য ছিল ভারতের সামনে। তবে জয় নয়, ড্র করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। অন্তত হোয়াইটওয়াশ এড়ানো যেত। শেষ দিন ৮ উইকেট ছিল তাদের হাতে। ২ উইকেটে ২৭ রানে আজ (বুধবার) খেলা শুরু করেছিল ভারত।

সিমন হারমার প্রথম সেশনের মাঝামাঝি সময়ে জোড়া আঘাত হানলেন। এক ওভারে কুলদীপ যাদব ও ধ্রুব জুরেল বিদায় নিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার এরপর ঋশাভ পান্তকে মাঠছাড়া করে ভারতকে প্রতিরোধ গড়ার আগেই ভেঙে দেন।

সাই সুদর্শন ও রবীন্দ্র জাদেজার কঠিন প্রতিরোধে ভারত ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা জাগায়। প্রথম সেশন শেষে ১৩৮ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সুদর্শন। আর ৪০ বলে ২৩ রানে টিকে ছিলেন জাদেজা।

দ্বিতীয় সেশনের পঞ্চম বলেই এই জুটি ভেঙে যায়। সেনুরান মুথুসামির বলে এজ হয়ে এইডেন মারক্রামকে ক্যাচ দেন সুদর্শন। ১৩৯ বলে ১৪ রানে ফেরেন তিনি।

ওয়াশিংটন সুন্দর ও জাদেজা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচ বাঁচানোর। হারমারের বলে মারক্রামকে ক্যাচ দেন ওয়াশিংটন। তার ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডার। মারক্রাম এক টেস্ট ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ ক্যাচ নিয়ে ছাড়িয়ে যান ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজিঙ্কা রাহানের গড়া কীর্তিকে। এটি ছিল হারমারের পঞ্চম উইকেট।

পরের ওভারে প্রোটিয়া স্পিনারের ষষ্ঠ শিকার হন নিতিশ রেড্ডি। কাইল ভেরেইন্নার ক্যাচ হন তিনি।

জাদেজা ফিফটি গড়ে একাই লড়ছিলেন। তবে টিকতে পারেননি। বাকি দুটি উইকেট ভারত হারিয়েছে পরের ওভারে। মহারাজের জোড়া শিকার হন জাদেজা (৫৪) ও সিরাজ।

হারমার ২৩ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ছয় উইকেট নেন। ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

এসি/আপ্র/২৬/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতকে লজ্জার রেকর্ডে ডুবিয়ে হোয়াইটওয়াশ করল দ. আফ্রিকা

আপডেট সময় : ০১:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে আরো একবার বিব্রতকর পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের মাত্র ১৪০ রানে অলআউট করে ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। একইসঙ্গে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করল সফরকারীরা।

কেশব মহারাজের বল সপাটে বাউন্ডারি ছাড়া করতে চাইলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ক্রিজে তখন ভারতের শেষ জুটি। কোনো ধরনের প্রতিরোধ না গড়ে মারমুখী সিরাজ। মিড অন থেকে প্রাণপণে বল ধরার জন্য দৌড় দিলেন মার্কো জানসেন। বল হাতে নিয়ে পড়ে গেলেন, তবে হাতে থাকল বল। তার দিকে দৌড়ে এলেন সতীর্থ, টেম্বা বাভুমার যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না এমন ক্যাচ নেওয়া যায়! এই অবিশ্বাস্য ক্যাচে ভারতকে ১৪০ রানে অলআউট করে ৪০৮ রানে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের মাটিতে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জয়।

টানা দুই টেস্ট ম্যাচে! ২-০ তে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয়বার সিরিজ জিতল তারা। প্রথমবার হ্যান্সি ক্রনিয়ের অধীনে ২০০০ সালে এমন সাফল্য পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। ২৫ বছর পর তার সঙ্গে যোগ দিলেন বাভুমা।

৫৪৯ রানের অসম্ভব লক্ষ্য ছিল ভারতের সামনে। তবে জয় নয়, ড্র করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। অন্তত হোয়াইটওয়াশ এড়ানো যেত। শেষ দিন ৮ উইকেট ছিল তাদের হাতে। ২ উইকেটে ২৭ রানে আজ (বুধবার) খেলা শুরু করেছিল ভারত।

সিমন হারমার প্রথম সেশনের মাঝামাঝি সময়ে জোড়া আঘাত হানলেন। এক ওভারে কুলদীপ যাদব ও ধ্রুব জুরেল বিদায় নিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার এরপর ঋশাভ পান্তকে মাঠছাড়া করে ভারতকে প্রতিরোধ গড়ার আগেই ভেঙে দেন।

সাই সুদর্শন ও রবীন্দ্র জাদেজার কঠিন প্রতিরোধে ভারত ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা জাগায়। প্রথম সেশন শেষে ১৩৮ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সুদর্শন। আর ৪০ বলে ২৩ রানে টিকে ছিলেন জাদেজা।

দ্বিতীয় সেশনের পঞ্চম বলেই এই জুটি ভেঙে যায়। সেনুরান মুথুসামির বলে এজ হয়ে এইডেন মারক্রামকে ক্যাচ দেন সুদর্শন। ১৩৯ বলে ১৪ রানে ফেরেন তিনি।

ওয়াশিংটন সুন্দর ও জাদেজা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচ বাঁচানোর। হারমারের বলে মারক্রামকে ক্যাচ দেন ওয়াশিংটন। তার ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডার। মারক্রাম এক টেস্ট ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ ক্যাচ নিয়ে ছাড়িয়ে যান ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজিঙ্কা রাহানের গড়া কীর্তিকে। এটি ছিল হারমারের পঞ্চম উইকেট।

পরের ওভারে প্রোটিয়া স্পিনারের ষষ্ঠ শিকার হন নিতিশ রেড্ডি। কাইল ভেরেইন্নার ক্যাচ হন তিনি।

জাদেজা ফিফটি গড়ে একাই লড়ছিলেন। তবে টিকতে পারেননি। বাকি দুটি উইকেট ভারত হারিয়েছে পরের ওভারে। মহারাজের জোড়া শিকার হন জাদেজা (৫৪) ও সিরাজ।

হারমার ২৩ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ছয় উইকেট নেন। ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

এসি/আপ্র/২৬/১১/২০২৫