ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ভারতকে দেওয়া জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ বাতিলের খবর

  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

গার্ডেন রীচ শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের কারখানা- ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতির মধ্যে ভারতকে দেওয়া ২১ মিলিয়ন ডলারের টাগ বোট নির্মাণের কার্যাদেশ বাংলাদেশ বাতিল করেছে বলে খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, গত বছরের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৮০০ টন ওজনের একটি সমুদ্রগামী অত্যাধুনিক টাগ বোট নির্মাণের কথা ছিল কলকাতাভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি গার্ডেন রীচ শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের।

বাতিল হওয়া চুক্তিতে ৬১ মিটার দৈর্ঘ্যের টাগ বোটের নকশা, নির্মাণ এবং ২৪ মাসের মধ্যে সরবরাহের বিষয় ছিল। পূর্ণবোঝাই অবস্থায় এই টাগ জাহাজের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩ নট (প্রায় ২৪ কিমি/ঘণ্টা) হওয়ার কথা ছিল। ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ২০২৩ সালে কার্যকর হওয়া ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ঋণের অধীনে এটাই ছিল প্রথম বড় চুক্তি। গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকায় প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরের নৌবাহিনী উইং ও গার্ডেন রীচ শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের মধ্যে এই চুক্তি হয়। চুক্তি বাতিলের খবরের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানার চেষ্টা করছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠির বাংলাদেশে চার দিনের সফরের সময় এই চুক্তি হয়েছিল, যেখানে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করা এবং সামুদ্রিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের কথা বলা হয়েছিল। গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।

কয়েক বছর আগে প্রথমবারের মতো চীন থেকে ডিজেল চালিত ইলেকট্রিক সাবমেরিন সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বেইজিংয়ের কৌশলগত প্রভাব বৃদ্ধির বিপরীতে এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করেছিল ভারত।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এই বছরের শুরুতেই বলেছিলেন, ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরকে ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে এবং উভয় দেশের মধ্যে কোনো ধরনের ‘শত্রুতা’ কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

ভারতকে দেওয়া জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ বাতিলের খবর

আপডেট সময় : ০৯:২৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতির মধ্যে ভারতকে দেওয়া ২১ মিলিয়ন ডলারের টাগ বোট নির্মাণের কার্যাদেশ বাংলাদেশ বাতিল করেছে বলে খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, গত বছরের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৮০০ টন ওজনের একটি সমুদ্রগামী অত্যাধুনিক টাগ বোট নির্মাণের কথা ছিল কলকাতাভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি গার্ডেন রীচ শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের।

বাতিল হওয়া চুক্তিতে ৬১ মিটার দৈর্ঘ্যের টাগ বোটের নকশা, নির্মাণ এবং ২৪ মাসের মধ্যে সরবরাহের বিষয় ছিল। পূর্ণবোঝাই অবস্থায় এই টাগ জাহাজের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩ নট (প্রায় ২৪ কিমি/ঘণ্টা) হওয়ার কথা ছিল। ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ২০২৩ সালে কার্যকর হওয়া ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ঋণের অধীনে এটাই ছিল প্রথম বড় চুক্তি। গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকায় প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরের নৌবাহিনী উইং ও গার্ডেন রীচ শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের মধ্যে এই চুক্তি হয়। চুক্তি বাতিলের খবরের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানার চেষ্টা করছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠির বাংলাদেশে চার দিনের সফরের সময় এই চুক্তি হয়েছিল, যেখানে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করা এবং সামুদ্রিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের কথা বলা হয়েছিল। গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।

কয়েক বছর আগে প্রথমবারের মতো চীন থেকে ডিজেল চালিত ইলেকট্রিক সাবমেরিন সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বেইজিংয়ের কৌশলগত প্রভাব বৃদ্ধির বিপরীতে এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করেছিল ভারত।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এই বছরের শুরুতেই বলেছিলেন, ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরকে ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে এবং উভয় দেশের মধ্যে কোনো ধরনের ‘শত্রুতা’ কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।