ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
বাণিজ্য স্থগিত, আকাশপথ বন্ধ

ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বাণিজ্য স্থগিত, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধানসহ দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খবর ডনের। পাকিস্তান সরকার জানায়, ভারতের ২৩ এপ্রিলের পদক্ষেপগুলোকে একতরফা, আইনবিরোধী ও আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি অশ্রদ্ধা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করাকে তারা ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ বলে উল্লেখ করে। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তান জানায়, পানি পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থ। দেশের ২৪ কোটির বেশি মানুষের জীবনজীবিকা পানি নির্ভর।

কেউ তা বন্ধ বা অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে তা যুদ্ধের সমতুল্য বিবেচনা করে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়া হবে। এনএসসির বৈঠকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো হলো- ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি সাময়িক স্থগিত; ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা বাতিল, তবে শুধুমাত্র শিখ তীর্থযাত্রীদের ব্যতিক্রম; ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা- ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভারত থেকে আগতদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ; ভারতে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পারসনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা; ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা ত্রিশে নামিয়ে আনা; ভারতীয় এয়ারলাইনের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ ও ভারতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের বাণিজ্য স্থগিত। পাশাপাশি পাকিস্তান সরকার ভারতের মিডিয়ার ‘উস্কানিমূলক ও যুদ্ধবাজ’ মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করেছে। এ ধরনের প্রচারকে ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ বলে আখ্যাও দিয়েছে দেশটি।

পানি আটকানো যুদ্ধ ঘোষণার শামিল
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) ভারতের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত পানির প্রবাহ ভারতে যদি একতরফাভাবে বন্ধ বা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, তবে সেটিকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এতে বলা হয়, ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তে সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিল আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি ও দায়িত্ব লঙ্ঘনের শামিল। এই পানি পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষের জীবনরেখা উল্লেখ করে এনএসসি জানায়, এই অধিকার রক্ষায় তারা সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। যদি পাকিস্তানের অধিকারের পানি আটকে রাখা বা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, তা যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে।’ কাশ্মীরের অনন্তনাগে গত মঙ্গলবার প্রাণঘাতী হামলায় এক নেপালি নাগরিকসহ ২৬ জন নিহত হন। এর পরপরই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে’ সহায়তার অভিযোগ তুলে একগুচ্ছ কঠোর পদক্ষেপ নেয় ভারত। দেশটির সবচেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ছিল ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করা। এ চুক্তি এতদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ ও উত্তেজনার মধ্যেও বহাল ছিল।
পাকিস্তানের পাল্টা ব্যবস্থা
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে:
– পানি আটকানোকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বিবেচনা
– ওয়াঘা সীমান্ত ভারতের জন্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
– সার্ক ভিসা ছাড়ের আওতায় থাকা ভারতীয় নাগরিকদের ছাড় অবিলম্বে বাতিল
– পাকিস্তানে অবস্থানরত সব ভারতীয়কে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ
– ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা
– ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মী সংখ্যা ৩০ জনে নামিয়ে আনা হচ্ছে
– পাকিস্তানের আকাশসীমা এখন থেকে ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য বন্ধ
– সব ধরনের বাণিজ্যিক লেনদেন স্থগিত, তৃতীয় দেশের মাধ্যমে যেসব লেনদেন হতো তাও বন্ধ
এনএসসি আরও জানিয়েছে, ভারতের আগ্রাসী আচরণের জবাবে পাকিস্তান পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। তাদের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবেলার জন্য তৈরি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তি শুধু ভারত-পাকিস্তান নয়,এতে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য পক্ষও জড়িত। তাই ভারত একতরফাভাবে এটি বাতিল করতে পারে না। তিনি আরও দাবি করেন, পহেলগামের হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো যোগসূত্র নেই। ‘এটি ভারতের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। ভারতজুড়ে একাধিক রাজ্যে বিদ্রোহ চলছে নাগাল্যান্ড, ছত্তিশগড়, মণিপুর থেকে শুরু করে কাশ্মীর পর্যন্ত। এটি তাদের নিজস্ব সমস্যা, বলেন আসিফ। সূত্র: জিও নিউজ

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাণিজ্য স্থগিত, আকাশপথ বন্ধ

ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

আপডেট সময় : ০৮:১৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বাণিজ্য স্থগিত, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধানসহ দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খবর ডনের। পাকিস্তান সরকার জানায়, ভারতের ২৩ এপ্রিলের পদক্ষেপগুলোকে একতরফা, আইনবিরোধী ও আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি অশ্রদ্ধা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করাকে তারা ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ বলে উল্লেখ করে। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তান জানায়, পানি পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থ। দেশের ২৪ কোটির বেশি মানুষের জীবনজীবিকা পানি নির্ভর।

কেউ তা বন্ধ বা অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে তা যুদ্ধের সমতুল্য বিবেচনা করে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়া হবে। এনএসসির বৈঠকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো হলো- ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি সাময়িক স্থগিত; ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা বাতিল, তবে শুধুমাত্র শিখ তীর্থযাত্রীদের ব্যতিক্রম; ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা- ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভারত থেকে আগতদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ; ভারতে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পারসনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা; ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা ত্রিশে নামিয়ে আনা; ভারতীয় এয়ারলাইনের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ ও ভারতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের বাণিজ্য স্থগিত। পাশাপাশি পাকিস্তান সরকার ভারতের মিডিয়ার ‘উস্কানিমূলক ও যুদ্ধবাজ’ মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করেছে। এ ধরনের প্রচারকে ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ বলে আখ্যাও দিয়েছে দেশটি।

পানি আটকানো যুদ্ধ ঘোষণার শামিল
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) ভারতের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত পানির প্রবাহ ভারতে যদি একতরফাভাবে বন্ধ বা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, তবে সেটিকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এতে বলা হয়, ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তে সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিল আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি ও দায়িত্ব লঙ্ঘনের শামিল। এই পানি পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষের জীবনরেখা উল্লেখ করে এনএসসি জানায়, এই অধিকার রক্ষায় তারা সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। যদি পাকিস্তানের অধিকারের পানি আটকে রাখা বা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, তা যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে।’ কাশ্মীরের অনন্তনাগে গত মঙ্গলবার প্রাণঘাতী হামলায় এক নেপালি নাগরিকসহ ২৬ জন নিহত হন। এর পরপরই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে’ সহায়তার অভিযোগ তুলে একগুচ্ছ কঠোর পদক্ষেপ নেয় ভারত। দেশটির সবচেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ছিল ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করা। এ চুক্তি এতদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ ও উত্তেজনার মধ্যেও বহাল ছিল।
পাকিস্তানের পাল্টা ব্যবস্থা
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে:
– পানি আটকানোকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বিবেচনা
– ওয়াঘা সীমান্ত ভারতের জন্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
– সার্ক ভিসা ছাড়ের আওতায় থাকা ভারতীয় নাগরিকদের ছাড় অবিলম্বে বাতিল
– পাকিস্তানে অবস্থানরত সব ভারতীয়কে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ
– ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা
– ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মী সংখ্যা ৩০ জনে নামিয়ে আনা হচ্ছে
– পাকিস্তানের আকাশসীমা এখন থেকে ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য বন্ধ
– সব ধরনের বাণিজ্যিক লেনদেন স্থগিত, তৃতীয় দেশের মাধ্যমে যেসব লেনদেন হতো তাও বন্ধ
এনএসসি আরও জানিয়েছে, ভারতের আগ্রাসী আচরণের জবাবে পাকিস্তান পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। তাদের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবেলার জন্য তৈরি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তি শুধু ভারত-পাকিস্তান নয়,এতে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য পক্ষও জড়িত। তাই ভারত একতরফাভাবে এটি বাতিল করতে পারে না। তিনি আরও দাবি করেন, পহেলগামের হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো যোগসূত্র নেই। ‘এটি ভারতের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। ভারতজুড়ে একাধিক রাজ্যে বিদ্রোহ চলছে নাগাল্যান্ড, ছত্তিশগড়, মণিপুর থেকে শুরু করে কাশ্মীর পর্যন্ত। এটি তাদের নিজস্ব সমস্যা, বলেন আসিফ। সূত্র: জিও নিউজ