ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভাবটা এমন যেন রাজার হুকুম মতো চলবে দেশ: মির্জা আব্বাস

  • আপডেট সময় : ০১:০২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : যখন তখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কমানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে নেওয়ার সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, হঠাৎ করে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় দেয়া হলো। বিদ্যুৎ মন্ত্রী বললেন মাসে-মাসে সমন্বয় করা হবে। ভাবটা এরকম যেন এটা কারো একটা রাজত্ব। রাজার হুকুম মতো দেশ চলবে। তিনি বলেন, এটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। কারও রাজতন্ত্র নয়। তবে এখনতো কোনো সরকার নাই। একটা অবৈধ দানব আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। এই দানবকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় বিএনপির এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয়। এর আগে দুপুর ১টা থেকেই নেতাকর্মীরা কমলাপুর এলাকায় এসে জড়ো হতে থাকেন। কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয়ে খিলগাঁও মোড় হয়ে মালিবাগ বাজারের সামনে গিয়ে এই পদযাত্রা শেষ হবে। মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বলি নাই আমাদের মন্ত্রীত্ব দেন, বিএনপির জন্য গদি ছেড়ে দেন। আমরা জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলছি। আজকে আমাদের এই পদযাত্রা জনগণের দাবি নিয়ে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যদি চিৎকার করি আওয়ামী লীগ ভয় পায়। নিরব থাকলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়। বিএনপির পদযাত্রায় আজকে যে রাস্তা প্রকম্পিত হচ্ছে, সেই কারণে তারা ভয় পেয়ে গেছে। তিনি বলেন, পুলিশ আজ মাইকে ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে মাইকে ডাকতেছে, কেন্দ্রে ভোটার নয়, কুকুর দেখা যাচ্ছে। কারণ, জনগণ এই প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করেছে। আব্বাস বলেন, এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের পতন যাত্রা। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায়। আজকে আমি মুগদা থেকে হেঁটে আসলাম।রাস্তায় মানুষের উপস্থিতির কারণে সুই ফেলারও যায়গা নেই। বিএনপির এই নেতা বলেন, এ দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। কিন্তু তারা প্রয়োজনে এমন শক্ত হয় তখন তাদের মতো আর কেউ নেই। এই সরকারকে এখন মানুষ বিশ্বাস করে না। হাসিনা সরকার আগে বলেছে ঘরে ঘরে চাকরি। এখন দিচ্ছেন উপদেশ, ব্যবসা করেন। পদযাত্রা কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায় আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। পদযাত্রায় আরো কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ডা. রফিকুল ইসলাম, নবী উল্লাহ নবী, কাজী আবুল বাশার, লিটন মাহমুদ, রবিন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। এর আগে গত শনিবার রাজধানীর বাড্ডা থেকে রামপুরা হয়ে মালিবাগ হোটেল পর্যন্ত প্রথম পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। এরপর সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে শ্যামপুর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্ত্বর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভাবটা এমন যেন রাজার হুকুম মতো চলবে দেশ: মির্জা আব্বাস

আপডেট সময় : ০১:০২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : যখন তখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কমানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে নেওয়ার সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, হঠাৎ করে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় দেয়া হলো। বিদ্যুৎ মন্ত্রী বললেন মাসে-মাসে সমন্বয় করা হবে। ভাবটা এরকম যেন এটা কারো একটা রাজত্ব। রাজার হুকুম মতো দেশ চলবে। তিনি বলেন, এটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। কারও রাজতন্ত্র নয়। তবে এখনতো কোনো সরকার নাই। একটা অবৈধ দানব আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। এই দানবকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় বিএনপির এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয়। এর আগে দুপুর ১টা থেকেই নেতাকর্মীরা কমলাপুর এলাকায় এসে জড়ো হতে থাকেন। কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয়ে খিলগাঁও মোড় হয়ে মালিবাগ বাজারের সামনে গিয়ে এই পদযাত্রা শেষ হবে। মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বলি নাই আমাদের মন্ত্রীত্ব দেন, বিএনপির জন্য গদি ছেড়ে দেন। আমরা জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলছি। আজকে আমাদের এই পদযাত্রা জনগণের দাবি নিয়ে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যদি চিৎকার করি আওয়ামী লীগ ভয় পায়। নিরব থাকলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়। বিএনপির পদযাত্রায় আজকে যে রাস্তা প্রকম্পিত হচ্ছে, সেই কারণে তারা ভয় পেয়ে গেছে। তিনি বলেন, পুলিশ আজ মাইকে ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে মাইকে ডাকতেছে, কেন্দ্রে ভোটার নয়, কুকুর দেখা যাচ্ছে। কারণ, জনগণ এই প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করেছে। আব্বাস বলেন, এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের পতন যাত্রা। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায়। আজকে আমি মুগদা থেকে হেঁটে আসলাম।রাস্তায় মানুষের উপস্থিতির কারণে সুই ফেলারও যায়গা নেই। বিএনপির এই নেতা বলেন, এ দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। কিন্তু তারা প্রয়োজনে এমন শক্ত হয় তখন তাদের মতো আর কেউ নেই। এই সরকারকে এখন মানুষ বিশ্বাস করে না। হাসিনা সরকার আগে বলেছে ঘরে ঘরে চাকরি। এখন দিচ্ছেন উপদেশ, ব্যবসা করেন। পদযাত্রা কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায় আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। পদযাত্রায় আরো কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ডা. রফিকুল ইসলাম, নবী উল্লাহ নবী, কাজী আবুল বাশার, লিটন মাহমুদ, রবিন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। এর আগে গত শনিবার রাজধানীর বাড্ডা থেকে রামপুরা হয়ে মালিবাগ হোটেল পর্যন্ত প্রথম পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। এরপর সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে শ্যামপুর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্ত্বর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।