ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

ভাত খেয়েও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রিত

  • আপডেট সময় : ১০:১১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীরের ওজন কমাতে অনেকেই প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরানো কিংবা ওজন কমানোর দিকে নজর দিলেই সবার আগে খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ে ভাত। কিন্তু কিছুতেই ভাত খাওয়া ছাড়তে পারছেন না। ভাত খেলে মেদ জমার যে ধারণা রয়েছে সেটিও ঠিক নয়। ভাত যদি নিয়ম মেনে খাওয়া যায়, তাহলে তা থেকে শরীরে মেদ জমে না তেমন।
পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতের মধ্যে সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, গ্লুটেন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। চর্বি থাকেই না প্রায়। বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট, যা খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না। বরং থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা স্টার্চ, শরীরকে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা। ফাইবারের উপস্থিতিও পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন-সুগার-রক্তচাপ বশে রাখতে যার ভূমিকা আছে।
গবেষণা বলছে দু-বেলা ভাত খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব। শুধু কয়েকটা নিয়ম মানলেই কেল্লাফতে। তাহলেই আর বাদ দিতে হবে না ভাত। জেনে নেওয়া যাক নিয়মগুলো। ডায়েটে একটা নির্দিষ্ট মাপের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে খাওয়া। সেটা হতে পারে এক কাপ কিংবা দেড় কাপ। যেটুকু ভাত খাবেন, ঠিক সমপরিমাণ কাঁচা সবজির সালাদ খেতে হবে। এই সালাডে শশা, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর রাখতে পারেন। অল্প পরিমাণে ভাত খেলেই চলবে না, শরীর সুস্থ রাখার জন্য দরকার ব্যায়ামও। বিশেষ কোনও এক্সারসাইজ নয় তবে শুরু করতে পারেন পুশ আপ, স্কোয়াট, লাঞ্জ জাতীয় ব্যায়াম দিয়ে। নিয়মিত পরিমাণমতো ভাত খাওয়ার পরপরই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া যাবে না। দুপুর বা রাতে ভাত খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নিতে হবে।
দিনের বেলায় ভাত খান, রাতে খেলেও সামান্য। দিলের বেলা মেটাবলিজমের হার থাকে বেশি। ফলে হজম হয় তাড়াতাড়ি। সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়া সত্ত্বেও তা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না। ভাতের সঙ্গে আলু, বা আলুর তরকারি বাদ দিয়ে এর বদলে বেশি পরিমাণে টাটকা সবজি ও শাক খেতে হবে। ডালও রাখতে পারেন। তবে ভাজাভুজি নৈব নৈব চ। বড় প্লেটে নয়, ছোট বাটিতে ভাত খাওয়া ভাল। যাঁরা বেশি ভাত খান, তাঁরা চামচে করেও খান। চামচে ভাত উঠবে অল্প ও একটা সময়ের পরে খেতে ক্লান্তি জন্মাবে। ভাত যদি খেতেই হয়, তবে রাইস কুকারে রান্না করা ভাত বা বসাভাত খাওয়া যাবে না। হাঁড়িতে ভাত করে ফ্যান ঝড়িয়ে সেই ভাতই খেতে হবে। ভাতের সঙ্গে আলু, বা আলুর তরকারি বাদ দিয়ে এর বদলে বেশি পরিমাণে টাটকা সবজি ও শাক খেতে হবে। ডালও রাখতে পারেন। তবে ভাজাভুজি নৈব নৈব চ। দিনের বেলায় ভাত খান, রাতে খেলেও সামান্য। দিলের বেলা মেটাবলিজমের হার থাকে বেশি। ফলে হজম হয় তাড়াতাড়ি। সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়া সত্ত্বেও তা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভাত খেয়েও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রিত

আপডেট সময় : ১০:১১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীরের ওজন কমাতে অনেকেই প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরানো কিংবা ওজন কমানোর দিকে নজর দিলেই সবার আগে খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ে ভাত। কিন্তু কিছুতেই ভাত খাওয়া ছাড়তে পারছেন না। ভাত খেলে মেদ জমার যে ধারণা রয়েছে সেটিও ঠিক নয়। ভাত যদি নিয়ম মেনে খাওয়া যায়, তাহলে তা থেকে শরীরে মেদ জমে না তেমন।
পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতের মধ্যে সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, গ্লুটেন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। চর্বি থাকেই না প্রায়। বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট, যা খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না। বরং থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা স্টার্চ, শরীরকে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা। ফাইবারের উপস্থিতিও পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন-সুগার-রক্তচাপ বশে রাখতে যার ভূমিকা আছে।
গবেষণা বলছে দু-বেলা ভাত খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব। শুধু কয়েকটা নিয়ম মানলেই কেল্লাফতে। তাহলেই আর বাদ দিতে হবে না ভাত। জেনে নেওয়া যাক নিয়মগুলো। ডায়েটে একটা নির্দিষ্ট মাপের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে খাওয়া। সেটা হতে পারে এক কাপ কিংবা দেড় কাপ। যেটুকু ভাত খাবেন, ঠিক সমপরিমাণ কাঁচা সবজির সালাদ খেতে হবে। এই সালাডে শশা, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর রাখতে পারেন। অল্প পরিমাণে ভাত খেলেই চলবে না, শরীর সুস্থ রাখার জন্য দরকার ব্যায়ামও। বিশেষ কোনও এক্সারসাইজ নয় তবে শুরু করতে পারেন পুশ আপ, স্কোয়াট, লাঞ্জ জাতীয় ব্যায়াম দিয়ে। নিয়মিত পরিমাণমতো ভাত খাওয়ার পরপরই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া যাবে না। দুপুর বা রাতে ভাত খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নিতে হবে।
দিনের বেলায় ভাত খান, রাতে খেলেও সামান্য। দিলের বেলা মেটাবলিজমের হার থাকে বেশি। ফলে হজম হয় তাড়াতাড়ি। সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়া সত্ত্বেও তা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না। ভাতের সঙ্গে আলু, বা আলুর তরকারি বাদ দিয়ে এর বদলে বেশি পরিমাণে টাটকা সবজি ও শাক খেতে হবে। ডালও রাখতে পারেন। তবে ভাজাভুজি নৈব নৈব চ। বড় প্লেটে নয়, ছোট বাটিতে ভাত খাওয়া ভাল। যাঁরা বেশি ভাত খান, তাঁরা চামচে করেও খান। চামচে ভাত উঠবে অল্প ও একটা সময়ের পরে খেতে ক্লান্তি জন্মাবে। ভাত যদি খেতেই হয়, তবে রাইস কুকারে রান্না করা ভাত বা বসাভাত খাওয়া যাবে না। হাঁড়িতে ভাত করে ফ্যান ঝড়িয়ে সেই ভাতই খেতে হবে। ভাতের সঙ্গে আলু, বা আলুর তরকারি বাদ দিয়ে এর বদলে বেশি পরিমাণে টাটকা সবজি ও শাক খেতে হবে। ডালও রাখতে পারেন। তবে ভাজাভুজি নৈব নৈব চ। দিনের বেলায় ভাত খান, রাতে খেলেও সামান্য। দিলের বেলা মেটাবলিজমের হার থাকে বেশি। ফলে হজম হয় তাড়াতাড়ি। সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়া সত্ত্বেও তা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না।