ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকা শিখতে হবে: জনসন

  • আপডেট সময় : ১২:২৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকা শিখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের কাবু হয়ে পড়া ব্রিটেনে দীর্ঘ লকডাউনের পর পুরোদমে আনলকের আগে দেশবাসীর উদ্দেশে এমন বার্তাই দিলেন এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন তুলে নেয়ার বিষয়ে সোমবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটির। আগামী ১৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি আনলকের পথে হাঁটতে পারে ব্রিটেন। খবর এএফপির।
এর আগে ২১ জুন থেকে ব্রিটেন আনলক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। বরং আরও কয়েকদিন কঠোর বিধিনিষেধ জারি রাখা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ব্রিটেনে সম্প্রতি নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের বেশিরভাগের শরীরেই মিলেছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট।
রাশিয়ার পর ইউরোপের এই দেশেই করোনায় মৃতের সংখ্যা সর্বাধিক। ফলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়েছে। কিন্তু এবার করোনা-পরবর্তীতে আরেক দফা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় ব্রিটেন। আর তাই জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকেই পুরোদমে আনলকের পক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তার মতে, করোনা আতঙ্ক সরিয়ে ফেলে একে মোকাবিলা করতে করতেই জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনতে হবে।
এর আগেও প্রথম ধাক্কা সামলে উঠেই ক্রিসমাসের পরবর্তী সময়ে লকডাউন প্রত্যাহার করে সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছিল জনসন প্রশাসন। তারপর ফের মহামারি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় তড়িঘড়ি লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয়। তবে সবকিছুর পাশাপাশি গণটিকাকরণেও জোর দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনই প্রথম দেশে, যেখানে ডিসেম্বর থেকে টিকাদান শুরু হওয়ার পর প্রায় রেকর্ড গড়েছে।
এই মুহূর্তে ব্রিটেনের ৬৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে দুই ডোজ করে টিকা নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টেকে সামলেই করোনাযুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ব্রিটেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে আইনি বিধিনিষেধ আরোপ না করে বিষয়টিকে জনগণের ‘ব্যক্তিগত দায়িত্ব’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাজ্য সরকার। এমনকি মাস্ক পরা না পরার বিষয়টিও জনগণের বিবেচনার ওপরই ছাড়তে চায় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির সাংবাদিক অ্যান্ড্রু মারের উপস্থাপনার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমন কথা জানিয়েছেন দেশটির আবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক। তিনি মনে করেন, মাস্ক নিয়ে একেকজন একেক রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন কিন্তু আস্থাভাজন নাগরিকরা সুবিবেচনার পরিচয় দেবেন।
আগামী ১৯ জুলাই থেকে করোনা সংক্রান্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিলেও ব্রিটিশ সরকার মনে করে, মাস্কের ‘চলমান প্রয়োজন’ থেকেই যাবে। এক মুখপাত্র বলেন, সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলেও আশা করা হচ্ছে মানুষ গণপরিবহন এবং দোকানে মাস্ক ব্যবহার করবে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৩ হাজার ৪৩৪। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ২৮ হাজার ২২২ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৬ জন। বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৬। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৩শ জন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনার সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়ায় বাড়ি ভাঙার ঘটনা: অন্তর্বর্তী সরকার

ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকা শিখতে হবে: জনসন

আপডেট সময় : ১২:২৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকা শিখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের কাবু হয়ে পড়া ব্রিটেনে দীর্ঘ লকডাউনের পর পুরোদমে আনলকের আগে দেশবাসীর উদ্দেশে এমন বার্তাই দিলেন এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন তুলে নেয়ার বিষয়ে সোমবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটির। আগামী ১৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি আনলকের পথে হাঁটতে পারে ব্রিটেন। খবর এএফপির।
এর আগে ২১ জুন থেকে ব্রিটেন আনলক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। বরং আরও কয়েকদিন কঠোর বিধিনিষেধ জারি রাখা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ব্রিটেনে সম্প্রতি নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের বেশিরভাগের শরীরেই মিলেছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট।
রাশিয়ার পর ইউরোপের এই দেশেই করোনায় মৃতের সংখ্যা সর্বাধিক। ফলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়েছে। কিন্তু এবার করোনা-পরবর্তীতে আরেক দফা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় ব্রিটেন। আর তাই জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকেই পুরোদমে আনলকের পক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তার মতে, করোনা আতঙ্ক সরিয়ে ফেলে একে মোকাবিলা করতে করতেই জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনতে হবে।
এর আগেও প্রথম ধাক্কা সামলে উঠেই ক্রিসমাসের পরবর্তী সময়ে লকডাউন প্রত্যাহার করে সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছিল জনসন প্রশাসন। তারপর ফের মহামারি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় তড়িঘড়ি লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয়। তবে সবকিছুর পাশাপাশি গণটিকাকরণেও জোর দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনই প্রথম দেশে, যেখানে ডিসেম্বর থেকে টিকাদান শুরু হওয়ার পর প্রায় রেকর্ড গড়েছে।
এই মুহূর্তে ব্রিটেনের ৬৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে দুই ডোজ করে টিকা নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টেকে সামলেই করোনাযুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ব্রিটেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে আইনি বিধিনিষেধ আরোপ না করে বিষয়টিকে জনগণের ‘ব্যক্তিগত দায়িত্ব’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাজ্য সরকার। এমনকি মাস্ক পরা না পরার বিষয়টিও জনগণের বিবেচনার ওপরই ছাড়তে চায় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির সাংবাদিক অ্যান্ড্রু মারের উপস্থাপনার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমন কথা জানিয়েছেন দেশটির আবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক। তিনি মনে করেন, মাস্ক নিয়ে একেকজন একেক রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন কিন্তু আস্থাভাজন নাগরিকরা সুবিবেচনার পরিচয় দেবেন।
আগামী ১৯ জুলাই থেকে করোনা সংক্রান্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিলেও ব্রিটিশ সরকার মনে করে, মাস্কের ‘চলমান প্রয়োজন’ থেকেই যাবে। এক মুখপাত্র বলেন, সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলেও আশা করা হচ্ছে মানুষ গণপরিবহন এবং দোকানে মাস্ক ব্যবহার করবে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৩ হাজার ৪৩৪। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ২৮ হাজার ২২২ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৬ জন। বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৬। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৩শ জন।