প্রত্যাশা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী আলোচনায় আসেন গত বছরের জুলাই আন্দোলনে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি মার্চ ফর জাস্টিসে পুলিশের হাতে আটক হওয়া শিক্ষার্থীকে ছাড়াতে গিয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়ান তিনি। তখন আহতও হন মোনামী। সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচন চলাকালীন ফের আলোচনায় আসেন তিনি।
সেসময় তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারও চালানো হয়।
সম্প্রতি, তার ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুটি ছবি প্রচার করা হয়েছে। ছবিগুলো বেশ ভাইরাল হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের ফ্যাক্ট চেকিং সাইট রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাবি শিক্ষিকা শেহরীন আমিন ভূঁইয়া (মোনামী)-এর ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো তার নয়। প্রকৃতপক্ষে, সাইমা ভার্মা নামের ভারতীয় একজন মডেলের ছবিকে এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে চেহারার কিছুটা পরিবর্তন করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। আলোচিত ছবিগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে উক্ত ফটো অ্যালবামটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ফটো অ্যালবামের দুটো ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর মিল রয়েছে। উভয় ছবিগুলোতেই একই নারীকে একই স্থানে একই পোশাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
তবে ছবিগুলো সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে, প্রাপ্ত ছবিগুলোর সাথে শেহরীন আমিন ভূঁইয়ার ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর নারীর চেহারার সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। যেহেতু প্রাপ্ত ছবিগুলো একই নারীর এবং উক্ত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রচারিত অন্যান্য ছবিগুলোর সাথে এই নারীর চেহারার মিল রয়েছে। তাই এটা নিশ্চিত যে, যাচ্ছে, উক্ত ফটো অ্যালবামের আলোচিত ছবিগুলোর এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে চেহারার কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রাপ্ত ফটো অ্যালবাম থেকে জানা যায়, ছবিগুলো ভারতের গুরুগ্রাম এলাকায় তোলা হয়েছে। পাশাপাশি উক্ত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, ছবির নারীর নাম সাইমা ভার্মা। তিনি ভারতের নয়া দিল্লির একজন বাসিন্দা এবং পেশায় একজন মডেল।
পরবর্তীতে শেহরীন আমিন ভূঁইয়ার ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম Deepfake-O-Meter এ ছবিটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, ছবিগুলো এআই দিয়ে সম্পাদনা হওয়ার সম্ভাবনা ৭৭.৫৫ ও ১০০ শতাংশ। সুতরাং বলাই বাহুল্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া (মোনামী)-এর ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত।
ওআ/আপ্র/০৫/১০/২০২৫