ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ভরা মৌসুমেও পাটের বাজারে ধস

  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের তিনটি উপজেলার বাজারে ভরা মৌসুমেও পাটের দামে ধস নেমেছে। এ বছর ভালো ফলন হওয়ায় লাভের আশায় বুক বেঁধেছিলো কৃষক। দাম পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন তারা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর জেলায় মোট ২৩ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে, যার বিপরীতে দুই লাখ ৭০ হাজার ১৪০ বেলপাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার(২৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, নতুন পাটে সয়লাব এখানকার হাটবাজার। জেলার সবচেয়ে বড় পাটের মোকাম বড়দিয়া, লোহাগড়া, লাহুড়িয়া,মাইজপাড়া, মিঠাপুরসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য কৃষক তাদের উৎপাদিত পাট নিয়ে আসছে। এ সব হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ব্যাপক সমাগমে হাট কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে পাটের দর নিয়ে হতাশায় পড়েন কৃষক। লাহুড়িয়া হাটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পাট মণ প্রতি ১৬০০ থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। তবে মানভেদে কিছু পাট ১৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ হাটে পাট বিক্রি করতে আসা কৃষক আজাদ মোল্যা বলেন, চড়া দামে ডিজেল, সার, শ্রম কিনে পাট ফলাতে গিয়ে এবার পাটের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। এ দিকে নতুন পাট ঘরে উঠতে না উঠতেই বাজার পড়ে যাওয়ায় লাভ দূরে থাক খরচও ওঠা নিয়ে তারা শঙ্কায় পড়েছেন। এ অবস্থায় তারা বর্তমান উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। লোহাগড়া বাজারের পাট ব্যবসায়ী সুজন ভুইয়া বলেন, বর্তমানে মিলে পাটের দর কমিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া গত বছর পাট বিক্রি করে তাদের অনেক টাকা মিলে বাকি পড়েছে, তাই পাট মিলে নেওয়াও কমিয়ে দিয়েছে। নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান জানান, নড়াইলে প্রধানত ভারতীয় জে আর ও ৫২৮ জাতের পাটের আবাদ হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বি জে আর আই তোসা পাট ৮ জাতের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি যথাযথ পরিচর্যা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতায় এবার পাটের ভালো ফলনও হয়েছে। ফসলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক নানা চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাট চাষ সম্প্রসারণে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নিশ্চিত করা জরুরি বলেও জানান তিনি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভরা মৌসুমেও পাটের বাজারে ধস

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের তিনটি উপজেলার বাজারে ভরা মৌসুমেও পাটের দামে ধস নেমেছে। এ বছর ভালো ফলন হওয়ায় লাভের আশায় বুক বেঁধেছিলো কৃষক। দাম পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন তারা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর জেলায় মোট ২৩ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে, যার বিপরীতে দুই লাখ ৭০ হাজার ১৪০ বেলপাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার(২৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, নতুন পাটে সয়লাব এখানকার হাটবাজার। জেলার সবচেয়ে বড় পাটের মোকাম বড়দিয়া, লোহাগড়া, লাহুড়িয়া,মাইজপাড়া, মিঠাপুরসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য কৃষক তাদের উৎপাদিত পাট নিয়ে আসছে। এ সব হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ব্যাপক সমাগমে হাট কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে পাটের দর নিয়ে হতাশায় পড়েন কৃষক। লাহুড়িয়া হাটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পাট মণ প্রতি ১৬০০ থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। তবে মানভেদে কিছু পাট ১৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ হাটে পাট বিক্রি করতে আসা কৃষক আজাদ মোল্যা বলেন, চড়া দামে ডিজেল, সার, শ্রম কিনে পাট ফলাতে গিয়ে এবার পাটের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। এ দিকে নতুন পাট ঘরে উঠতে না উঠতেই বাজার পড়ে যাওয়ায় লাভ দূরে থাক খরচও ওঠা নিয়ে তারা শঙ্কায় পড়েছেন। এ অবস্থায় তারা বর্তমান উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। লোহাগড়া বাজারের পাট ব্যবসায়ী সুজন ভুইয়া বলেন, বর্তমানে মিলে পাটের দর কমিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া গত বছর পাট বিক্রি করে তাদের অনেক টাকা মিলে বাকি পড়েছে, তাই পাট মিলে নেওয়াও কমিয়ে দিয়েছে। নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান জানান, নড়াইলে প্রধানত ভারতীয় জে আর ও ৫২৮ জাতের পাটের আবাদ হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বি জে আর আই তোসা পাট ৮ জাতের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি যথাযথ পরিচর্যা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতায় এবার পাটের ভালো ফলনও হয়েছে। ফসলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক নানা চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাট চাষ সম্প্রসারণে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নিশ্চিত করা জরুরি বলেও জানান তিনি।