ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

ভবানীপুরে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল, আশা ছাড়ছে না বিজেপি

  • আপডেট সময় : ১১:১৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন শেষে এবার ফল ঘোষণার পালা। আজ রোববার নির্ধারিত হতে যাচ্ছে আসনটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য। তৃণমূলের জয়ের বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী দলটির নেতারা। ভবানীপুরে নিজেদের জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়ালও।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী তৃণমূল। একই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। তবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে কিছুটা মনোভঙ্গ হয় মমতার দলের নেতাদের। কারণ, যেমনটি আশা করেছিলেন তাঁরা, সে অনুপাতে পড়েনি ভোট। পরিসংখ্যান বলছে, ভবানীপুরে ভোট দিয়েছেন ৫৩ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোটার। এতে মমতার জয়ে বিরোধী পক্ষের চেয়ে ভোটের ব্যবধান প্রত্যাশার চেয়ে কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
ভবানীপুরে জয়ের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী ও কলকাতা করপোরেশনের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, কম করে হলেও ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতবেন মমতা। ভবানীপুর আসনের মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৪৫৬। এদিকে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল বলেন, ‘ফলাফল যা–ই হোক না কেন, আমিই উইনার। জয় নিয়ে আমি এখনো আশাবাদী।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভবানীপুর আসনে মমতা অঘটন ঘটাবেন বলেছেন। এটা এত সহজ নয়। তাই বলছি, নন্দীগ্রাম আসনের মতো মমতা এবার ভবানীপুরে হেরে গেলে অবাক হওয়ার কারণ থাকবে না।’
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পরে তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতাকে ভবানীপুর থেকে জেতানোর লক্ষ্যেই শোভনদেব পদত্যাগ করেন। কারণ, গত বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসন থেকে হারেন মমতা। এরপরও ভারতীয় সংবিধান মেনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়েছিল তৃণমূল। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে বিধানসভা নির্বাচনের হারের ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসনে জিতে আসতে হবে।
এর আগে ভবানীপুর আসনে ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে এই আসনে মমতা জিতেছিলেন ২৫ হাজার ৩৪১ ভোটের ব্যবধানে। আর ২০১১ সালে ভবানীপুরে মমতা জয় পান ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটের ব্যবধানে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভবানীপুরে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল, আশা ছাড়ছে না বিজেপি

আপডেট সময় : ১১:১৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন শেষে এবার ফল ঘোষণার পালা। আজ রোববার নির্ধারিত হতে যাচ্ছে আসনটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য। তৃণমূলের জয়ের বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী দলটির নেতারা। ভবানীপুরে নিজেদের জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়ালও।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী তৃণমূল। একই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। তবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে কিছুটা মনোভঙ্গ হয় মমতার দলের নেতাদের। কারণ, যেমনটি আশা করেছিলেন তাঁরা, সে অনুপাতে পড়েনি ভোট। পরিসংখ্যান বলছে, ভবানীপুরে ভোট দিয়েছেন ৫৩ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোটার। এতে মমতার জয়ে বিরোধী পক্ষের চেয়ে ভোটের ব্যবধান প্রত্যাশার চেয়ে কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
ভবানীপুরে জয়ের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী ও কলকাতা করপোরেশনের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, কম করে হলেও ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতবেন মমতা। ভবানীপুর আসনের মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৪৫৬। এদিকে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল বলেন, ‘ফলাফল যা–ই হোক না কেন, আমিই উইনার। জয় নিয়ে আমি এখনো আশাবাদী।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভবানীপুর আসনে মমতা অঘটন ঘটাবেন বলেছেন। এটা এত সহজ নয়। তাই বলছি, নন্দীগ্রাম আসনের মতো মমতা এবার ভবানীপুরে হেরে গেলে অবাক হওয়ার কারণ থাকবে না।’
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পরে তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতাকে ভবানীপুর থেকে জেতানোর লক্ষ্যেই শোভনদেব পদত্যাগ করেন। কারণ, গত বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসন থেকে হারেন মমতা। এরপরও ভারতীয় সংবিধান মেনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়েছিল তৃণমূল। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে বিধানসভা নির্বাচনের হারের ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসনে জিতে আসতে হবে।
এর আগে ভবানীপুর আসনে ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে এই আসনে মমতা জিতেছিলেন ২৫ হাজার ৩৪১ ভোটের ব্যবধানে। আর ২০১১ সালে ভবানীপুরে মমতা জয় পান ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটের ব্যবধানে।