ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

ভবন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল: আতিক

  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভবনে ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি মালিককে নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনেক বাণিজ্যিক ভবনে দেখা যায় সিঁড়িতে দোকান। আমরা যেকোনো সময় পরিদর্শনে যাবো। কোনো ভবনের সিঁড়িতে প্রতিবন্ধকতা পেলে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অনুশীলন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) অনুযায়ী ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। উঁচু ভবনের ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে ফায়ার ডিটেক্টর, স্মোক ডিটেক্টর, উচ্চগতির পানি স্প্রে সিস্টেম ও কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন সিস্টেম থাকাও বাধ্যতামূলক। কিন্তু পরিতাপের বিষয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নগরীর বেশিরভাগ ভবন নির্মাণে এসব কোড ঠিকমতো মানা হয় না। যার ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় রানা প্লাজা দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমি যখন বিজিএমইর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেই, এর এক মাস পরই রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে সরাসরি উদ্ধার কাজ শুরু করি। ছাত্রজীবনে বিএনসিসি আমাদের শিখিয়েছে দুর্যোগের সময় ঘরে বসে থাকলে চলবে না। মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে হবে। তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর গার্মেন্টস সেক্টর হুমকির মুখে পড়ে যায়। তখন আমি বিজিএমই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করি কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিয়ে। পরবর্তীসময়ে গার্মেন্টসগুলোতে ফায়ার সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি, বিল্ডিং সেফটি নিয়ে কাজ করি। এতে গার্মেন্টস সেক্টরকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হই। মেয়র আরও বলেন, আমি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিকে বায়ারদের কাছে ওপেন করে দেই। এর ফলে আমরা তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হই। তারা ফ্যাক্টরি ভিজিট করে অনলাইনে রিপোর্ট করে দিয়েছে। যেসব ফ্যাক্টরিতে নেগেটিভ রিপোর্ট হতো তাদের কাছে অর্ডার আসতো না। এর ফলে ধীরে ধীরে সবাই কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভবন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল: আতিক

আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভবনে ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি মালিককে নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনেক বাণিজ্যিক ভবনে দেখা যায় সিঁড়িতে দোকান। আমরা যেকোনো সময় পরিদর্শনে যাবো। কোনো ভবনের সিঁড়িতে প্রতিবন্ধকতা পেলে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অনুশীলন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) অনুযায়ী ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। উঁচু ভবনের ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে ফায়ার ডিটেক্টর, স্মোক ডিটেক্টর, উচ্চগতির পানি স্প্রে সিস্টেম ও কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন সিস্টেম থাকাও বাধ্যতামূলক। কিন্তু পরিতাপের বিষয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নগরীর বেশিরভাগ ভবন নির্মাণে এসব কোড ঠিকমতো মানা হয় না। যার ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় রানা প্লাজা দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমি যখন বিজিএমইর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেই, এর এক মাস পরই রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে সরাসরি উদ্ধার কাজ শুরু করি। ছাত্রজীবনে বিএনসিসি আমাদের শিখিয়েছে দুর্যোগের সময় ঘরে বসে থাকলে চলবে না। মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে হবে। তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর গার্মেন্টস সেক্টর হুমকির মুখে পড়ে যায়। তখন আমি বিজিএমই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করি কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিয়ে। পরবর্তীসময়ে গার্মেন্টসগুলোতে ফায়ার সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি, বিল্ডিং সেফটি নিয়ে কাজ করি। এতে গার্মেন্টস সেক্টরকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হই। মেয়র আরও বলেন, আমি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিকে বায়ারদের কাছে ওপেন করে দেই। এর ফলে আমরা তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হই। তারা ফ্যাক্টরি ভিজিট করে অনলাইনে রিপোর্ট করে দিয়েছে। যেসব ফ্যাক্টরিতে নেগেটিভ রিপোর্ট হতো তাদের কাছে অর্ডার আসতো না। এর ফলে ধীরে ধীরে সবাই কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।