নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে বয়স্ক রোগীর সংখ্যা কম হওয়ায় করোনায় অপেক্ষাকৃত মৃত্যুহার কম। এবার করোনা বুঝিয়ে দিয়েছে যেসব দেশের মানুষের বয়স ৬৫ বছর বয়সের বেশি সেসব দেশে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। যেমনটি ইউরোপ-আমেরিকায় দেখা গেছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী রোগী ৬০ শতাংশ হওয়ায় মৃত্যুহার কম হয়েছে। আর অন্যান্য দেশে ষাটোর্ধ্ব রোগী ৬০ শতাংশেরও বেশি। ফলে সেসব দেশে করোনায় অপেক্ষাকৃত বেশি মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউ’র মিল্টন হলে বিশ্ব প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য দেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইক্যুয়িটি মেইনটেইন করছে। যে যে অবস্থায় হোক, সেটা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিংবা বয়স্কদের ক্ষেত্রে, কীভাবে তাদের অসুস্থতা কমানো যায় সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যারা আছি, সবাই সব বয়সী রোগীকে সমানভাবে সেবা দিতে চাই। করোনা আমাদের শিখিয়েছে বয়স্কদেরই শুধু ডিমেনশিয়া হয় না, মানসিক অসুস্থতা শুধু বয়স্কদেরই হচ্ছে না, এই বিষয়গুলো সবার ক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ গবেষকরা প্যালিয়েটিভ কেয়ার (প্রশমন সেবা) নিয়ে তিনটি গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। যে বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা হয়েছে- ১. বাংলাদেশে প্রবীণদের অপুষ্টির কারণসমূহ; ২. বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রবীণদের বাত-ব্যথার ব্যাপকতা ও ৩. নিরাময় অযোগ্য রোগীদের জন্য হোম বেইজড প্যালিয়েটিভ কেয়ার ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা। অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জাহিদ হাসান, অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।