ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বয়সের চেয়ে পদক বেশি

  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : জাফরিন রহমানের বয়স মোটে আট বছর। যে বয়সে কার্টুন দেখা আর পুতুল খেলা নিয়ে মেতে থাকার কথা, সে বয়সেই তায়কোয়ান্দোর মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জাফরিন। ঘায়েল করছে প্রতিপক্ষকে, জিতে নিচ্ছে পদক। দীর্ঘদিন সাধনা করে সে বয়সের চেয়ে মেডেল পেয়েছে বেশি।
মা আফরিনা হায়দারের আগ্রহেই তায়কোয়ান্দো শেখা শুরু করে জাফরিন। ‘পরিচ্ছন্ন বিনোদন ও খেলাধুলার মধ্য দিয়ে যে শিশু বেড়ে ওঠে, তার পক্ষে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা সম্ভব। শিশু বয়সে মানুষ যা গ্রহণ করে, পরবর্তী জীবনে সে তা লালন করে। তাই জাফরিনকে তায়কোয়ান্দোর মাধ্যমে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি,’ মেয়েকে নিয়ে এমনটাই জানান মা আফরিনা হায়দার। আসলে মেয়েকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখাতে চেয়েছিলেন মা। ঠিক ঠিক চার বছর বয়স থেকে সে অনুশীলন শুরু করে। পরের চার বছরে অনুশীলন করে একাধিক প্রতিযোগিতায় জুনিয়রদের মধ্যে সেরা হয়েছে জাফরিন, জিতে নিয়েছে ২০টি মেডেল। সেই তালিকায় দেশি–বিদেশি মিলিয়ে আছে দুই সোনা, ১৭টি ব্রোঞ্জ আর একটি রৌপ্যপদক। স্কুলের শ্রেণিকক্ষ আর তায়কোয়ান্দো মাঠ—দুই–ই তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। জাফরিনের প্রিয় জায়গা এখন মিরপুর ডিওএইচএসের তায়কোয়ান্দো ফেডারেশন। সেখানে প্রতিদিন সে তিন ঘণ্টা করে অনুশীলন করে। স্কুল ও তায়কোয়ান্দোর অনুশীলন সমানতালে চালিয়ে নিচ্ছেন মা ও মেয়ে। অনুশীলনের জন্য জাফরিনকে রোজ মিরপুর ডিওএইচএসে নিয়ে যান মা। কখনোই কোনো অজুহাতে বাদ যায়নি ক্লাস। ঝড়–বৃষ্টি যা–ই হোক, ক্লাস বা অনুশীলন কোনোটাই মিস করে না জাফরিন। করোনাও মা-মেয়েকে দমাতে পারেনি। অনলাইনে অনুশীলন করেছে জাফরিন। মায়ের ইচ্ছা মেয়ে জাফরিন যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের নাম উজ্জ্বল করে। সেই লক্ষ্যে মা-মেয়ের এগিয়ে চ
তায়কোয়ান্দোতে রেড ব্ল্যাক বেল্টপ্রাপ্ত জাফরিন রহমান মিরপুরের বনফুল আদিবাসী স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। জাফরিনের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, নাচ–গানের পাশাপাশি তার সবচেয়ে ভালো লাগে তায়কোয়ান্দো। সে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সুনাম অর্জন করতে চায়। বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা বলেন, এত ছোট বয়সেই জাফরিনের আগ্রহ ও উদ্যম অন্যদের উৎসাহিত করে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বয়সের চেয়ে পদক বেশি

আপডেট সময় : ১০:৩৩:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : জাফরিন রহমানের বয়স মোটে আট বছর। যে বয়সে কার্টুন দেখা আর পুতুল খেলা নিয়ে মেতে থাকার কথা, সে বয়সেই তায়কোয়ান্দোর মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জাফরিন। ঘায়েল করছে প্রতিপক্ষকে, জিতে নিচ্ছে পদক। দীর্ঘদিন সাধনা করে সে বয়সের চেয়ে মেডেল পেয়েছে বেশি।
মা আফরিনা হায়দারের আগ্রহেই তায়কোয়ান্দো শেখা শুরু করে জাফরিন। ‘পরিচ্ছন্ন বিনোদন ও খেলাধুলার মধ্য দিয়ে যে শিশু বেড়ে ওঠে, তার পক্ষে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা সম্ভব। শিশু বয়সে মানুষ যা গ্রহণ করে, পরবর্তী জীবনে সে তা লালন করে। তাই জাফরিনকে তায়কোয়ান্দোর মাধ্যমে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি,’ মেয়েকে নিয়ে এমনটাই জানান মা আফরিনা হায়দার। আসলে মেয়েকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখাতে চেয়েছিলেন মা। ঠিক ঠিক চার বছর বয়স থেকে সে অনুশীলন শুরু করে। পরের চার বছরে অনুশীলন করে একাধিক প্রতিযোগিতায় জুনিয়রদের মধ্যে সেরা হয়েছে জাফরিন, জিতে নিয়েছে ২০টি মেডেল। সেই তালিকায় দেশি–বিদেশি মিলিয়ে আছে দুই সোনা, ১৭টি ব্রোঞ্জ আর একটি রৌপ্যপদক। স্কুলের শ্রেণিকক্ষ আর তায়কোয়ান্দো মাঠ—দুই–ই তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। জাফরিনের প্রিয় জায়গা এখন মিরপুর ডিওএইচএসের তায়কোয়ান্দো ফেডারেশন। সেখানে প্রতিদিন সে তিন ঘণ্টা করে অনুশীলন করে। স্কুল ও তায়কোয়ান্দোর অনুশীলন সমানতালে চালিয়ে নিচ্ছেন মা ও মেয়ে। অনুশীলনের জন্য জাফরিনকে রোজ মিরপুর ডিওএইচএসে নিয়ে যান মা। কখনোই কোনো অজুহাতে বাদ যায়নি ক্লাস। ঝড়–বৃষ্টি যা–ই হোক, ক্লাস বা অনুশীলন কোনোটাই মিস করে না জাফরিন। করোনাও মা-মেয়েকে দমাতে পারেনি। অনলাইনে অনুশীলন করেছে জাফরিন। মায়ের ইচ্ছা মেয়ে জাফরিন যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের নাম উজ্জ্বল করে। সেই লক্ষ্যে মা-মেয়ের এগিয়ে চ
তায়কোয়ান্দোতে রেড ব্ল্যাক বেল্টপ্রাপ্ত জাফরিন রহমান মিরপুরের বনফুল আদিবাসী স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। জাফরিনের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, নাচ–গানের পাশাপাশি তার সবচেয়ে ভালো লাগে তায়কোয়ান্দো। সে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সুনাম অর্জন করতে চায়। বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা বলেন, এত ছোট বয়সেই জাফরিনের আগ্রহ ও উদ্যম অন্যদের উৎসাহিত করে।