ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

ব্ল্যাক কফি পানে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি

  • আপডেট সময় : ১১:০০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সারা বিশ্বে সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জনপ্রিয় পানীয় কফি। কালো কফির গুণাগুণ সবাইকে মুগ্ধ করবেই। অনেকেই পেটের মেদ নিয়ে চিন্তায় থাকেন। ওজন কমাতে কালো কফির জুড়ি মেলা ভার। সুফল পেতে দিনে অন্তত দু’বার কফি খেতে হবে। ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডই শরীরের ওজন কমানোর জন্য কালো কফিকে আদর্শ করে তুলেছে। ব্ল্যাক কফিতে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস আছে যা দ্রুত ওজন কমানোর সহায়ক।
হার্টের রোগী বা ডায়াবেটিস যাদের থাকে তাদের চিনি ছাড়া কালো কফি খাওয়ারই পরামর্শ দেয়া হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে,ক্যাফেইন প্রায় ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত আমাদের মেটাবলিক রেট বা বিপাকের গতি বাড়ায়। ফলে অতিরিক্ত মেদ কমে অনেকটাই। এক কাপ কালো কফিতে ২০ শতাংশ ভিটামিন, ১০ শতাংশ ক্যালোরি ও খনিজ রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস কফি। কারণ এতে আছে ভিটামিন বি-টু, বি-থ্রি, বি-ফাইভ, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এক কাপ কালো কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ২। ডিক্যাফেইনেটেড বীজ থেকে বানান হলে তাতে আবার একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতের খাবার খাওয়ার পরে এককাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে নতুন ফ্যাট কোষও তৈরি হয় না। পাশাপাশি কফি স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি করে। অ্যালঝাইমার্স রোগ কমে অনেকটাই। যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা যদি নিয়মিত কফি পান করে তাদের ২৩ থেকে ৫০ শতাংশের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে সিরোসিস থেকে লিভারকে রক্ষা করে কফি। মানবদেহে কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। নর এপিনেফ্রিন এবং ডোপামিন নিঃসরণ বাড়ায় যা নিউরনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। কফি সুনির্দিষ্টভাবে পান করলে পারকিনসন রোগও কমে যায় অনেকটাই। ৩২ থেকে ৬০ শতাংশ হ্রাস পায় এই ওষুধ।কার পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। নিয়ন্ত্রিত কফি পানে কমে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। কফি ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। কফির যৌগিক উপাদান নির্দিষ্ট কিছু ধরনের ক্যানসার যেমন- লিভার, স্তন, কোলন এবং রেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কফি প্রদাহ কমায় যা টিউমারের অন্যতম প্রধান কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে চার কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি পান করেন তাদের বাত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। কফির শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিডেন্ট শরীরের ইনসুলিন ও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে বাত বা গাউট রোগের ঝুঁকি কমায়। এমনকি বাত রোগ থাকলেও উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। ব্ল্যাক কফির সঙ্গে যদি সামান্য মধু আর লেবু যোগ করে খেতে পারেন, তাহলে যেমন স্বাদ বাড়ে তেমনই তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এমনিতেই লেবু আর মধু ওজন কমানোর সহায়ক। আর তার সঙ্গে যদি যুক্ত হল ব্ল্যাক কফি তাহলে ওজন কমবেই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্ল্যাক কফি পানে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি

আপডেট সময় : ১১:০০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : সারা বিশ্বে সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জনপ্রিয় পানীয় কফি। কালো কফির গুণাগুণ সবাইকে মুগ্ধ করবেই। অনেকেই পেটের মেদ নিয়ে চিন্তায় থাকেন। ওজন কমাতে কালো কফির জুড়ি মেলা ভার। সুফল পেতে দিনে অন্তত দু’বার কফি খেতে হবে। ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডই শরীরের ওজন কমানোর জন্য কালো কফিকে আদর্শ করে তুলেছে। ব্ল্যাক কফিতে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস আছে যা দ্রুত ওজন কমানোর সহায়ক।
হার্টের রোগী বা ডায়াবেটিস যাদের থাকে তাদের চিনি ছাড়া কালো কফি খাওয়ারই পরামর্শ দেয়া হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে,ক্যাফেইন প্রায় ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত আমাদের মেটাবলিক রেট বা বিপাকের গতি বাড়ায়। ফলে অতিরিক্ত মেদ কমে অনেকটাই। এক কাপ কালো কফিতে ২০ শতাংশ ভিটামিন, ১০ শতাংশ ক্যালোরি ও খনিজ রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস কফি। কারণ এতে আছে ভিটামিন বি-টু, বি-থ্রি, বি-ফাইভ, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এক কাপ কালো কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ২। ডিক্যাফেইনেটেড বীজ থেকে বানান হলে তাতে আবার একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতের খাবার খাওয়ার পরে এককাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে নতুন ফ্যাট কোষও তৈরি হয় না। পাশাপাশি কফি স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি করে। অ্যালঝাইমার্স রোগ কমে অনেকটাই। যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা যদি নিয়মিত কফি পান করে তাদের ২৩ থেকে ৫০ শতাংশের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে সিরোসিস থেকে লিভারকে রক্ষা করে কফি। মানবদেহে কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। নর এপিনেফ্রিন এবং ডোপামিন নিঃসরণ বাড়ায় যা নিউরনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। কফি সুনির্দিষ্টভাবে পান করলে পারকিনসন রোগও কমে যায় অনেকটাই। ৩২ থেকে ৬০ শতাংশ হ্রাস পায় এই ওষুধ।কার পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। নিয়ন্ত্রিত কফি পানে কমে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। কফি ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। কফির যৌগিক উপাদান নির্দিষ্ট কিছু ধরনের ক্যানসার যেমন- লিভার, স্তন, কোলন এবং রেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। কফি প্রদাহ কমায় যা টিউমারের অন্যতম প্রধান কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে চার কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি পান করেন তাদের বাত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। কফির শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিডেন্ট শরীরের ইনসুলিন ও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে বাত বা গাউট রোগের ঝুঁকি কমায়। এমনকি বাত রোগ থাকলেও উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। ব্ল্যাক কফির সঙ্গে যদি সামান্য মধু আর লেবু যোগ করে খেতে পারেন, তাহলে যেমন স্বাদ বাড়ে তেমনই তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এমনিতেই লেবু আর মধু ওজন কমানোর সহায়ক। আর তার সঙ্গে যদি যুক্ত হল ব্ল্যাক কফি তাহলে ওজন কমবেই।