ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে স্কুল অব ফার্মেসির যাত্রা শুরু

  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে দেশের প্রথম স্কুল অব ফার্মেসির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। গত ৩০ জুলাই (শনিবার) ‘লঞ্চিং অব স্কুল অব ফার্মেসি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ, উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং এবং স্কুল অব ফার্মেসির ডিন অধ্যাপক ড. ইভা রহমান কবির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ড্যাউল্যান্ড। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল, ঢাকায় নেপাল দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি রঞ্জন যাদব ছাড়াও অনুষ্ঠানে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ড্রাস্টির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ফার্মেসির এই যাত্রা ফর্মুলেশন থেকে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) রূপান্তরে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে শিখরে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সেই সাথে এটি গাজীপুরে ২০০ একরের ওপর নির্মিতব্য এপিআই পার্ক তৈরির প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প ইতোমধ্যে দেশের ৯৭ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে। ১৫৭টি দেশে আমরা ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করছি। ২০২৫ সাল নাগাদ এ খাতে রপ্তানি আয় প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।’ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশে ফার্মেসি শিক্ষার গবেষণা এবং রোগীর যতœবিষয়ক ধারণাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ফার্মেসি। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা এমন নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠুক, যারা সমাজে টেকসই অবদান রাখবে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ফার্মেসির অন্যতম লক্ষ্য হলো—দৃঢ় নৈতিকতাসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অবদান রাখা, যারা ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা পূরণে চাকরিক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি সৃজনশীলতার প্রয়োগ ঘটাবে।’ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রযুক্তি এবং পুঁজির মতো এটিও প্রধান চালিকাশক্তি। রূপকল্প ২০৪১ অর্জন এবং মানসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সহায়ক ইকোসিস্টেম তৈরিতে সরকারের একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।’ অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে স্কুল অব ফার্মেসির যাত্রা শুরু

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে দেশের প্রথম স্কুল অব ফার্মেসির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। গত ৩০ জুলাই (শনিবার) ‘লঞ্চিং অব স্কুল অব ফার্মেসি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ, উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং এবং স্কুল অব ফার্মেসির ডিন অধ্যাপক ড. ইভা রহমান কবির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ড্যাউল্যান্ড। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল, ঢাকায় নেপাল দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি রঞ্জন যাদব ছাড়াও অনুষ্ঠানে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ড্রাস্টির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ফার্মেসির এই যাত্রা ফর্মুলেশন থেকে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) রূপান্তরে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে শিখরে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সেই সাথে এটি গাজীপুরে ২০০ একরের ওপর নির্মিতব্য এপিআই পার্ক তৈরির প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প ইতোমধ্যে দেশের ৯৭ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে। ১৫৭টি দেশে আমরা ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করছি। ২০২৫ সাল নাগাদ এ খাতে রপ্তানি আয় প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।’ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশে ফার্মেসি শিক্ষার গবেষণা এবং রোগীর যতœবিষয়ক ধারণাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ফার্মেসি। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা এমন নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠুক, যারা সমাজে টেকসই অবদান রাখবে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ফার্মেসির অন্যতম লক্ষ্য হলো—দৃঢ় নৈতিকতাসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অবদান রাখা, যারা ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা পূরণে চাকরিক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি সৃজনশীলতার প্রয়োগ ঘটাবে।’ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রযুক্তি এবং পুঁজির মতো এটিও প্রধান চালিকাশক্তি। রূপকল্প ২০৪১ অর্জন এবং মানসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সহায়ক ইকোসিস্টেম তৈরিতে সরকারের একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।’ অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।