ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় মায়েরা যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

  • আপডেট সময় : ১১:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : নতুন একটি শিশুর সঙ্গে জন্ম হয় একজন নতুন মায়েরও। হঠাৎ এত বড় একটি দায়িত্ব পেয়ে মায়েরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে যান। কী করতে হবে, কী করা যাবে না সবকিছু বুঝে উঠতে পারেন না। নবজাতকের খাবারের একমাত্র মাধ্যম হলো মায়ের বুকের দুধ। তাই এদিকটাতে খেয়াল রাখতে হবে সবচেয়ে বেশি। একজন নতুন মা যখন তার নবজাতককে ব্রেস্ট ফিডিং করাবেন তখন এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-
শিশুকে মায়ের পাশেই রাখুন
জন্মের পরই শিশুকে মায়ের পাশে শুইয়ে দিন। সন্তানের স্পর্শে, গন্ধে দ্রুত বুকে দুধ আসবে। এতে মা ও সন্তানের মধ্যে বোঝাপড়ার সূত্রপাত হবে সহজেই। প্রথম দিকে যদি মায়ের বসতে অসুবিধা হয় তবে শুয়েই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। নিজে না পারলে এ বিষয়ে ভালো বোঝেন এমন কারও সাহায্য নিন। এই সময়ে মায়ের বুকে কলোষ্ট্রাম নামের আঠালো দুধ আসে। সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এর কোনো বিকল্প হয় না। তবে এই দুধের পরিমাণ থাকে খুব কম। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এসময় নবজাতকের চাহিদা খুব বেশি থাকে না।
বসে খাওয়ান
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বসে খাওয়ান। সেইসঙ্গে শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। পাশাপাশি কোমর ও পিঠের কাছে বালিশ বা কুশনের দিয়ে রাখুন। এতে ভবিষ্যতে পিঠ ও কোমরের ব্যাথায় কষ্ট পেতে হবে না। মায়ের যে হাতে বাচ্চার কাঁধ ও মাথা থাকবে, সেই হাতের নিচেও বালিশ দিয়ে রাখুন। এতে কষ্ট কম হবে।
খেয়াল রাখুন
দুধ খাওয়ানোর সময় প্রথমে শিশুকে বুকের কাছে তুলে নেবেন। লক্ষ্য করুন শিশুর মাথা, কাঁধ ও শরীর যেন একই সরল রেখায় থাকে। নয়তো শিশু ব্যথা পেতে পারে। শিশুর নাক ও ওপরের ঠোঁট স্তনবৃন্তের ঠিক উল্টো দিকে যেন থাকে সেদিকটায়ও খেয়াল রাখুন।
ব্যথা অনুভব করলে
শিশুকে বুকের কাছে টেনে নিয়ে খাওয়ান। এটি তার জন্য সহজ হবে, আপনিও সহজে নড়াচড়া করতে পারবেন। শিশুকে খাওয়ানোর সময় যদি স্তনবৃন্তে ব্যথা অনুভব করেন তবে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে। শিশু যদি ঠিকভাবে দুধ পান করতে না পারে তবে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিয়ে তাকে খাওয়াতে পারেন। এরপরও কোনো সমস্যা হলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় মায়েরা যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

আপডেট সময় : ১১:৩০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : নতুন একটি শিশুর সঙ্গে জন্ম হয় একজন নতুন মায়েরও। হঠাৎ এত বড় একটি দায়িত্ব পেয়ে মায়েরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে যান। কী করতে হবে, কী করা যাবে না সবকিছু বুঝে উঠতে পারেন না। নবজাতকের খাবারের একমাত্র মাধ্যম হলো মায়ের বুকের দুধ। তাই এদিকটাতে খেয়াল রাখতে হবে সবচেয়ে বেশি। একজন নতুন মা যখন তার নবজাতককে ব্রেস্ট ফিডিং করাবেন তখন এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-
শিশুকে মায়ের পাশেই রাখুন
জন্মের পরই শিশুকে মায়ের পাশে শুইয়ে দিন। সন্তানের স্পর্শে, গন্ধে দ্রুত বুকে দুধ আসবে। এতে মা ও সন্তানের মধ্যে বোঝাপড়ার সূত্রপাত হবে সহজেই। প্রথম দিকে যদি মায়ের বসতে অসুবিধা হয় তবে শুয়েই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। নিজে না পারলে এ বিষয়ে ভালো বোঝেন এমন কারও সাহায্য নিন। এই সময়ে মায়ের বুকে কলোষ্ট্রাম নামের আঠালো দুধ আসে। সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এর কোনো বিকল্প হয় না। তবে এই দুধের পরিমাণ থাকে খুব কম। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এসময় নবজাতকের চাহিদা খুব বেশি থাকে না।
বসে খাওয়ান
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বসে খাওয়ান। সেইসঙ্গে শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। পাশাপাশি কোমর ও পিঠের কাছে বালিশ বা কুশনের দিয়ে রাখুন। এতে ভবিষ্যতে পিঠ ও কোমরের ব্যাথায় কষ্ট পেতে হবে না। মায়ের যে হাতে বাচ্চার কাঁধ ও মাথা থাকবে, সেই হাতের নিচেও বালিশ দিয়ে রাখুন। এতে কষ্ট কম হবে।
খেয়াল রাখুন
দুধ খাওয়ানোর সময় প্রথমে শিশুকে বুকের কাছে তুলে নেবেন। লক্ষ্য করুন শিশুর মাথা, কাঁধ ও শরীর যেন একই সরল রেখায় থাকে। নয়তো শিশু ব্যথা পেতে পারে। শিশুর নাক ও ওপরের ঠোঁট স্তনবৃন্তের ঠিক উল্টো দিকে যেন থাকে সেদিকটায়ও খেয়াল রাখুন।
ব্যথা অনুভব করলে
শিশুকে বুকের কাছে টেনে নিয়ে খাওয়ান। এটি তার জন্য সহজ হবে, আপনিও সহজে নড়াচড়া করতে পারবেন। শিশুকে খাওয়ানোর সময় যদি স্তনবৃন্তে ব্যথা অনুভব করেন তবে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে। শিশু যদি ঠিকভাবে দুধ পান করতে না পারে তবে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিয়ে তাকে খাওয়াতে পারেন। এরপরও কোনো সমস্যা হলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।