ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

ব্রেস্টফিডিং কর্নার অফিসে ‘অবহেলিত’ পাবলিক প্লেসে ‘অপ্রতুল’

  • আপডেট সময় : ১২:০৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : একটা শপিংমলে এক বছরের এক শিশুকে ফিডার খেতে দেখে পাশে বসা মায়ের কাছে প্রশ্ন-আপনার শিশু কোন ব্র্যান্ডের দুধ খায়? উনি জানালেন, শিশুটি বুকের দুধ খায়। তাহলে সেটা ফিডারে কেন, জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, ‘বাধ্য হয়ে শপিংয়ে এসেছি। তাকে কোথায় খাওয়াতে পারবো. তার ঠিক নেই। তাই বুকের দুধ ফিডারে করে এনেছি।’
শিশুকে মায়ের দুধ খাওনোর বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হাজারো প্রচারণা চলে। কিন্তু মায়েরা দুধ কোথায় পান করাবে- সেই সুযোগটি এখনও করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কর্মজীবী মায়েরা বলছেন, পাবলিক প্লেসে ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ বেশি দরকার। অফিস আদালতে শিশু নিয়েই আসতে দেওয়া হয় না। বেশিরভাগ অফিসে ডে কেয়ার সেন্টার নেই। ফলে এক কোনায় একটা রুম ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত রাখা হয় বটে, সেখানে কেউ যায় না। এই পরিস্থিতিতে দেশে গত ১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস পালিত হলো।
২০১৯ সালে ২৭ অক্টোবর সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস ও রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ স্থাপনে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশের সব কল-কারখানায় ‘মাতৃদুগ্ধ দান ও শিশুযতœ কর্নার’ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে আদেশ কার্যকর বিষয়ে শ্রম সচিব ও শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালককে আলাদা প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘এই রিটের ফলশ্রুতিতে দেশের সবগুলো বিমান বন্দর, রেল স্টেশনসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে এরইমধ্যে ব্রেস্টফিডিং রুম স্থাপিত হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল, জেলা কোর্ট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে ব্রেস্টফিডিং রুম স্থাপিত হয়েছে।’
রায় সম্পর্কে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে স্বীকৃত অন্যতম মৌলিক অধিকার ‘জীবনের অধিকার’ বিষয়ে এই রায় নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক রায়। একাধিক ব্রেস্টফিডিং রুম ইতোমধ্যেই স্থাপিত হয়েছে। এই যুগান্তকারী রায়ের পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে, কর্মজীবী নারীরা শিশুদের কর্মক্ষেত্রে রেখেই স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন। আমি মনে করি, সব জনবহুল স্থানে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর নিরাপদ পরিবেশ সংবলিত ‘ব্রেস্ট ফিডিং রুম’ ও ‘বেবি কেয়ার কর্নার’ স্থাপন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের জন্য একটা উদাহরণ সৃষ্টি করবে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণীয় হবে।’
বাস্তবতা কতটা ভিন্ন: দেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র রয়েছে। শিশু দিবাযতœ কর্মসূচির আওতায় রাজস্ব খাতভুক্ত মোট ৪৩টি শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র পরিচালিত হয়ে থাকে। এছাড়াও মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের অধীনে বাস্তবায়িত ২০টি শিশু দিবাযতœ কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০টি ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ বেসরকারি অফিসে বিশেষত রাজধানী ঢাকায় ডে কেয়ারের সুবিধা না থাকায় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বিঘিœত হচ্ছে। এর একটি আরেকটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত উল্লেখ করে বেসরকারি অফিসে এক সময় কর্মরত নাসিমা আখতার তার ছয় মাসের শিশুকে বাসায় রেখে অফিসে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘সকালে কয়েকটি ফিডারে বুকের দুধ জমা করে রেখে আসতাম। মাত্র ছয় মাসের শিশু হঠাৎ করে ফিডারে দুধ খেতে না চাওয়ায় আমার সন্তানের ওজন কমতে শুরু করে, সে প্রায়শ পেটের পীড়ায় ভুগতে থাকে। এমন অবস্থায় আমি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। পরে শিশুর বয়স তিন বছর হওয়ার পরে কাজ খুঁজতে গিয়ে আমাকে নানা হয়রানিতে পড়তে হয়েছে। কেবল শিশুকে অফিসে একটু থাকার জায়গা করে না দেওয়ার কারণে কতগুলো জীবন হুমকিতে পড়ে যায়।’
একটি হাসপাতালের ব্রেস্টফিডিং কর্নার থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে এসে এক মা বলেন, হাইকোর্ডের নির্দেশ থাকায় কোনোমতে একটা খুপড়ি বানিয়ে রেখেছে। আলো নাই, বাতাস নাই। বাচ্চা খাবে কী, গরমে কান্না শুরু করে দিয়েছে। বাস্তবতা হলো- জোর করে বাধ্য হয়ে করা জিনিস আর প্রয়োজন বুঝে করা জিনিসের পার্থক্য আছে।
মায়ের দুধ পান কেন শিশুর জন্য জরুরি বলতে গিয়ে কুমুদিনি হাসপাতালের চিকিৎসক বিলকিস আহমেদ চৌধরী বলেন, ‘মায়ের দুধ পান মা ও শিশু উভয়ের জন্যই জরুরি। মায়ের দুধ শিশুর জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে সহায়ক এবং তার পুষ্টিগুণ অনেক। আর মায়ের জন্য উপকারী কেননা, মায়ের জরায়ু বাচ্চা ডেলিভারির পরে ওপরের দিকে থাকে। সেটা সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে স্ব-স্থানে যায়। শিশু বুকের দুধ খেলে জরায়ু স্বস্থানে দ্রুত যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় অপরিণত শিশুর জন্ম হয়। মায়ের শরীরের ছোঁয়ায় সে যত থাকবে, ততই মায়ের শরীরের তাপ তাকে উষ্ণ রাখবে। ফলে মা ও শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধ পান বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। পাবলিক প্লেস, অফিস, কল-কারখানা সব জায়গায় শিশুরা যেন একটা বয়স পর্যন্ত মায়ের কাছাকাছি থাকতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রেস্টফিডিং কর্নার অফিসে ‘অবহেলিত’ পাবলিক প্লেসে ‘অপ্রতুল’

আপডেট সময় : ১২:০৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

নারী ও শিশু ডেস্ক : একটা শপিংমলে এক বছরের এক শিশুকে ফিডার খেতে দেখে পাশে বসা মায়ের কাছে প্রশ্ন-আপনার শিশু কোন ব্র্যান্ডের দুধ খায়? উনি জানালেন, শিশুটি বুকের দুধ খায়। তাহলে সেটা ফিডারে কেন, জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, ‘বাধ্য হয়ে শপিংয়ে এসেছি। তাকে কোথায় খাওয়াতে পারবো. তার ঠিক নেই। তাই বুকের দুধ ফিডারে করে এনেছি।’
শিশুকে মায়ের দুধ খাওনোর বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হাজারো প্রচারণা চলে। কিন্তু মায়েরা দুধ কোথায় পান করাবে- সেই সুযোগটি এখনও করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কর্মজীবী মায়েরা বলছেন, পাবলিক প্লেসে ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ বেশি দরকার। অফিস আদালতে শিশু নিয়েই আসতে দেওয়া হয় না। বেশিরভাগ অফিসে ডে কেয়ার সেন্টার নেই। ফলে এক কোনায় একটা রুম ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত রাখা হয় বটে, সেখানে কেউ যায় না। এই পরিস্থিতিতে দেশে গত ১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস পালিত হলো।
২০১৯ সালে ২৭ অক্টোবর সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস ও রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ স্থাপনে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশের সব কল-কারখানায় ‘মাতৃদুগ্ধ দান ও শিশুযতœ কর্নার’ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে আদেশ কার্যকর বিষয়ে শ্রম সচিব ও শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালককে আলাদা প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘এই রিটের ফলশ্রুতিতে দেশের সবগুলো বিমান বন্দর, রেল স্টেশনসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে এরইমধ্যে ব্রেস্টফিডিং রুম স্থাপিত হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল, জেলা কোর্ট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে ব্রেস্টফিডিং রুম স্থাপিত হয়েছে।’
রায় সম্পর্কে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে স্বীকৃত অন্যতম মৌলিক অধিকার ‘জীবনের অধিকার’ বিষয়ে এই রায় নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক রায়। একাধিক ব্রেস্টফিডিং রুম ইতোমধ্যেই স্থাপিত হয়েছে। এই যুগান্তকারী রায়ের পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে, কর্মজীবী নারীরা শিশুদের কর্মক্ষেত্রে রেখেই স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন। আমি মনে করি, সব জনবহুল স্থানে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর নিরাপদ পরিবেশ সংবলিত ‘ব্রেস্ট ফিডিং রুম’ ও ‘বেবি কেয়ার কর্নার’ স্থাপন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের জন্য একটা উদাহরণ সৃষ্টি করবে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণীয় হবে।’
বাস্তবতা কতটা ভিন্ন: দেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র রয়েছে। শিশু দিবাযতœ কর্মসূচির আওতায় রাজস্ব খাতভুক্ত মোট ৪৩টি শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র পরিচালিত হয়ে থাকে। এছাড়াও মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের অধীনে বাস্তবায়িত ২০টি শিশু দিবাযতœ কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০টি ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ বেসরকারি অফিসে বিশেষত রাজধানী ঢাকায় ডে কেয়ারের সুবিধা না থাকায় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বিঘিœত হচ্ছে। এর একটি আরেকটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত উল্লেখ করে বেসরকারি অফিসে এক সময় কর্মরত নাসিমা আখতার তার ছয় মাসের শিশুকে বাসায় রেখে অফিসে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘সকালে কয়েকটি ফিডারে বুকের দুধ জমা করে রেখে আসতাম। মাত্র ছয় মাসের শিশু হঠাৎ করে ফিডারে দুধ খেতে না চাওয়ায় আমার সন্তানের ওজন কমতে শুরু করে, সে প্রায়শ পেটের পীড়ায় ভুগতে থাকে। এমন অবস্থায় আমি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। পরে শিশুর বয়স তিন বছর হওয়ার পরে কাজ খুঁজতে গিয়ে আমাকে নানা হয়রানিতে পড়তে হয়েছে। কেবল শিশুকে অফিসে একটু থাকার জায়গা করে না দেওয়ার কারণে কতগুলো জীবন হুমকিতে পড়ে যায়।’
একটি হাসপাতালের ব্রেস্টফিডিং কর্নার থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে এসে এক মা বলেন, হাইকোর্ডের নির্দেশ থাকায় কোনোমতে একটা খুপড়ি বানিয়ে রেখেছে। আলো নাই, বাতাস নাই। বাচ্চা খাবে কী, গরমে কান্না শুরু করে দিয়েছে। বাস্তবতা হলো- জোর করে বাধ্য হয়ে করা জিনিস আর প্রয়োজন বুঝে করা জিনিসের পার্থক্য আছে।
মায়ের দুধ পান কেন শিশুর জন্য জরুরি বলতে গিয়ে কুমুদিনি হাসপাতালের চিকিৎসক বিলকিস আহমেদ চৌধরী বলেন, ‘মায়ের দুধ পান মা ও শিশু উভয়ের জন্যই জরুরি। মায়ের দুধ শিশুর জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে সহায়ক এবং তার পুষ্টিগুণ অনেক। আর মায়ের জন্য উপকারী কেননা, মায়ের জরায়ু বাচ্চা ডেলিভারির পরে ওপরের দিকে থাকে। সেটা সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে স্ব-স্থানে যায়। শিশু বুকের দুধ খেলে জরায়ু স্বস্থানে দ্রুত যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় অপরিণত শিশুর জন্ম হয়। মায়ের শরীরের ছোঁয়ায় সে যত থাকবে, ততই মায়ের শরীরের তাপ তাকে উষ্ণ রাখবে। ফলে মা ও শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধ পান বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। পাবলিক প্লেস, অফিস, কল-কারখানা সব জায়গায় শিশুরা যেন একটা বয়স পর্যন্ত মায়ের কাছাকাছি থাকতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’