ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

ব্রিটেনে জ্বালানি সংকট, মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

  • আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনে জ্বালানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। চারদিন ধরে বিভিন্ন জ্বালানি পাম্প বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জ্বালানি সংকট দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে গাড়িচালকরা পাম্পগুলোতে ভিড় করছেন। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রায় ১৫০ সামরিক ট্যাঙ্কার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস বলেন, লোকজন আতঙ্কিত হয়ে জ্বালানি কেনা শুরু করেছেন। এই সংকট কমাতে অস্থায়ী পদক্ষেপ হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সরবরাহ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত সক্ষমতা যোগানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কার চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কয়েক মাস ধরে যুক্তরাজ্যে এক লাখের বেশি লরি চালকের অভাব রয়েছে যা খাদ্য সরবরাহকারী এবং সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন শিল্পের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন পেট্রোল স্টেশনে মানুষ অতিরিক্ত জ্বালানি কেনা শুরু করেছে ফলে সংকট তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য লোকজনকেই দায়ী করেছে সরকার।
আরএসি নামের একটি মোটরিং গ্রুপ জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে লিটার প্রতি জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু খুচরা ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে স্বাস্থ্য, সামাজিক সেবার স্টাফ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের কর্মীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত জ্বালানির জন্য ফোনকল আসছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেং বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা একটি ভালো পদক্ষেপ। এর মানে হচ্ছে যে কোনো সহায়তা দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
ব্রিটেনের পেট্রল রিটেইলার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিআরএ) জানিয়েছে, চাহিদার কারণে দেশটির কিছু কিছু এলাকার ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পাম্প জ্বালানিশূন্য হয়ে পড়েছে। ব্রিটেনের জ্বালানি শিল্প খাত জানিয়েছে, জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই, সমস্যা হয়েছে পেট্রল ও ডিজেল পাম্পগুলোতে সরবরাহের সংকট তৈরি হওয়ায়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ম না মেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৫ গাড়িচালকের নামে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ

ব্রিটেনে জ্বালানি সংকট, মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনে জ্বালানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। চারদিন ধরে বিভিন্ন জ্বালানি পাম্প বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জ্বালানি সংকট দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে গাড়িচালকরা পাম্পগুলোতে ভিড় করছেন। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রায় ১৫০ সামরিক ট্যাঙ্কার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস বলেন, লোকজন আতঙ্কিত হয়ে জ্বালানি কেনা শুরু করেছেন। এই সংকট কমাতে অস্থায়ী পদক্ষেপ হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সরবরাহ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত সক্ষমতা যোগানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কার চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কয়েক মাস ধরে যুক্তরাজ্যে এক লাখের বেশি লরি চালকের অভাব রয়েছে যা খাদ্য সরবরাহকারী এবং সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন শিল্পের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন পেট্রোল স্টেশনে মানুষ অতিরিক্ত জ্বালানি কেনা শুরু করেছে ফলে সংকট তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য লোকজনকেই দায়ী করেছে সরকার।
আরএসি নামের একটি মোটরিং গ্রুপ জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে লিটার প্রতি জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু খুচরা ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে স্বাস্থ্য, সামাজিক সেবার স্টাফ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের কর্মীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত জ্বালানির জন্য ফোনকল আসছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেং বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা একটি ভালো পদক্ষেপ। এর মানে হচ্ছে যে কোনো সহায়তা দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
ব্রিটেনের পেট্রল রিটেইলার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিআরএ) জানিয়েছে, চাহিদার কারণে দেশটির কিছু কিছু এলাকার ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পাম্প জ্বালানিশূন্য হয়ে পড়েছে। ব্রিটেনের জ্বালানি শিল্প খাত জানিয়েছে, জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই, সমস্যা হয়েছে পেট্রল ও ডিজেল পাম্পগুলোতে সরবরাহের সংকট তৈরি হওয়ায়।