ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত

  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতের অর্থনীতি। এর সুফল পেল দেশটি। ভারত এখন পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অর্থনীতির শক্তির বিচারের ব্রিটেনকে ছাপিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এল ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের বিভিন্ন দেশের জিডিপির পরিসংখ্যানসহ করা তালিকায় ব্রিটেনের অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে।
২০২১-এর শেষ তিন মাসের হিসাবে ব্রিটেনকে সরিয়ে ষষ্ঠ স্থান থেকে পঞ্চমে উঠে এল ভারত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতির আকার ছিল ৮৫৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে ব্রিটেনের অর্থনীতির আকার ছিল ৮১৬ বিলিয়ন ডলার। ত্রৈমাসিকের শেষ দিনে ডলারের বিনিময় হার ধরে হিসাবটি করা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতি বছরে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও দেশটির রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়ার পূর্বাভাস থেকে এ হিসাব কিছুটা কম। উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বৃদ্ধির হারে সর্বোচ্চ ছিল ভারত জিডিপি। ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতি ভারতের অর্থনীতি এ বছর ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং জার্মানির ঠিক পরেই ভারত। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদির ভারত পঞ্চম স্থানে। ব্রিটেন পিছিয়ে গেল ষষ্ঠ স্থানে। এক দশক আগে ভারতের অর্থনীতি ছিল ১১তম স্থানে। সেখান থেকে ভারত উঠে এল পঞ্চম স্থানে। গত কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে ব্রিটেনে। প্রধানমন্ত্রী পদে বরিস জনসনের উত্তরসূরি কে হবেন, লিস ট্রাস নাকি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির তালিকা প্রকাশ করল আইএমএফ। অনেকের বক্তব্য, মসনদে যিনিই বসুন, তাঁকেই এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। শুধু তা–ই নয়, উত্তীর্ণও হতে হবে। গত অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে বড় লাফ দিয়ে ব্রিটেনকে ছাপিয়ে গেছে ভারত। শুধু তা–ই নয়, পূর্বাভাস কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে চলতি অর্থবছরেও ভারতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হারে বাড়তে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতের অর্থনীতি। এর সুফল পেল দেশটি। ভারত এখন পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অর্থনীতির শক্তির বিচারের ব্রিটেনকে ছাপিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এল ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের বিভিন্ন দেশের জিডিপির পরিসংখ্যানসহ করা তালিকায় ব্রিটেনের অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে।
২০২১-এর শেষ তিন মাসের হিসাবে ব্রিটেনকে সরিয়ে ষষ্ঠ স্থান থেকে পঞ্চমে উঠে এল ভারত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতির আকার ছিল ৮৫৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে ব্রিটেনের অর্থনীতির আকার ছিল ৮১৬ বিলিয়ন ডলার। ত্রৈমাসিকের শেষ দিনে ডলারের বিনিময় হার ধরে হিসাবটি করা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতি বছরে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও দেশটির রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়ার পূর্বাভাস থেকে এ হিসাব কিছুটা কম। উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বৃদ্ধির হারে সর্বোচ্চ ছিল ভারত জিডিপি। ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতি ভারতের অর্থনীতি এ বছর ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং জার্মানির ঠিক পরেই ভারত। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদির ভারত পঞ্চম স্থানে। ব্রিটেন পিছিয়ে গেল ষষ্ঠ স্থানে। এক দশক আগে ভারতের অর্থনীতি ছিল ১১তম স্থানে। সেখান থেকে ভারত উঠে এল পঞ্চম স্থানে। গত কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে ব্রিটেনে। প্রধানমন্ত্রী পদে বরিস জনসনের উত্তরসূরি কে হবেন, লিস ট্রাস নাকি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির তালিকা প্রকাশ করল আইএমএফ। অনেকের বক্তব্য, মসনদে যিনিই বসুন, তাঁকেই এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। শুধু তা–ই নয়, উত্তীর্ণও হতে হবে। গত অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে বড় লাফ দিয়ে ব্রিটেনকে ছাপিয়ে গেছে ভারত। শুধু তা–ই নয়, পূর্বাভাস কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে চলতি অর্থবছরেও ভারতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হারে বাড়তে পারে।