ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্রিটিশ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন মামলা

  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে দুই দশক আগে কিশোরী বয়সে ‘যৌন নির্যাতন’ ও ‘মারধরের’ অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছেন এক নারী।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের দ্বিতীয় ছেলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলাটি করেন ভার্জিনিয়া জুফ্রি নামের এক অস্ট্রেলীয়-মার্কিন নারী।
জুফ্রির অভিযোগে বলা হয়, অ্যান্ড্রুর বন্ধু প্রয়াত মার্কিন ধনকুবের ও বিনিয়োগকারী জেফরি এপস্টেইন তাকে ‘যৌনকর্মের জন্য’ পাচার করে নিজের একটি দ্বীপে আটকে রেখে নির্যাতন করতেন। ১৭ বছর বয়সে এপস্টেইন তাকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে লন্ডনে নিয়ে যান। পরে ব্রিটিশ মিডিয়া মোঘল প্রয়াত রবার্ট ম্যাক্সওয়েলের মেয়ে গিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের লন্ডনের বাড়িতে জোর করে তার সঙ্গে সহবাস করেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু।
লন্ডনে এপস্টেইনের দীর্ঘ দিনের সহযোগী গিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সহায়তায় তাকে ‘যৌনদাসী’ করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন জুফ্রি। আগে ভার্জিনিয়া রবার্টস নামে পরিচিত ভার্জিনিয়া জুফ্রি এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রিন্স অ্যান্ড্রু আমার সঙ্গে যা করেছেন তার জন্য আমি তাকে দায়ী করছি। “ক্ষমতাশালী এবং ধনী হওয়ায় কেউ তার অপকর্মের দায় এড়াতে পারেন না। আমি আশা করি যারা এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন তারা দেখতে পাবেন শুধু ভয় আর নীরবতা নয়, ন্যায়বিচার চেয়েও সোচ্চার হওয়া যায়।”
জুফ্রি অভিযোগ করেন, এপস্টেইন তাকে যৌন কর্মের জন্য পাচার করেছিলেন এবং তার বয়স যখন ১৬ তখন থেকে শুরু করে ২০০০-০২ সাল পর্যন্ত তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। জুফ্রির আইনজীবী ডেভিড বোইয়েস এর সই করা মামলার বিবরণে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে ‘মারধর’ এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে মানসিক আঘাত করে বিপর্যস্ত করার অভিযোগ এনে ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে মন্তব্যর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ প্রিন্স অ্যান্ড্রু কিংবা তার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে ২০১৯ সালে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যান্ড্রু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জুফ্রির সঙ্গে তার কখনো সাক্ষাত হয়েছে কিনা তাও মনে নেই বলে দাবি করেছিলেন।
২০১৫ সালে প্রথম এই অভিযোগ ওঠার পর বার্কিংহাম প্যালেস থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছিল। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনকে কয়েক ডজন নারী ও কিশোরীকে যৌন হয়রানির দায়ে ২০১৯ সালে অভিযুক্ত করেছিল ম্যানহাটনের ফেডারেল কৌঁসুলিরা।
‘যৌনদাসী’ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচারের অপেক্ষায় থাকাকালে ২০১৯ সালের ১০ অগাস্ট ৬৬ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কের একটি কারাগারে আত্মহত্যা করেন জেফরি এপস্টেইন। পরে কৌঁসুলিরা জানান, তাদের তদন্তে অ্যান্ড্রু কোনো সহযোগিতা করেননি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্রিটিশ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন মামলা

আপডেট সময় : ১২:৪৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে দুই দশক আগে কিশোরী বয়সে ‘যৌন নির্যাতন’ ও ‘মারধরের’ অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছেন এক নারী।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের দ্বিতীয় ছেলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলাটি করেন ভার্জিনিয়া জুফ্রি নামের এক অস্ট্রেলীয়-মার্কিন নারী।
জুফ্রির অভিযোগে বলা হয়, অ্যান্ড্রুর বন্ধু প্রয়াত মার্কিন ধনকুবের ও বিনিয়োগকারী জেফরি এপস্টেইন তাকে ‘যৌনকর্মের জন্য’ পাচার করে নিজের একটি দ্বীপে আটকে রেখে নির্যাতন করতেন। ১৭ বছর বয়সে এপস্টেইন তাকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে লন্ডনে নিয়ে যান। পরে ব্রিটিশ মিডিয়া মোঘল প্রয়াত রবার্ট ম্যাক্সওয়েলের মেয়ে গিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের লন্ডনের বাড়িতে জোর করে তার সঙ্গে সহবাস করেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু।
লন্ডনে এপস্টেইনের দীর্ঘ দিনের সহযোগী গিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সহায়তায় তাকে ‘যৌনদাসী’ করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন জুফ্রি। আগে ভার্জিনিয়া রবার্টস নামে পরিচিত ভার্জিনিয়া জুফ্রি এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রিন্স অ্যান্ড্রু আমার সঙ্গে যা করেছেন তার জন্য আমি তাকে দায়ী করছি। “ক্ষমতাশালী এবং ধনী হওয়ায় কেউ তার অপকর্মের দায় এড়াতে পারেন না। আমি আশা করি যারা এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন তারা দেখতে পাবেন শুধু ভয় আর নীরবতা নয়, ন্যায়বিচার চেয়েও সোচ্চার হওয়া যায়।”
জুফ্রি অভিযোগ করেন, এপস্টেইন তাকে যৌন কর্মের জন্য পাচার করেছিলেন এবং তার বয়স যখন ১৬ তখন থেকে শুরু করে ২০০০-০২ সাল পর্যন্ত তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। জুফ্রির আইনজীবী ডেভিড বোইয়েস এর সই করা মামলার বিবরণে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে ‘মারধর’ এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে মানসিক আঘাত করে বিপর্যস্ত করার অভিযোগ এনে ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে মন্তব্যর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ প্রিন্স অ্যান্ড্রু কিংবা তার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে ২০১৯ সালে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যান্ড্রু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জুফ্রির সঙ্গে তার কখনো সাক্ষাত হয়েছে কিনা তাও মনে নেই বলে দাবি করেছিলেন।
২০১৫ সালে প্রথম এই অভিযোগ ওঠার পর বার্কিংহাম প্যালেস থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছিল। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনকে কয়েক ডজন নারী ও কিশোরীকে যৌন হয়রানির দায়ে ২০১৯ সালে অভিযুক্ত করেছিল ম্যানহাটনের ফেডারেল কৌঁসুলিরা।
‘যৌনদাসী’ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচারের অপেক্ষায় থাকাকালে ২০১৯ সালের ১০ অগাস্ট ৬৬ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কের একটি কারাগারে আত্মহত্যা করেন জেফরি এপস্টেইন। পরে কৌঁসুলিরা জানান, তাদের তদন্তে অ্যান্ড্রু কোনো সহযোগিতা করেননি।