ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ব্রাউজিংয়ে ইনকগনিটো মোড ব্যবহারে সাবধান

  • আপডেট সময় : ১২:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: ব্যবহারকারীদের লাখ লাখ ডাটা মুছে ফেলতে চলেছে গুগল। যার মধ্যে রয়েছে ইউজারদের ইনকগনিটো মোডের ডাটা। যা গোপনে ট্র্যাক করেছে গুগল, এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। ২০২০ সালে এ বিষয়ে একটি মামলাও করা হয়েছে গুগলের পেরেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের বিরুদ্ধে। যদিও কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সেই সব ডাটা মুছে ফেলা হবে।
ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গুগলের ইনকগনিটো মোড খুবই জনপ্রিয়। ইন্টারনেট ব্রাউজিং তথ্য গোপন রাখতে গ্রাহকরা গুগল ক্রোমের এই মোড ব্যবহার করেন। অর্থাৎ এটা ব্যবহার করলে একজন গ্রাহক ইন্টারনেটে কী করছে তার কোনও প্রমাণ থাকে না। এটি গুগল ক্রোম ব্রাউজারে থ্রি লাইন বাটন ক্লিক করে ব্যবহার করা যায়। ইনকগনিটো মোড বন্ধ করে দিলে ট্যাবগুলো অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও ইনকগনিটো মোডে থার্ড পার্টি কুকিজ সেভ হয় না, যা ব্যবহারকারীদের ডাটা ট্র্যাক করার জন্য রাখা হয়। কিন্তু, বর্তমান অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন ইনকগনিটো মোডের ডাটা সুরক্ষিত নেই। যার কারণে ২০২০ সালে মামলাটি করা হয়।
ইনকগনিটো মোড কি সত্যি সুরক্ষিত?
টেক সংবাদ সংস্থা ম্যাকঅ্যাফির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনকগনিটো মোড সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়। ব্যবহারকারীদের ডিভাইস ব্যবহার করে সেই তথ্য দেখা না গেলেও বেশ কিছু এক্সটার্নাল পার্টি সেগুলো অ্যাক্সেস করতে পারে।
যারা এই তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে
* ব্যবহারকারীদের যে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে সে জানতে পারবে ব্যবহারকারীরা কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছে।
* ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ব্যবহারকারীদের আইপি অ্যাড্রেস ওয়েবসাইটগুলোর সঙ্গে ভাগ করতে পারে। এক্স এর (আগে ছিল টুইটার) মতো ওয়েবসাইটও ব্যবহারকারীদের ডাটা শেয়ার করতে পারে। এই ডাটা ট্র্যাকিং একমাত্র ভিপিএন দ্বারাই আটকানো যায়।
* ব্যবহারকারীরা যদি এমন কোনো নেটওয়ার্কে ইনকগনিটো মোড অ্যাক্সেস করেন যা স্কুল বা কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত তাহলে সেই তথ্য তারা ট্র্যাক করতে পারবে।
ইন্টারনেটে ভুয়া খবর বন্ধে এবং বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্যগুলো চাওয়া হতে পারে। তাই ইনকগনিটো মোড যে সম্পূর্ণ প্রাইভেট তা বলা যায় না।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্রাউজিংয়ে ইনকগনিটো মোড ব্যবহারে সাবধান

আপডেট সময় : ১২:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক: ব্যবহারকারীদের লাখ লাখ ডাটা মুছে ফেলতে চলেছে গুগল। যার মধ্যে রয়েছে ইউজারদের ইনকগনিটো মোডের ডাটা। যা গোপনে ট্র্যাক করেছে গুগল, এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। ২০২০ সালে এ বিষয়ে একটি মামলাও করা হয়েছে গুগলের পেরেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের বিরুদ্ধে। যদিও কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সেই সব ডাটা মুছে ফেলা হবে।
ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গুগলের ইনকগনিটো মোড খুবই জনপ্রিয়। ইন্টারনেট ব্রাউজিং তথ্য গোপন রাখতে গ্রাহকরা গুগল ক্রোমের এই মোড ব্যবহার করেন। অর্থাৎ এটা ব্যবহার করলে একজন গ্রাহক ইন্টারনেটে কী করছে তার কোনও প্রমাণ থাকে না। এটি গুগল ক্রোম ব্রাউজারে থ্রি লাইন বাটন ক্লিক করে ব্যবহার করা যায়। ইনকগনিটো মোড বন্ধ করে দিলে ট্যাবগুলো অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও ইনকগনিটো মোডে থার্ড পার্টি কুকিজ সেভ হয় না, যা ব্যবহারকারীদের ডাটা ট্র্যাক করার জন্য রাখা হয়। কিন্তু, বর্তমান অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন ইনকগনিটো মোডের ডাটা সুরক্ষিত নেই। যার কারণে ২০২০ সালে মামলাটি করা হয়।
ইনকগনিটো মোড কি সত্যি সুরক্ষিত?
টেক সংবাদ সংস্থা ম্যাকঅ্যাফির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনকগনিটো মোড সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়। ব্যবহারকারীদের ডিভাইস ব্যবহার করে সেই তথ্য দেখা না গেলেও বেশ কিছু এক্সটার্নাল পার্টি সেগুলো অ্যাক্সেস করতে পারে।
যারা এই তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে
* ব্যবহারকারীদের যে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে সে জানতে পারবে ব্যবহারকারীরা কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছে।
* ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ব্যবহারকারীদের আইপি অ্যাড্রেস ওয়েবসাইটগুলোর সঙ্গে ভাগ করতে পারে। এক্স এর (আগে ছিল টুইটার) মতো ওয়েবসাইটও ব্যবহারকারীদের ডাটা শেয়ার করতে পারে। এই ডাটা ট্র্যাকিং একমাত্র ভিপিএন দ্বারাই আটকানো যায়।
* ব্যবহারকারীরা যদি এমন কোনো নেটওয়ার্কে ইনকগনিটো মোড অ্যাক্সেস করেন যা স্কুল বা কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত তাহলে সেই তথ্য তারা ট্র্যাক করতে পারবে।
ইন্টারনেটে ভুয়া খবর বন্ধে এবং বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্যগুলো চাওয়া হতে পারে। তাই ইনকগনিটো মোড যে সম্পূর্ণ প্রাইভেট তা বলা যায় না।