ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ব্যারিস্টার খোকনসহ বিএনপির ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

  • আপডেট সময় : ০২:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাশকতার একটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ পরোয়ানা জারি করেন। জামিনে থেকে আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত এ পরোয়ানা জারি করেছেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার মামলাটিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। জামিনে থাকা আসামিদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজ আব্বাসসহ বেশ কয়েকজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাইফুল আলম নীরবসহ বাকিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানার বিষয়টি সিএমএম আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বকশীবাজার বিশেষ আদালতে দুর্নীতি মামলার রায় উপলক্ষে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় বিএনপির প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মী মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে ও ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করে। এতে কতিপয় পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম খায়রুল বাশার বাদী হয়ে ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
১০ ডিসেম্বর ঘিরে ১৫০০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের অভিযোগ বিএনপির: আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে বিএনপির ১ হাজার ৫০০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযোগ করেছে দলটি। বিএনপির অভিযোগ, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি তল্লাশী আর নির্যাতনে দেশে একটা ভয়াবহ ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এসব অভিযোগ করা হয় বলে গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে বেআইনী মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হয়। বিএনপি নেতারা অবিলম্বে বেআইনী গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, পুলিশী তল্লাশী বন্ধ করে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্য থেকে এই ধরনের নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আইনশৃংখলা বাহিনীকে বেআইনীভাবে ব্যবহার করে সরকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ও ভীতিকর করে তুলতে চাইছে বলেও অভিযোগ দলটির। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকা- থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, জনগণের স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে শত বাধা উপেক্ষা করে ১০ ডিসেম্বরের ঢাকায় শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ সফল করবে।
পুলিশের হিসাবে ছয়দিনে গ্রেফতার হাজার ছাড়িয়েছে: রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানের ষষ্ঠ দিনে আরও ২৮৫ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে বিশেষ এ অভিযান শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শুধু ঢাকায়ই এ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন এক হাজার ১২ জন। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে পুলিশের কাছ থেকে দ-প্রাপ্ত দুই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১-১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয় পুলিশ সদরদপ্তর।’ ডিসি ফারুক আরও বলেন, ‘ওই নির্দেশনা মোতাবেক ডিএমপির ৫০টি থানা ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে বিশেষ অভিযানে একদিনে (ষষ্ঠ দিন) গ্রেফতার হয়েছেন ২৮৫ জন আসামি। গ্রেফতারদের মধ্যে অনেকে পরোয়ানাভুক্ত আসামি। এছাড়া মাদক, দ-প্রাপ্ত, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চোর, ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। এসব মামলায় রিমান্ড আবেদন করে আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে। গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদরদপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশ অনুসারে, দেশের সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও জেলার পুলিশ সুপারদের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালাতে বলা হয়। আদেশে বলা হয়, অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্যারিস্টার খোকনসহ বিএনপির ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

আপডেট সময় : ০২:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাশকতার একটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ পরোয়ানা জারি করেন। জামিনে থেকে আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত এ পরোয়ানা জারি করেছেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার মামলাটিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। জামিনে থাকা আসামিদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজ আব্বাসসহ বেশ কয়েকজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাইফুল আলম নীরবসহ বাকিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানার বিষয়টি সিএমএম আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বকশীবাজার বিশেষ আদালতে দুর্নীতি মামলার রায় উপলক্ষে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় বিএনপির প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মী মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে ও ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করে। এতে কতিপয় পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম খায়রুল বাশার বাদী হয়ে ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
১০ ডিসেম্বর ঘিরে ১৫০০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের অভিযোগ বিএনপির: আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে বিএনপির ১ হাজার ৫০০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযোগ করেছে দলটি। বিএনপির অভিযোগ, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি তল্লাশী আর নির্যাতনে দেশে একটা ভয়াবহ ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এসব অভিযোগ করা হয় বলে গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে বেআইনী মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হয়। বিএনপি নেতারা অবিলম্বে বেআইনী গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, পুলিশী তল্লাশী বন্ধ করে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্য থেকে এই ধরনের নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আইনশৃংখলা বাহিনীকে বেআইনীভাবে ব্যবহার করে সরকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ও ভীতিকর করে তুলতে চাইছে বলেও অভিযোগ দলটির। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকা- থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, জনগণের স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে শত বাধা উপেক্ষা করে ১০ ডিসেম্বরের ঢাকায় শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ সফল করবে।
পুলিশের হিসাবে ছয়দিনে গ্রেফতার হাজার ছাড়িয়েছে: রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানের ষষ্ঠ দিনে আরও ২৮৫ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে বিশেষ এ অভিযান শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শুধু ঢাকায়ই এ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন এক হাজার ১২ জন। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে পুলিশের কাছ থেকে দ-প্রাপ্ত দুই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১-১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয় পুলিশ সদরদপ্তর।’ ডিসি ফারুক আরও বলেন, ‘ওই নির্দেশনা মোতাবেক ডিএমপির ৫০টি থানা ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে বিশেষ অভিযানে একদিনে (ষষ্ঠ দিন) গ্রেফতার হয়েছেন ২৮৫ জন আসামি। গ্রেফতারদের মধ্যে অনেকে পরোয়ানাভুক্ত আসামি। এছাড়া মাদক, দ-প্রাপ্ত, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চোর, ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। এসব মামলায় রিমান্ড আবেদন করে আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে। গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদরদপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশ অনুসারে, দেশের সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও জেলার পুলিশ সুপারদের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালাতে বলা হয়। আদেশে বলা হয়, অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।