ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ব্যাংক-বিদ্যুৎ খাতে সাইবার হামলার আশঙ্কা পলকের

  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : হ্যাকারদের আক্রমণে দেশের ব্যাংকিং, সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এই ঝুঁকির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সাইবার দুর্বৃত্তদের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত সোমবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির উদ্যোগে ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে উদীয়মান সাইবার হুমকির’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পলক এই হুমকির আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন। পলক বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত একা কোনো দেশের পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট কাজ করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাইবার হামালার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও রক্ষার বিষয়ে অবহিত করছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সুচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হ্যাকারদের সাম্প্রতিক কর্মক-ে ব্যাংকিং ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে চারটি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে বলেন, ‘সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।’
পলক বলেন, ‘ওপেনসোর্স ইন্টিলিজেন্স বা ওএসআইএনটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্টেট স্পন্সর (রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়) হ্যাকারদের তৎপরতা বেড়েছে।’ এজন্য তিনি সবাইকে সতর্ক ও প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পলক বলেন, ‘গোপনেই দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। আর্থিক ও পাওয়ার সেক্টর ছাড়াও এবার দেশের মোবাইল অপারেটরদের ওপর দৃষ্টি পড়েছে সংঘবদ্ধ হ্যাকারদের। ইতোমধ্যেই একাধিক মোবাইল অপারেটর ইনফেক্টেড। অপারেটরগুলোর ডেটাবেজ, সার্ভার ও পরিকাঠামো ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে। এজন্য দ্রুত আইটি অডিট করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসএ-তে একটি সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্টদের নিরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মোঃ খায়রুল আমিন এবং বিডিজিডি ই-গভ সার্ট পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্যাংক-বিদ্যুৎ খাতে সাইবার হামলার আশঙ্কা পলকের

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : হ্যাকারদের আক্রমণে দেশের ব্যাংকিং, সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এই ঝুঁকির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সাইবার দুর্বৃত্তদের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত সোমবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির উদ্যোগে ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে উদীয়মান সাইবার হুমকির’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পলক এই হুমকির আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন। পলক বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত একা কোনো দেশের পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট কাজ করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাইবার হামালার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও রক্ষার বিষয়ে অবহিত করছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সুচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হ্যাকারদের সাম্প্রতিক কর্মক-ে ব্যাংকিং ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে চারটি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে বলেন, ‘সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।’
পলক বলেন, ‘ওপেনসোর্স ইন্টিলিজেন্স বা ওএসআইএনটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্টেট স্পন্সর (রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়) হ্যাকারদের তৎপরতা বেড়েছে।’ এজন্য তিনি সবাইকে সতর্ক ও প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পলক বলেন, ‘গোপনেই দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। আর্থিক ও পাওয়ার সেক্টর ছাড়াও এবার দেশের মোবাইল অপারেটরদের ওপর দৃষ্টি পড়েছে সংঘবদ্ধ হ্যাকারদের। ইতোমধ্যেই একাধিক মোবাইল অপারেটর ইনফেক্টেড। অপারেটরগুলোর ডেটাবেজ, সার্ভার ও পরিকাঠামো ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে। এজন্য দ্রুত আইটি অডিট করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসএ-তে একটি সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্টদের নিরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মোঃ খায়রুল আমিন এবং বিডিজিডি ই-গভ সার্ট পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ।