ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

ব্যাংককে ইউনূস-মোদির বৈঠকে প্রস্তুত ঢাকা, দিল্লির জবাবের অপেক্ষা

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন-থাইল্যান্ড সফর নিয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের জন্য প্রস্তত বাংলাদেশ। এ বৈঠক নিয়ে ভারতের দিক থেকে ইতিবাচক উত্তরের অপেক্ষায় আছে ঢাকা।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন-থাইল্যান্ড সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।

ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, যেকোনো দেশের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের যে বৈঠক, সেই বৈঠক আমরা গুরত্বপূর্ণ মনে করি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠকটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং আমরা আশা করছি এই বৈঠকটি যদি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে সৃষ্ট স্থবিরতা, সেটি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

জসীম উদ্দিন বলেন, আমাদের দিক থেকে বলতে পারি, আমরা এই বৈঠকের জন্য প্রস্তুত আছি। ভারতের দিক থেকে আমরা একটা ইতিবাচক উত্তরের অপেক্ষায় আছি।

ইউনূস-মোদির বৈঠকের জন্য ঢাকা প্রস্তুত, তবে কি দিল্লি প্রস্তুত না? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দিল্লি প্রস্তুত কি না, সেটা দিল্লি বলবে। আমরা এই বৈঠকের অপেক্ষায় থাকব।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের একটি বৈঠকে বলেছেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে ব্যাংককে ইউনূস-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা দেখছে ঢাকার কূটনৈতিক অঙ্গন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে যে টানাপড়েন চলছে সেটি প্রশমিত করতে এ বৈঠক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে। আর এটি দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। কোনো কারণে ব্যাংককে ইউনূস-মোদির বৈঠক না হলেও তাদের সাক্ষাৎ হবে, সেটি নিশ্চিত।

আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আগামী ৩ এপ্রিল সম্মেলনে যোগ দিতে ব্যাংকক যাবেন। ৪ এপ্রিল বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন সরকারপ্রধান।

বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ: আগামী ২ বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী মাসে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা আসবে। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরাষ্ট্রসচিব মো জসীম উদ্দিন।

পররাষ্ট্রসচিব জানান, আগামী ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে উপদেষ্টা আগামী ৩ এপ্রিল ব্যাংককে পৌঁছাবেন। ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ আগামী ২ বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে বিধায় এবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এবারের সম্মেলন নতুন বাংলাদেশের জন্য বিমসটেকের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক অঙ্গনে নতুন পদচারণা। এবারের সম্মেলন আমাদের জন্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি ন্যায় ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে উপস্থাপনের সুযোগ এনে দেবে বলে জানান পররাষ্ট্রসচিব।

জসীম উদ্দিন বলেন, আমি আগামী ২ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রসমূহের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ২৫তম সভায় অংশগ্রহণ করব। এ ছাড়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আগামী ৩ এপ্রিল মন্ত্রীপর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৪ এপ্রিল বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলন শেষে ওইদিন দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি।

পররাষ্ট্রসচিব জানান, আগামী ৩ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা ইওগঝঞঊঈ ণড়ঁহম এবহবৎধঃরড়হ ঋড়ৎঁস: ডযবৎব ঃযব ঋঁঃঁৎব গববঃং শীর্ষক ফোরামে বক্তব্য দেবেন। আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রসমূহের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বিমসটেক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করবেন এবং বিমসটেক অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ এই অঞ্চলকে আর্থ-সামাজিকভাবে আরো উন্নত, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন।

তিনি বলেন, বিমসটেকের আওতায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, যোগাযোগ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, জ্বালানি সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা ও মানব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, সংস্কৃতি, পর্যটনের বিকাশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিমারি মোকাবিলায় প্রস্তুতি প্রভৃতি বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র/সরকার প্রধানরা সর্বসম্মতিক্রমে যৌথ ঘোষণা জারি করবেন।

জসীম উদ্দিন জানান, বিমসটেক ৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেকের সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যকার মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট কোপারেশন সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এ চুক্তি বাণিজ্যিক শিপিং এবং সামুদ্রিক পরিবহন শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্যাংককে ইউনূস-মোদির বৈঠকে প্রস্তুত ঢাকা, দিল্লির জবাবের অপেক্ষা

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের জন্য প্রস্তত বাংলাদেশ। এ বৈঠক নিয়ে ভারতের দিক থেকে ইতিবাচক উত্তরের অপেক্ষায় আছে ঢাকা।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন-থাইল্যান্ড সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।

ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, যেকোনো দেশের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের যে বৈঠক, সেই বৈঠক আমরা গুরত্বপূর্ণ মনে করি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠকটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং আমরা আশা করছি এই বৈঠকটি যদি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে সৃষ্ট স্থবিরতা, সেটি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

জসীম উদ্দিন বলেন, আমাদের দিক থেকে বলতে পারি, আমরা এই বৈঠকের জন্য প্রস্তুত আছি। ভারতের দিক থেকে আমরা একটা ইতিবাচক উত্তরের অপেক্ষায় আছি।

ইউনূস-মোদির বৈঠকের জন্য ঢাকা প্রস্তুত, তবে কি দিল্লি প্রস্তুত না? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দিল্লি প্রস্তুত কি না, সেটা দিল্লি বলবে। আমরা এই বৈঠকের অপেক্ষায় থাকব।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের একটি বৈঠকে বলেছেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে ব্যাংককে ইউনূস-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা দেখছে ঢাকার কূটনৈতিক অঙ্গন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে যে টানাপড়েন চলছে সেটি প্রশমিত করতে এ বৈঠক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে। আর এটি দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। কোনো কারণে ব্যাংককে ইউনূস-মোদির বৈঠক না হলেও তাদের সাক্ষাৎ হবে, সেটি নিশ্চিত।

আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আগামী ৩ এপ্রিল সম্মেলনে যোগ দিতে ব্যাংকক যাবেন। ৪ এপ্রিল বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন সরকারপ্রধান।

বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ: আগামী ২ বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী মাসে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা আসবে। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরাষ্ট্রসচিব মো জসীম উদ্দিন।

পররাষ্ট্রসচিব জানান, আগামী ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে উপদেষ্টা আগামী ৩ এপ্রিল ব্যাংককে পৌঁছাবেন। ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ আগামী ২ বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে বিধায় এবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এবারের সম্মেলন নতুন বাংলাদেশের জন্য বিমসটেকের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক অঙ্গনে নতুন পদচারণা। এবারের সম্মেলন আমাদের জন্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি ন্যায় ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে উপস্থাপনের সুযোগ এনে দেবে বলে জানান পররাষ্ট্রসচিব।

জসীম উদ্দিন বলেন, আমি আগামী ২ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রসমূহের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ২৫তম সভায় অংশগ্রহণ করব। এ ছাড়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আগামী ৩ এপ্রিল মন্ত্রীপর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৪ এপ্রিল বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলন শেষে ওইদিন দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি।

পররাষ্ট্রসচিব জানান, আগামী ৩ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা ইওগঝঞঊঈ ণড়ঁহম এবহবৎধঃরড়হ ঋড়ৎঁস: ডযবৎব ঃযব ঋঁঃঁৎব গববঃং শীর্ষক ফোরামে বক্তব্য দেবেন। আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রসমূহের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বিমসটেক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করবেন এবং বিমসটেক অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ এই অঞ্চলকে আর্থ-সামাজিকভাবে আরো উন্নত, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন।

তিনি বলেন, বিমসটেকের আওতায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, যোগাযোগ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, জ্বালানি সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা ও মানব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, সংস্কৃতি, পর্যটনের বিকাশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিমারি মোকাবিলায় প্রস্তুতি প্রভৃতি বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র/সরকার প্রধানরা সর্বসম্মতিক্রমে যৌথ ঘোষণা জারি করবেন।

জসীম উদ্দিন জানান, বিমসটেক ৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেকের সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যকার মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট কোপারেশন সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এ চুক্তি বাণিজ্যিক শিপিং এবং সামুদ্রিক পরিবহন শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।