ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

ব্যস্ততায় সৈকতের ফটোগ্রাফার

  • আপডেট সময় : ০২:০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী সংবাদদাতা : পর্যটকদের পদচারণায় মুখর পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সাগরকন্যার সৌন্দর্যের সঙ্গে ভ্রমণের স্মৃতি ধরে রাখতে সব পর্যটকই নিজের ছবি তুলে রাখতে ভুলেন না। তবে যাদের ভালো ক্যামেরা নেই, তারা চাইলেই ছবি তুলে নিতে পারেন সৈকতের ফটোগ্রাফারদের মাধ্যমে। ঘুরতে আসা সরকারি বিএম কলেজের বাংলা বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাথী আক্তার বলেন, কুয়াকাটায় এই প্রথম এসেছি। কলেজ থেকে বন্ধুরা মিলে আসলাম। ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে অনেক ফটোগ্রাফার পর্যটকদের ছবি তুলছে দিচ্ছেন। আমরাও অনেকগুলো ছবি তুলিয়ে নিলাম। সূর্যাস্তের সময় ছবি তুলতে তুলতে বিএম কলেজের আরেক শিক্ষার্থী হাফসা মিতু বলেন, সকালে সূর্যোদয়, দুপুরে গোসল করা, বিকেলে সূর্যাস্ত দেখাসহ পুরো ট্যুরের ছবি তোলার জন্য একজন ফটোগ্রাফার সঙ্গে নিয়েছি। তিনি আমাদের ছবি তুলে দিচ্ছেন। কুয়াকাটা ঘোরাঘুরির বিভিন্ন মূহুর্তের ছবি তুলে দিচ্ছেন। বিষয়টি বেশ ভালোই লাগছে। গত পাঁচ বছর ধরে এই সৈকতে ছবি তোলার কাজ করেন খায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের বিভিন্ন স্পটে নিয়ে ছবি তুলে দিই। তারা আমাদের হাতে তোলা সুন্দর ছবিগুলো পেয়ে খুশি হন। এতে আমাদেরও আয় রোজগার হয়। এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস শেখ বলেন, মূলত পর্যটকদের সেবায় কাজ করে থাকি। ছবি তোলার কাজ করে অনেকেই তাদের পরিবার নিয়ে ভালোভাবে জীবন চালাতে পারছেন। সমিতির আইন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তিনি আরও বলেন, পছন্দ অনুযায়ী ছবি বাছাই করে মেমোরিকার্ডে নিলে ছবিপ্রতি পাঁচ টাকা আর ফোরআর সাইজে প্রিন্ট করে নিলে বিশ টাকা করে দিতে হয় পর্যটকদের। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ থেকে সবসময় মাইকিং করে হলুদ টি-শার্ট গায়ে জড়ানো ফটোগ্রাফার ছাড়া অন্যদের দ্বারা ছবি তুলতে নিষেধ করা হয়, যাতে কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার না হন। কোনো ফটোগ্রাফার দ্বারা পর্যটক হয়রানির শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্যস্ততায় সৈকতের ফটোগ্রাফার

আপডেট সময় : ০২:০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

পটুয়াখালী সংবাদদাতা : পর্যটকদের পদচারণায় মুখর পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সাগরকন্যার সৌন্দর্যের সঙ্গে ভ্রমণের স্মৃতি ধরে রাখতে সব পর্যটকই নিজের ছবি তুলে রাখতে ভুলেন না। তবে যাদের ভালো ক্যামেরা নেই, তারা চাইলেই ছবি তুলে নিতে পারেন সৈকতের ফটোগ্রাফারদের মাধ্যমে। ঘুরতে আসা সরকারি বিএম কলেজের বাংলা বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাথী আক্তার বলেন, কুয়াকাটায় এই প্রথম এসেছি। কলেজ থেকে বন্ধুরা মিলে আসলাম। ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে অনেক ফটোগ্রাফার পর্যটকদের ছবি তুলছে দিচ্ছেন। আমরাও অনেকগুলো ছবি তুলিয়ে নিলাম। সূর্যাস্তের সময় ছবি তুলতে তুলতে বিএম কলেজের আরেক শিক্ষার্থী হাফসা মিতু বলেন, সকালে সূর্যোদয়, দুপুরে গোসল করা, বিকেলে সূর্যাস্ত দেখাসহ পুরো ট্যুরের ছবি তোলার জন্য একজন ফটোগ্রাফার সঙ্গে নিয়েছি। তিনি আমাদের ছবি তুলে দিচ্ছেন। কুয়াকাটা ঘোরাঘুরির বিভিন্ন মূহুর্তের ছবি তুলে দিচ্ছেন। বিষয়টি বেশ ভালোই লাগছে। গত পাঁচ বছর ধরে এই সৈকতে ছবি তোলার কাজ করেন খায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের বিভিন্ন স্পটে নিয়ে ছবি তুলে দিই। তারা আমাদের হাতে তোলা সুন্দর ছবিগুলো পেয়ে খুশি হন। এতে আমাদেরও আয় রোজগার হয়। এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। কুয়াকাটা ফটোগ্রাফার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস শেখ বলেন, মূলত পর্যটকদের সেবায় কাজ করে থাকি। ছবি তোলার কাজ করে অনেকেই তাদের পরিবার নিয়ে ভালোভাবে জীবন চালাতে পারছেন। সমিতির আইন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তিনি আরও বলেন, পছন্দ অনুযায়ী ছবি বাছাই করে মেমোরিকার্ডে নিলে ছবিপ্রতি পাঁচ টাকা আর ফোরআর সাইজে প্রিন্ট করে নিলে বিশ টাকা করে দিতে হয় পর্যটকদের। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ থেকে সবসময় মাইকিং করে হলুদ টি-শার্ট গায়ে জড়ানো ফটোগ্রাফার ছাড়া অন্যদের দ্বারা ছবি তুলতে নিষেধ করা হয়, যাতে কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার না হন। কোনো ফটোগ্রাফার দ্বারা পর্যটক হয়রানির শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়।