প্রত্যাশা ডেস্ক: নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি দুর্নীতি দমন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের অঙ্গীকার করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জনগণের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
তরুণদের (জেন-জি) নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের মুখে আগের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই পদে আসেন সুশীলা কারকি। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি ও অন্যান্য ব্যর্থতা থেকে সৃষ্ট হতাশার কারণেই এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দুই দিন ধরে চলা ব্যাপক বিক্ষোভে কমপক্ষে ৭২ জন নিহত হন। আহত হন ২ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সরকারি–বেসরকারি সম্পত্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট ও পার্লামেন্ট ভবনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি।
সংবিধান ঘোষণার দশম বার্ষিকী উপলক্ষে নেপালের জাতীয় দিবসে সুশীলা কারকি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এই সত্য মেনে নিতে হবে যে সুশাসন ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক চেতনা ও লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার কারণেই এ বিক্ষোভ হয়েছে।’
গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের মধ্যে আলোচনার পর সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সানা/আপ্র/২০/০৯/২০২৫