ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্যবহারকারীদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দিচ্ছে ফেসবুক, যারা পাবেন

  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রযুক্তি ডেস্ক: তথ্য সুরক্ষিত রাখতে না পারায় অনেক ব্যবহারকারীকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া শুরু করেছে ফেসবুক। সংবাদমাধ্যম এনবিসি শিকাগো বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণের অর্থ ইতিমধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসা শুরু হয়েছে।

ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল। যেগুলো রাজনৈতিক ও বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল।

ফেসবুকের পেরেন্ট কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারেনি এবং থার্ড পার্টির কাছে যাওয়া তথ্যের ওপরও পূর্ণ নজর রাখতে পারেনি।

এরপর ২০১৮ সালে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের একটি ফেডারেল আদালতে মামলা করা হয়।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা ৭২৫ মিলিয়ন ডলারে আপস করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মাধ্যমে মামলাটি আর বিচার পর্যন্ত গড়ায়নি এবং উভয় পক্ষই একটি সমঝোতায় আসে। ২০২৩ সালে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকলেও আরও আইনি জটিলতা থাকায় এটি সম্ভব হয়নি। তবে সব ঝামেলা শেষে এখন ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছে তারা।

ক্ষতিপূরণের টাকা কাদের জন্য?

এই ক্ষতিপূরণের জন্য যোগ্য ছিলেন সেই সব মার্কিন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা, যাদের ২০০৭ সালের ২৪ মে থেকে ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সক্রিয় অ্যাকাউন্ট ছিল। এমনকি, এই সময়ের মধ্যে যাদের অ্যাকাউন্ট ছিল কিন্তু এখন আর নেই, তারাও আবেদন করতে পেরেছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের যেসব ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছিলেন তারাই এ অর্থ পাবেন। অন্য কোনো দেশের নয়। যদিও বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে গুঞ্জন উঠেছে অনেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। এ তথ্যটি সঠিক নয়।

কত টাকা পাবেন ক্ষতিগ্রস্তরা?

ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে। মোট মীমাংসা তহবিল থেকে আইনি ও প্রশাসনিক খরচ বাদ দেওয়ার পর, বাকি টাকাটি একটি “নেট তহবিল” হিসেবে গণ্য হবে।

এই তহবিল থেকে টাকা বিতরণের জন্য একটি পয়েন্ট সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। একজন আবেদনকারী যত মাস ফেসবুক ব্যবহার করেছেন, প্রতি মাসের জন্য তাকে একটি করে পয়েন্ট দেওয়া হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্যবহারকারী ১০ বছর ধরে ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তিনি ১২০টি পয়েন্ট পাবেন। যার পয়েন্ট যত বেশি, তিনি তত বেশি টাকা পাবেন।

এই অর্থ সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পেপ্যাল, ভার্চুয়াল প্রিপেইড মাস্টারকার্ড, ভেনমো অথবা জেলের মাধ্যমে পাঠানো হবে।

সূত্র: এনবিসি শিকাগো

ওআ/আপ্র/১৭/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এবার ‘কাকতাড়ুয়া দহন’ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কারিগরির শিক্ষার্থীরা

ব্যবহারকারীদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দিচ্ছে ফেসবুক, যারা পাবেন

আপডেট সময় : ০৯:০৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: তথ্য সুরক্ষিত রাখতে না পারায় অনেক ব্যবহারকারীকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া শুরু করেছে ফেসবুক। সংবাদমাধ্যম এনবিসি শিকাগো বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণের অর্থ ইতিমধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসা শুরু হয়েছে।

ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল। যেগুলো রাজনৈতিক ও বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল।

ফেসবুকের পেরেন্ট কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারেনি এবং থার্ড পার্টির কাছে যাওয়া তথ্যের ওপরও পূর্ণ নজর রাখতে পারেনি।

এরপর ২০১৮ সালে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের একটি ফেডারেল আদালতে মামলা করা হয়।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা ৭২৫ মিলিয়ন ডলারে আপস করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মাধ্যমে মামলাটি আর বিচার পর্যন্ত গড়ায়নি এবং উভয় পক্ষই একটি সমঝোতায় আসে। ২০২৩ সালে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকলেও আরও আইনি জটিলতা থাকায় এটি সম্ভব হয়নি। তবে সব ঝামেলা শেষে এখন ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করেছে তারা।

ক্ষতিপূরণের টাকা কাদের জন্য?

এই ক্ষতিপূরণের জন্য যোগ্য ছিলেন সেই সব মার্কিন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা, যাদের ২০০৭ সালের ২৪ মে থেকে ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সক্রিয় অ্যাকাউন্ট ছিল। এমনকি, এই সময়ের মধ্যে যাদের অ্যাকাউন্ট ছিল কিন্তু এখন আর নেই, তারাও আবেদন করতে পেরেছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের যেসব ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছিলেন তারাই এ অর্থ পাবেন। অন্য কোনো দেশের নয়। যদিও বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে গুঞ্জন উঠেছে অনেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। এ তথ্যটি সঠিক নয়।

কত টাকা পাবেন ক্ষতিগ্রস্তরা?

ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে। মোট মীমাংসা তহবিল থেকে আইনি ও প্রশাসনিক খরচ বাদ দেওয়ার পর, বাকি টাকাটি একটি “নেট তহবিল” হিসেবে গণ্য হবে।

এই তহবিল থেকে টাকা বিতরণের জন্য একটি পয়েন্ট সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। একজন আবেদনকারী যত মাস ফেসবুক ব্যবহার করেছেন, প্রতি মাসের জন্য তাকে একটি করে পয়েন্ট দেওয়া হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্যবহারকারী ১০ বছর ধরে ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তিনি ১২০টি পয়েন্ট পাবেন। যার পয়েন্ট যত বেশি, তিনি তত বেশি টাকা পাবেন।

এই অর্থ সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পেপ্যাল, ভার্চুয়াল প্রিপেইড মাস্টারকার্ড, ভেনমো অথবা জেলের মাধ্যমে পাঠানো হবে।

সূত্র: এনবিসি শিকাগো

ওআ/আপ্র/১৭/০৯/২০২৫