ক্রীড়া ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত বিপিএল চলাকালেই সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে। যদিও এরপর তার ম্যাচ খেলা কিংবা বোলিং করায় কোনো সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। বিপিএলের ফাইনালেও তিনি চিটাগাং কিংসের হয়ে খেলেছেন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। তবে তার বোলিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল, সেটি কেটে গেছে (সোমবার)। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিপিএলে মুখোমুখি হয়েছিল বরিশাল ও চিটাগাং।
ওই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে চিটাগং। সেই সুবাদে প্লে-অফ পর্বে প্রথম কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছিল বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সেদিনই দলটির হয়ে ৪ ওভার বল করে ৪১ রানে ১ উইকেট তুলে নেওয়া আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা। যার পরীক্ষায় তিনি পাস করেছেন।
মিরপুর শের-ই বাংলায় পরীক্ষা দিয়েছিলেন আরাফাত সানি। যেখানে তার পাস করার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে বিসিবির একটি সূত্র। জানা গেছে, তারা সানির বলে কোনো ত্রুটি খুঁজে পাননি। ফলে বল করতে কোনো বাধা নেই এই বাঁ-হাতি স্পিনারের। তবে জানিয়েছেন, এরপর আবারও সন্দেহের তিরে পড়লে সানিকে দেশের বাইরে নিরপেক্ষ ল্যাবে পরীক্ষা দিতে হবে। এর আগে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়ারদের সন্দেহ প্রকাশের বিষয়টি ম্যাচ রেফারিকে জানানো হয়।
সে কারণে বিপিএল ফাইনালের আগেরদিন (৬ ফেব্রুয়ারি) বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সানি। আজ সেই পরীক্ষার ফলাফল পেয়েছেন। এবারের বিপিএলে ১১ ম্যাচে ৮.১৭ ইকোনমিতে ১১ উইকেট শিকার করেন সানি। এর আগে ২০১৫ সালেও বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহ ওঠার পর পরীক্ষায় পাস করে বৈধতা পেয়েছিলেন এই বাংলাদেশি স্পিনার। কেবল সানিই নয়, সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে চিটাগাং কিংসের আরেক স্পিনার আলিস আল ইসলামের বোলিং অ্যাকশন নিয়েও সন্দেহ উঠেছিল। ১৯ জানুয়ারি চিটাগাং কিংস ও বরিশালের ম্যাচেই আম্পায়ারদের সন্দেহ জাগে আলিসের বোলিং নিয়ে।
পরে ২৫ জানুয়ারি মিরপুরে নিজের অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন এই মিস্ট্রি স্পিনার। পরবর্তীতে বৈধতা পেয়ে ফিরেছিলেন মাঠে।