ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

বোলারদের নৈপুণ্যে সুবিধাজনক অবস্থায় নিউজিল্যান্ড

  • আপডেট সময় : ০৬:৪১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৪০ রানে এগিয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩৪৭ রানের জবাবে ১৪৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ফলে ২০৪ রানের লিড পায় নিউজিল্যান্ড। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৩৬ রান করেছে কিউইরা। হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৮২ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড। মিচেল স্যান্টনার ৫০ ও শেষ ব্যাটার উইলিয়াম ও’রুর্ক খালি হাতে দিন শেষ করেছিলেন। দ্বিতীয় দিন বাকী ১ উইকেটে ৩২ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড পেসার ম্যাথু পটসের বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে স্যান্টনার আউট হলে ৩৪৭ রানে শেষ হয় কিউই ইনিংস। ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৭ বলে ৭৬ রান করেন স্যান্টনার। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন ও’রুর্ক। বল হাতে ইংল্যান্ডের পটস ৪টি, গাস অ্যাটকিনসন ৩টি উইকেট নেন। নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও ও’রুর্কের তোপে পড়ে দলীয় ৮২ রানেই ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এসময় হেনরি ২টি এবং ও’রুর্ক ৩ উইকেট নেন।
মিডল অর্ডারে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ওলি পোপ ও অধিনায়ক বেন স্টোকস। হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৫টি চারে ২৪ রান করা পোপকে শিকার করে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। দলীয় ১৩৪ রানে পোপ ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ফেরার পর বেশি দূর যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ৫টি চারে ২৭ রান করেন স্টোকস। এই ইনিংসে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন জো রুট। এতে এক বর্ষপঞ্জিকায় অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের পর দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে দ্বিতীয়বার ১৫শ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রুট। এ বছর এখন পর্যন্ত টেস্টে ১৫০২ রান ও ২০২১ সালে ১৭০৮ রান করেছিলেন রুট। আর ২০০৩ সালে ১৫০৩ ও ২০০৫ সালে ১৫৪৪ রান করেছিলেন পন্টিং। বল হাতে নিউজিল্যান্ডের হেনরি ৪টি, ও’রুর্ক ও স্যান্টনার ৩টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংস থেকে পাওয়া ২০৪ রানের লিডকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে দলীয় ৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১৯ রানে আউট হন ওপেনার ও অধিনায়ক টম লাথাম। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ বলে ৮৯ রানের জুটিতে নিউজিল্যান্ডের লিড ৩শ পার করেন উইল ইয়ং ও কেন উইলিয়ামসন। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন। দিনের শেষভাগে এসে দুই উইকেট শিকার করেন ইংল্যান্ডের স্টোকস। ৯টি চারে ৬০ রান করা ইয়ংকে ও নাইটওয়াচম্যান ও’রুককে শূন্যতে বিদায় করেন তিনি। রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন উইলিয়ামসন। ৮টি চারে উইলিয়ামসন ৫০ এবং রবীন্দ্র ২ রানে অপরাজিত আছেন। ইংল্যান্ডের স্টোকস ২টি ও গাস অ্যাটকিনসন ১টি উইকেট নেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোলারদের নৈপুণ্যে সুবিধাজনক অবস্থায় নিউজিল্যান্ড

আপডেট সময় : ০৬:৪১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৪০ রানে এগিয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩৪৭ রানের জবাবে ১৪৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ফলে ২০৪ রানের লিড পায় নিউজিল্যান্ড। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৩৬ রান করেছে কিউইরা। হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৮২ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড। মিচেল স্যান্টনার ৫০ ও শেষ ব্যাটার উইলিয়াম ও’রুর্ক খালি হাতে দিন শেষ করেছিলেন। দ্বিতীয় দিন বাকী ১ উইকেটে ৩২ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড পেসার ম্যাথু পটসের বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে স্যান্টনার আউট হলে ৩৪৭ রানে শেষ হয় কিউই ইনিংস। ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৭ বলে ৭৬ রান করেন স্যান্টনার। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন ও’রুর্ক। বল হাতে ইংল্যান্ডের পটস ৪টি, গাস অ্যাটকিনসন ৩টি উইকেট নেন। নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও ও’রুর্কের তোপে পড়ে দলীয় ৮২ রানেই ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এসময় হেনরি ২টি এবং ও’রুর্ক ৩ উইকেট নেন।
মিডল অর্ডারে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ওলি পোপ ও অধিনায়ক বেন স্টোকস। হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৫টি চারে ২৪ রান করা পোপকে শিকার করে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। দলীয় ১৩৪ রানে পোপ ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ফেরার পর বেশি দূর যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ৫টি চারে ২৭ রান করেন স্টোকস। এই ইনিংসে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন জো রুট। এতে এক বর্ষপঞ্জিকায় অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের পর দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে দ্বিতীয়বার ১৫শ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রুট। এ বছর এখন পর্যন্ত টেস্টে ১৫০২ রান ও ২০২১ সালে ১৭০৮ রান করেছিলেন রুট। আর ২০০৩ সালে ১৫০৩ ও ২০০৫ সালে ১৫৪৪ রান করেছিলেন পন্টিং। বল হাতে নিউজিল্যান্ডের হেনরি ৪টি, ও’রুর্ক ও স্যান্টনার ৩টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংস থেকে পাওয়া ২০৪ রানের লিডকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে দলীয় ৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১৯ রানে আউট হন ওপেনার ও অধিনায়ক টম লাথাম। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ বলে ৮৯ রানের জুটিতে নিউজিল্যান্ডের লিড ৩শ পার করেন উইল ইয়ং ও কেন উইলিয়ামসন। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন। দিনের শেষভাগে এসে দুই উইকেট শিকার করেন ইংল্যান্ডের স্টোকস। ৯টি চারে ৬০ রান করা ইয়ংকে ও নাইটওয়াচম্যান ও’রুককে শূন্যতে বিদায় করেন তিনি। রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন উইলিয়ামসন। ৮টি চারে উইলিয়ামসন ৫০ এবং রবীন্দ্র ২ রানে অপরাজিত আছেন। ইংল্যান্ডের স্টোকস ২টি ও গাস অ্যাটকিনসন ১টি উইকেট নেন।