ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

বোরো ধানে মরা শীষে কৃষকদের শঙ্কায় কাটছে দিন

  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে বোরো ধানক্ষেতে ব্যাপক আকারে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে ধানগাছ থেকে মরা শীষ বের হচ্ছে; যা দেখে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষকরা।

পোড়াগাঁও, নন্নী, নয়াবিল, বাঘবের, রামচন্দ্রকুড়া, নালিতাবাড়ী ও কাকরকান্দি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠে এ পোকা আক্রমণ দেখা গেছে। কৃষকরা জানান, যথাযথ সার প্রয়োগ, ছত্রাক ও পোকামাকড়ের ওষুধ ব্যবহারের পরও ধানগাছ থেকে শীষ বের হওয়ার সময় তা শুকিয়ে যাচ্ছে, চিটা হয়ে যাচ্ছে ধান।
বারোমারী আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক কিতাব আলী, হাবিল উদ্দিন, বাদল মিয়া ও ফেরদৌস আলম বলেন, “আমরা যথাসময়ে ইউরিয়া, এমওপি, ডিএপি সার দিয়েছি। কীটনাশকও ব্যবহার করেছি। তবু ধান মরে যাচ্ছে। এতে ফলন নিয়ে চিন্তায় আছি।”
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নালিতাবাড়ীতে ২৩ হাজার ১৩৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যদিও বেশিরভাগ জমিতে আবাদ ভালো হয়েছে, তবু কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলের মাঠে মাজরা পোকার আক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এটি মূলত মাজরা পোকার আক্রমণ। গাছের কা-ে ঢুকে এই পোকা শীষ শুকিয়ে দেয়। যেটা ‘মরা শীষ’ হিসেবে দেখা দেয়। তবে একরে যদি পাঁচ শতাংশের বেশি মরা শীষ না হয়, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কৃষি বিভাগ এ বছর নালিতাবাড়ী থেকে ১৬টি কোম্পানির কীটনাশকের নমুনা ল্যাবে পাঠিয়েছে। কোনোটিতে ভেজাল প্রমাণিত হলে তা বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বোরো ধানে মরা শীষে কৃষকদের শঙ্কায় কাটছে দিন

আপডেট সময় : ০৫:১৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে বোরো ধানক্ষেতে ব্যাপক আকারে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে ধানগাছ থেকে মরা শীষ বের হচ্ছে; যা দেখে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষকরা।

পোড়াগাঁও, নন্নী, নয়াবিল, বাঘবের, রামচন্দ্রকুড়া, নালিতাবাড়ী ও কাকরকান্দি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠে এ পোকা আক্রমণ দেখা গেছে। কৃষকরা জানান, যথাযথ সার প্রয়োগ, ছত্রাক ও পোকামাকড়ের ওষুধ ব্যবহারের পরও ধানগাছ থেকে শীষ বের হওয়ার সময় তা শুকিয়ে যাচ্ছে, চিটা হয়ে যাচ্ছে ধান।
বারোমারী আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক কিতাব আলী, হাবিল উদ্দিন, বাদল মিয়া ও ফেরদৌস আলম বলেন, “আমরা যথাসময়ে ইউরিয়া, এমওপি, ডিএপি সার দিয়েছি। কীটনাশকও ব্যবহার করেছি। তবু ধান মরে যাচ্ছে। এতে ফলন নিয়ে চিন্তায় আছি।”
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নালিতাবাড়ীতে ২৩ হাজার ১৩৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যদিও বেশিরভাগ জমিতে আবাদ ভালো হয়েছে, তবু কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলের মাঠে মাজরা পোকার আক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এটি মূলত মাজরা পোকার আক্রমণ। গাছের কা-ে ঢুকে এই পোকা শীষ শুকিয়ে দেয়। যেটা ‘মরা শীষ’ হিসেবে দেখা দেয়। তবে একরে যদি পাঁচ শতাংশের বেশি মরা শীষ না হয়, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কৃষি বিভাগ এ বছর নালিতাবাড়ী থেকে ১৬টি কোম্পানির কীটনাশকের নমুনা ল্যাবে পাঠিয়েছে। কোনোটিতে ভেজাল প্রমাণিত হলে তা বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।