ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

বোনাসসহ এপ্রিলের ১৫ দিনের বেতন পাবেন পোশাকশ্রমিকরা

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল ফিতরের আগেই তৈরি পোশাকসহ প্রতিটি কারখানার শ্রমিকদের বোনাস দিতে হবে। একই সঙ্গে ঈদের ছুটির আগে এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতনসহ বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। তবে জরুরি রপ্তানি থাকলে সেক্ষেত্রে কারখানা খোলা রাখতে পারবেন মালিকরা। এটা হবে রাষ্ট্রের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে। গতকাল সোমবার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ সংক্রান্ত এক সভায় এসব নির্দেশনা দেন। প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে সরকার, মালিক, শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৭১তম সভা এবং আরএমজিবিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (আরএমজি-টিসিসি) এর ১২তম এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আগামী ২ বা ৩ মে উদযাপিত হবে। এ ঈদকে সামনে রেখে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে কারখানা মালিকরাও ছুটি ঘোষণা করবেন। সরকারি ছুটির শুরুর আগেই বোনাস, মার্চ মাসের বেতন, বকেয়া এবং চলতি মাসের ১৫ দিনের বেতন প্রদান করতে হবে।
তবে ঠিক কয় তারিখ বা কত রোজার মধ্যে বেতন-বোনাস বা চলতি এপ্রিলের ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে সেটা উল্লেখ করেননি প্রতিমন্ত্রী।
সভায় শ্রমিক নেতা নাজমা বলেন, ২০ রমজানের আগেই অর্থাৎ ২২ এপ্রিলের আগেই পোশাককারখানার শ্রমিকদের বোনাস দিতে হবে। এতে তারা নিজের ও পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার ২৭ রমজানের আগেই এপ্রিল মাসের ন্যূনতম ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে। এটা করতে পারলে শ্রমিকরা নিজ পরিবারের সঙ্গে গ্রামে উৎসব উদযাপন করতে পারবেন। শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদে ছুটি নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করে থাকেন। এক্ষেত্রে ছুটির বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন। এটা করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিক নেতা রাশেদুল হক রাজু বলেন, নিত্যপণ্য বেড়ে শ্রমিকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। টিসিবির মাধ্যমে শ্রমিকদের পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে ঈদে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে। ঈদের সময় কারখানা ছুটি হলেই ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এ বাড়তি ভাড়া বহন করা শ্রমিকের জন্য কষ্টকর। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান-ই-এলাহী, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মাহমুদ, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি নাসির হোসেন, বিকেএমইএ’র প্রতিনিধি ফারজানা শামীমা, শ্রমিক নেতা সুলতান আহমেদ, ফিরোজ হোসাইন, নয়মুর হাসান জুয়েল, সড়ক-মহাসড়ক বিভাগের প্রতিনিধি সুলতানা নাসরিন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন আশা

বোনাসসহ এপ্রিলের ১৫ দিনের বেতন পাবেন পোশাকশ্রমিকরা

আপডেট সময় : ০২:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল ফিতরের আগেই তৈরি পোশাকসহ প্রতিটি কারখানার শ্রমিকদের বোনাস দিতে হবে। একই সঙ্গে ঈদের ছুটির আগে এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতনসহ বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। তবে জরুরি রপ্তানি থাকলে সেক্ষেত্রে কারখানা খোলা রাখতে পারবেন মালিকরা। এটা হবে রাষ্ট্রের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে। গতকাল সোমবার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ সংক্রান্ত এক সভায় এসব নির্দেশনা দেন। প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে সরকার, মালিক, শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৭১তম সভা এবং আরএমজিবিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (আরএমজি-টিসিসি) এর ১২তম এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আগামী ২ বা ৩ মে উদযাপিত হবে। এ ঈদকে সামনে রেখে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে কারখানা মালিকরাও ছুটি ঘোষণা করবেন। সরকারি ছুটির শুরুর আগেই বোনাস, মার্চ মাসের বেতন, বকেয়া এবং চলতি মাসের ১৫ দিনের বেতন প্রদান করতে হবে।
তবে ঠিক কয় তারিখ বা কত রোজার মধ্যে বেতন-বোনাস বা চলতি এপ্রিলের ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে সেটা উল্লেখ করেননি প্রতিমন্ত্রী।
সভায় শ্রমিক নেতা নাজমা বলেন, ২০ রমজানের আগেই অর্থাৎ ২২ এপ্রিলের আগেই পোশাককারখানার শ্রমিকদের বোনাস দিতে হবে। এতে তারা নিজের ও পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার ২৭ রমজানের আগেই এপ্রিল মাসের ন্যূনতম ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে। এটা করতে পারলে শ্রমিকরা নিজ পরিবারের সঙ্গে গ্রামে উৎসব উদযাপন করতে পারবেন। শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদে ছুটি নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করে থাকেন। এক্ষেত্রে ছুটির বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন। এটা করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিক নেতা রাশেদুল হক রাজু বলেন, নিত্যপণ্য বেড়ে শ্রমিকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। টিসিবির মাধ্যমে শ্রমিকদের পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে ঈদে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে। ঈদের সময় কারখানা ছুটি হলেই ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এ বাড়তি ভাড়া বহন করা শ্রমিকের জন্য কষ্টকর। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান-ই-এলাহী, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মাহমুদ, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি নাসির হোসেন, বিকেএমইএ’র প্রতিনিধি ফারজানা শামীমা, শ্রমিক নেতা সুলতান আহমেদ, ফিরোজ হোসাইন, নয়মুর হাসান জুয়েল, সড়ক-মহাসড়ক বিভাগের প্রতিনিধি সুলতানা নাসরিন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি।