ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা বরিশালে শেখ হাসিনাসহ ৫৫৬ জন আসামি

  • আপডেট সময় : ০৬:১২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল সংবাদদাতা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বরিশালে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত প্রায় ১ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গত বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সাবেক সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ও সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১নং আসামি শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় হুমকিধমকি দিতেন। তার হুকুমে আওয়ামী লীগ ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়। তারা বিভিন্ন সময় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে বরিশাল নগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। জনমনে আতঙ্কের লক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ও অলিগলিতে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করত। গত ১৯ জুলাই সিঅ্যান্ডবি সড়কের চৌমাথা এলাকায় জিয়া উদ্দিন সিকদারসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করছিলেন। এ সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে বরিশাল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। জিয়া উদ্দিন সিকদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনার পর জিয়া উদ্দিন সিকদার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করলে জিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। ৫ আগস্টের পর জিয়া মুক্ত হন। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় এর আগে বরিশালে দুটি মামলা হয়েছে। তবে এবারই প্রথম শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।
সাবেক এমপি মমতাজসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনার প্রায় এক যুগ পর মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৫২ নেতাকর্মী ও ৩৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) মানিকুগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত মাওলানা নাসির উদ্দিনের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, পৌর প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিল আব্দুস সালাম খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিনসহ ৫২ জন। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- তৎকালীন মানিকগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিংগাইর থানার এসআই আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেনসহ ৩৮ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর পৌরসভার গোবিন্ধল থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রিভলবার, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে উপস্থিত হয়ে বাধা দেয়। একপর্যায়ে সাধারণ মুসল্লিদের লক্ষ্য করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে গোবিন্ধল গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দীন ও শাহ আলম নিহত হন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক সাধারণ মুসল্লি আহত হন। মামলার বাদী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে গ্রামবাসী ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। তাই সুষ্ঠু বিচারের আশায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গতকাল বুধবার মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেছি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা বরিশালে শেখ হাসিনাসহ ৫৫৬ জন আসামি

আপডেট সময় : ০৬:১২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

বরিশাল সংবাদদাতা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বরিশালে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত প্রায় ১ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গত বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সাবেক সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ও সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১নং আসামি শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় হুমকিধমকি দিতেন। তার হুকুমে আওয়ামী লীগ ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়। তারা বিভিন্ন সময় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে বরিশাল নগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। জনমনে আতঙ্কের লক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ও অলিগলিতে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করত। গত ১৯ জুলাই সিঅ্যান্ডবি সড়কের চৌমাথা এলাকায় জিয়া উদ্দিন সিকদারসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করছিলেন। এ সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে বরিশাল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। জিয়া উদ্দিন সিকদারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনার পর জিয়া উদ্দিন সিকদার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করলে জিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। ৫ আগস্টের পর জিয়া মুক্ত হন। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় এর আগে বরিশালে দুটি মামলা হয়েছে। তবে এবারই প্রথম শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।
সাবেক এমপি মমতাজসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনার প্রায় এক যুগ পর মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৫২ নেতাকর্মী ও ৩৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) মানিকুগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত মাওলানা নাসির উদ্দিনের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, পৌর প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিল আব্দুস সালাম খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিনসহ ৫২ জন। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- তৎকালীন মানিকগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিংগাইর থানার এসআই আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেনসহ ৩৮ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর পৌরসভার গোবিন্ধল থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রিভলবার, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে উপস্থিত হয়ে বাধা দেয়। একপর্যায়ে সাধারণ মুসল্লিদের লক্ষ্য করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে গোবিন্ধল গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দীন ও শাহ আলম নিহত হন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক সাধারণ মুসল্লি আহত হন। মামলার বাদী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে গ্রামবাসী ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। তাই সুষ্ঠু বিচারের আশায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গতকাল বুধবার মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেছি।