ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

বৈশাখী আয়োজন এবার দুপুরেই শেষ করতে হবে: পুলিশ

  • আপডেট সময় : ০২:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশাখের প্রথম দিন বর্ষবরণের সব আয়োজন এবার বেলা ২টার মধ্যে শেষ করতে বলেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বথা বলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এবার রোজার মধ্যে পহেলা বৈশাখ হবে। তাই দিনের বেলা কোনো খাবার দোকান খোলা থাকবে না। রোজার মাস চলছে, তাই এবার বেলা ২টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।”
রমনা বটমূল এবং আশপাশের এলাকায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যারা আসবেন, তাদের ২টার মধ্যে চলে যেতে হবে। বেলা ১টার পর নতুন করে কাউকে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ ফটকে তল্লাশি করা হবে। সিসি ক্যামেরায় পুরো এলাকায় নজরদারি থাকবে। এবার সময়ের কড়াকড়ি করার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, “যারা এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ রোজা থাকেন। রমজান শেষে এই দিনটি পড়লে আবার আগের মত বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠান নেওয়া হবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত দুই বছর পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজন তুলে রাখতে হয়েছিল। সংক্রমণ কমে আসায় আসছে বৃহস্পতিবার ভোরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষণবরণ অনুষ্ঠান হবে। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের জন্য গতিপথ বদলে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে টিএসসি থেকে ভিসির চত্বর পর্যন্ত রাস্তায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের বানানো বৈশাখী মুখোশ হাতে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাজানো বা বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বর্ষবরণ নির্বিঘœ করতে যান চলবে না যেসব সড়কে : মহামারীর ধাক্কা সামলে দুই বছর পর বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে মানুষের অংশগ্রহণ নির্বিঘœ করতে রাজধানীর ৩৭টি পয়েন্টে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
রমনা পার্ক এবং ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর কেন্দ্রিক সড়কগুলোতে রোডব্লক বসানো হবে এবং বেশ কিছু সড়কে ডাইভারশন থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৈশাখের ভোরে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজনের পাশাপাশী চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। বৈশাখী মেলাও বসবে বিভিন্ন স্থানে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত দুই বছর ঘরবন্দি অবস্থায় বৈশাখ এসেছিল বাঙালির জীবনে।নিষ্প্রাণ দুই বৈশাখ পেরিয়ে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আবারও প্রাণ ফিরবে রমনা ও শাহবাগে। এসব এলাকার নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে মঙ্গলবার রমনা বটমূলে এসে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “রোডব্লক বসানো স্থান থেকে কোনো গাড়ি চলবে না। পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হবে।”
সকাল পরিয়ে গেলে মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য বেলা ২টার পর সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, রমনা এলাকায় ২৯টি পয়েন্টে রোডব্লক বসানো হবে। পয়েন্টগুলো হল- সোনারগাঁও ক্রসিং, বাংলামটর ক্রসিং, পরিবাগ গ্যাপ, নৌবাহিনীর ভর্তি তথ্য কেন্দ্রের গলি, পুলিশ ভবন ক্রসিং, সাকুরার গলি, সবজি বাগান ক্রসিং, মিন্টুরোড পূর্বপ্রান্ত, মগবাজার ক্রসিং (বাংলামটরমুখি একপাশ), অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, সুগন্ধা ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, শিল্পকলা একাডেমি গলি, দুদকের গলি, কার্পেট গলি, মৎসভবন ক্রসিং, সেগুন বাগিচা, ইউবিএল, জিরোপয়েন্ট, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল গলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং, রোমানা ক্রসিং, বকশিবাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিং, আজিজ সুপার মার্কেটের পশ্চিম পাশ, বিসিএস প্রশাসন একাডেমি গলি ও শাহবাগ ক্রসিং।
যেসব সড়কে ডাইভারশন: বিকল্প পথে ঘুরে যাওয়ার জন্য কিছু সড়কের মাথায় ডাইভারশন থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সেগুলো হল- সোনারগাঁও ক্রসিং, বাংলামোটর ক্রসিং, মিন্টোরোড পূর্ব প্রান্ত, কাকরাইল চার্চ, ইউবিএল ক্রসিং, জিরোপয়েন্ট, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং, বকশি বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং ও কাঁটাবন ক্রসিং। ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, সোনারগাঁও উত্তর এবং পশ্চিম দিক থেকে আসা সব ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি ও অন্যান্য গাড়ি সোনগাঁও থেকে বামদিকে মোড় নিয়ে রেইনবো ক্রসিং হয়ে মগবাজার মালিবাগ দিয়ে যাবে। প্রাইভেটকারসহ ব্যক্তিগত অন্য গাড়ি বাংলামোটর দিয়ে বামে মোড় নিয়ে মগবাজার দিয়ে চলে যাবে। সায়েদাবাগ-মতিঝিল-ফুলবাড়িয়া থেকে আসা সকল প্রকার বাণিজ্যিক গাড়ি জিরোপয়েন্ট-ইউবিএল-নাইটিংগেল ক্রসিং-রাজমনি ক্রসিং-শান্তিনগর ক্রসিং-মালিবাগ মোড়-মগবাজার হয়ে যাবে। মিরপুর রোডের উত্তর দিক থেকে আসা সকল প্রকার গাড়ি সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে সোজা দক্ষিণ দিকে নিউমার্কেট-আজিমপুর-শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সামনে দিয়ে বকশিবাজার হয়ে গুলিস্তান যাবে।
ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর কেন্দ্রিক যেসব স্থানে রোডব্লক: ধানমন্ডি কেন্দ্রিক ৮টি পয়েন্টে রোডব্লক থাকবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেগুলো হল- তাকওয়া মসজিদ, ধানমন্ডি ৬ নম্বর রোডের দক্ষিণ প্রান্ত, ৭ নম্বর সড়কের মধ্যবর্তী স্থান, ৮/এ সড়কের মধ্যবর্তী স্থান, ধানমন্ডি ৮ ব্রিজের পূর্ব প্রান্ত, ধানমন্ডি ৮ এর উল্টো প্রান্ত, জিগাতলা মোড় (কায়সার সুইটমিটের সামনে) ও ধানমন্ডি আবাহনী মাঠ সংলগ্ন রোড ১৩/এ। ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ জানিয়েছে, বর্ষবরণ উৎসবে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে দুই পালায় মোট ৬৬৪ জন পুলিশ সদস্য ধানমন্ডি ও রমনাতে দায়িত্ব পালন করবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈশাখী আয়োজন এবার দুপুরেই শেষ করতে হবে: পুলিশ

আপডেট সময় : ০২:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশাখের প্রথম দিন বর্ষবরণের সব আয়োজন এবার বেলা ২টার মধ্যে শেষ করতে বলেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বথা বলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এবার রোজার মধ্যে পহেলা বৈশাখ হবে। তাই দিনের বেলা কোনো খাবার দোকান খোলা থাকবে না। রোজার মাস চলছে, তাই এবার বেলা ২টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।”
রমনা বটমূল এবং আশপাশের এলাকায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যারা আসবেন, তাদের ২টার মধ্যে চলে যেতে হবে। বেলা ১টার পর নতুন করে কাউকে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ ফটকে তল্লাশি করা হবে। সিসি ক্যামেরায় পুরো এলাকায় নজরদারি থাকবে। এবার সময়ের কড়াকড়ি করার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, “যারা এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ রোজা থাকেন। রমজান শেষে এই দিনটি পড়লে আবার আগের মত বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠান নেওয়া হবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত দুই বছর পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজন তুলে রাখতে হয়েছিল। সংক্রমণ কমে আসায় আসছে বৃহস্পতিবার ভোরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষণবরণ অনুষ্ঠান হবে। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের জন্য গতিপথ বদলে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে টিএসসি থেকে ভিসির চত্বর পর্যন্ত রাস্তায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের বানানো বৈশাখী মুখোশ হাতে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাজানো বা বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বর্ষবরণ নির্বিঘœ করতে যান চলবে না যেসব সড়কে : মহামারীর ধাক্কা সামলে দুই বছর পর বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে মানুষের অংশগ্রহণ নির্বিঘœ করতে রাজধানীর ৩৭টি পয়েন্টে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
রমনা পার্ক এবং ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর কেন্দ্রিক সড়কগুলোতে রোডব্লক বসানো হবে এবং বেশ কিছু সড়কে ডাইভারশন থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৈশাখের ভোরে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজনের পাশাপাশী চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। বৈশাখী মেলাও বসবে বিভিন্ন স্থানে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত দুই বছর ঘরবন্দি অবস্থায় বৈশাখ এসেছিল বাঙালির জীবনে।নিষ্প্রাণ দুই বৈশাখ পেরিয়ে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আবারও প্রাণ ফিরবে রমনা ও শাহবাগে। এসব এলাকার নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে মঙ্গলবার রমনা বটমূলে এসে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “রোডব্লক বসানো স্থান থেকে কোনো গাড়ি চলবে না। পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হবে।”
সকাল পরিয়ে গেলে মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য বেলা ২টার পর সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, রমনা এলাকায় ২৯টি পয়েন্টে রোডব্লক বসানো হবে। পয়েন্টগুলো হল- সোনারগাঁও ক্রসিং, বাংলামটর ক্রসিং, পরিবাগ গ্যাপ, নৌবাহিনীর ভর্তি তথ্য কেন্দ্রের গলি, পুলিশ ভবন ক্রসিং, সাকুরার গলি, সবজি বাগান ক্রসিং, মিন্টুরোড পূর্বপ্রান্ত, মগবাজার ক্রসিং (বাংলামটরমুখি একপাশ), অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, সুগন্ধা ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, শিল্পকলা একাডেমি গলি, দুদকের গলি, কার্পেট গলি, মৎসভবন ক্রসিং, সেগুন বাগিচা, ইউবিএল, জিরোপয়েন্ট, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল গলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং, রোমানা ক্রসিং, বকশিবাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিং, আজিজ সুপার মার্কেটের পশ্চিম পাশ, বিসিএস প্রশাসন একাডেমি গলি ও শাহবাগ ক্রসিং।
যেসব সড়কে ডাইভারশন: বিকল্প পথে ঘুরে যাওয়ার জন্য কিছু সড়কের মাথায় ডাইভারশন থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সেগুলো হল- সোনারগাঁও ক্রসিং, বাংলামোটর ক্রসিং, মিন্টোরোড পূর্ব প্রান্ত, কাকরাইল চার্চ, ইউবিএল ক্রসিং, জিরোপয়েন্ট, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং, বকশি বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং ও কাঁটাবন ক্রসিং। ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, সোনারগাঁও উত্তর এবং পশ্চিম দিক থেকে আসা সব ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি ও অন্যান্য গাড়ি সোনগাঁও থেকে বামদিকে মোড় নিয়ে রেইনবো ক্রসিং হয়ে মগবাজার মালিবাগ দিয়ে যাবে। প্রাইভেটকারসহ ব্যক্তিগত অন্য গাড়ি বাংলামোটর দিয়ে বামে মোড় নিয়ে মগবাজার দিয়ে চলে যাবে। সায়েদাবাগ-মতিঝিল-ফুলবাড়িয়া থেকে আসা সকল প্রকার বাণিজ্যিক গাড়ি জিরোপয়েন্ট-ইউবিএল-নাইটিংগেল ক্রসিং-রাজমনি ক্রসিং-শান্তিনগর ক্রসিং-মালিবাগ মোড়-মগবাজার হয়ে যাবে। মিরপুর রোডের উত্তর দিক থেকে আসা সকল প্রকার গাড়ি সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে সোজা দক্ষিণ দিকে নিউমার্কেট-আজিমপুর-শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের সামনে দিয়ে বকশিবাজার হয়ে গুলিস্তান যাবে।
ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর কেন্দ্রিক যেসব স্থানে রোডব্লক: ধানমন্ডি কেন্দ্রিক ৮টি পয়েন্টে রোডব্লক থাকবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেগুলো হল- তাকওয়া মসজিদ, ধানমন্ডি ৬ নম্বর রোডের দক্ষিণ প্রান্ত, ৭ নম্বর সড়কের মধ্যবর্তী স্থান, ৮/এ সড়কের মধ্যবর্তী স্থান, ধানমন্ডি ৮ ব্রিজের পূর্ব প্রান্ত, ধানমন্ডি ৮ এর উল্টো প্রান্ত, জিগাতলা মোড় (কায়সার সুইটমিটের সামনে) ও ধানমন্ডি আবাহনী মাঠ সংলগ্ন রোড ১৩/এ। ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ জানিয়েছে, বর্ষবরণ উৎসবে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে দুই পালায় মোট ৬৬৪ জন পুলিশ সদস্য ধানমন্ডি ও রমনাতে দায়িত্ব পালন করবে।