ঢাকা ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ পটুয়াখালীর জেলেরা

  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: প্রতিকূল আবহাওয়ায় গভীর সমুদ্রে আশানুরূপ ইলিশের দেখা না মেলায় হতাশা দেখা দিয়েছে পটুয়াখালীর জেলে পল্লী ও মৎস্য সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। ৬৫ দিনে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার ঠিক দুই দিনের মাথায় বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতিতে লোকসানের মুখে সামুদ্রিক মাছ আহরণের সঙ্গে জড়িতরা। পায়রা সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো। মৎস্য বিভাগ বলছে, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বেশি ইলিশ আহরণ সম্ভব হবে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলেই আবারও শিকারে গভীর সমুদ্রে যাবেন জেলেরা। এদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় গত মঙ্গলবার বিকেল থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন পটুয়াখালীর জেলেরা। দফায় দফায় আবহাওয়াজনিত কারণে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার। আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে স্থানীয় জেলে টলার ছাড়াও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, মোংলা, বাশখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলেরা আশ্রয় নিয়েছে। এসব মৎস্য বন্দরে জেলেদের পদচারণায় মুখর থাকলেও নেই ইলিশের দেখা। জেলেরা জানান, বছরের বেশিরভাগ সময়ে এভাবে অবরোধ আর আবহাওয়া খারাপ হলে আমাদের পেশা বিলীন হয়ে যাবে। আমরা অবরোধ শেষে যেতে পারলাম না, এর মধ্যে ফিরে আসলাম। এরকম একের পর এক বিড়ম্বনায় পরলাম। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একযোগে অবরোধ এবং জেলেদের সরকারি সুবিধা এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান তারা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে গভীর বঙ্গোপসাগরসহ স্থানীয় নদীতেও মাছের দেখা মিলবে। আবারও হাজার হাজার জেলেরা সাগরে যাবেন এবং মাছ আহরণ করতে পারবেন। এদিকে জেলেদের নিরাপত্তায় নানান ধরনের ডিভাইস প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ পটুয়াখালীর জেলেরা

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: প্রতিকূল আবহাওয়ায় গভীর সমুদ্রে আশানুরূপ ইলিশের দেখা না মেলায় হতাশা দেখা দিয়েছে পটুয়াখালীর জেলে পল্লী ও মৎস্য সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। ৬৫ দিনে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার ঠিক দুই দিনের মাথায় বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতিতে লোকসানের মুখে সামুদ্রিক মাছ আহরণের সঙ্গে জড়িতরা। পায়রা সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো। মৎস্য বিভাগ বলছে, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বেশি ইলিশ আহরণ সম্ভব হবে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলেই আবারও শিকারে গভীর সমুদ্রে যাবেন জেলেরা। এদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় গত মঙ্গলবার বিকেল থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন পটুয়াখালীর জেলেরা। দফায় দফায় আবহাওয়াজনিত কারণে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার। আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে স্থানীয় জেলে টলার ছাড়াও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, মোংলা, বাশখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলেরা আশ্রয় নিয়েছে। এসব মৎস্য বন্দরে জেলেদের পদচারণায় মুখর থাকলেও নেই ইলিশের দেখা। জেলেরা জানান, বছরের বেশিরভাগ সময়ে এভাবে অবরোধ আর আবহাওয়া খারাপ হলে আমাদের পেশা বিলীন হয়ে যাবে। আমরা অবরোধ শেষে যেতে পারলাম না, এর মধ্যে ফিরে আসলাম। এরকম একের পর এক বিড়ম্বনায় পরলাম। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একযোগে অবরোধ এবং জেলেদের সরকারি সুবিধা এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান তারা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে গভীর বঙ্গোপসাগরসহ স্থানীয় নদীতেও মাছের দেখা মিলবে। আবারও হাজার হাজার জেলেরা সাগরে যাবেন এবং মাছ আহরণ করতে পারবেন। এদিকে জেলেদের নিরাপত্তায় নানান ধরনের ডিভাইস প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।