ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বৈরী আবহাওয়ায় সৈকতে উল্লাস!

  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী সংবাদদাতা : বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুয়াকাটা সৈকতে সমুদ্র স্নানে মেতেছে আগত পর্যটকরা। ঈদের ছুটির সঙ্গে অনেকেরই যোগ হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটিও। তাই পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় করছেন হাজারও পর্যটক। সৈকতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। পর্যটকদের পদচারণায় কিছুটা মুখর হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেনি কুয়াকাটায়। গতকাল বুধবার (১৯ জুন) সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের সাথে নেচে গেয়ে সমুদ্রে গোসল, ঘুরে বেড়ানো এবং বৈরী আবহাওয়া উপভোগ করতেই যেন এসেছেন অনেক পর্যটকরা। সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ যেন পর্যটকদের ভয়ের চেয়ে আলাদা আনন্দ যুগিয়েছে। পর্যটকদের পদচারনায় সরগরম হয়ে উঠছে কুয়াকাটা সৈকত। হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক হয়নি কুয়াকাটায়। তবে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে ৫০-৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে ৩০-৪০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়া শুরু হওয়ায় হতাশা আরও বাড়তে পারে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে। এদিকে ঝড় বৃষ্টি ও বাতাসের অজুহাতে বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে পর্যটকসহ হোটেল মালিকদের। সকাল থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ সচল রাখতে হয়েছে। এতে অনেক আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যায়। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় একটু বেশি থাকে। কিন্তু এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের তেমন একটা চাপ নেই। তবে আশা করছি সামনের দিকে পর্যটকদের উপস্থিতি কিছুটা হলেও বাড়বে। রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক রুবেল হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে সৈকতে গোসল করতে এত আনন্দ তা আগে ভাবিনি। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ দেখে অনেক ভালো লাগছে। এবার আমরা একটু বেশিই আনন্দ পেয়েছি। রাজশাহী থেকে খুব কম সময় কুয়াকাটা আসতে পেরে আমরা অনেক খুশি। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের তেমন একটা চাপ না থাকলেও চোখে পড়ার মতো পর্যটক কুয়াকাটায় এসেছে। আমাদের কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব মিলিয়ে পর্যটকরা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে কুয়াকাটা ভ্রমণ করছে। তবে সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া শুরু হওয়ায়, সৈকতে গোসল করা পর্যটকদের দিকে বাড়তি নজর রাখছি আমরা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত

বৈরী আবহাওয়ায় সৈকতে উল্লাস!

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

পটুয়াখালী সংবাদদাতা : বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুয়াকাটা সৈকতে সমুদ্র স্নানে মেতেছে আগত পর্যটকরা। ঈদের ছুটির সঙ্গে অনেকেরই যোগ হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটিও। তাই পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় করছেন হাজারও পর্যটক। সৈকতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। পর্যটকদের পদচারণায় কিছুটা মুখর হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেনি কুয়াকাটায়। গতকাল বুধবার (১৯ জুন) সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের সাথে নেচে গেয়ে সমুদ্রে গোসল, ঘুরে বেড়ানো এবং বৈরী আবহাওয়া উপভোগ করতেই যেন এসেছেন অনেক পর্যটকরা। সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ যেন পর্যটকদের ভয়ের চেয়ে আলাদা আনন্দ যুগিয়েছে। পর্যটকদের পদচারনায় সরগরম হয়ে উঠছে কুয়াকাটা সৈকত। হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক হয়নি কুয়াকাটায়। তবে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে ৫০-৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে ৩০-৪০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়া শুরু হওয়ায় হতাশা আরও বাড়তে পারে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে। এদিকে ঝড় বৃষ্টি ও বাতাসের অজুহাতে বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে পর্যটকসহ হোটেল মালিকদের। সকাল থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ সচল রাখতে হয়েছে। এতে অনেক আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যায়। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় একটু বেশি থাকে। কিন্তু এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের তেমন একটা চাপ নেই। তবে আশা করছি সামনের দিকে পর্যটকদের উপস্থিতি কিছুটা হলেও বাড়বে। রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক রুবেল হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে সৈকতে গোসল করতে এত আনন্দ তা আগে ভাবিনি। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ দেখে অনেক ভালো লাগছে। এবার আমরা একটু বেশিই আনন্দ পেয়েছি। রাজশাহী থেকে খুব কম সময় কুয়াকাটা আসতে পেরে আমরা অনেক খুশি। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের তেমন একটা চাপ না থাকলেও চোখে পড়ার মতো পর্যটক কুয়াকাটায় এসেছে। আমাদের কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব মিলিয়ে পর্যটকরা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে কুয়াকাটা ভ্রমণ করছে। তবে সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া শুরু হওয়ায়, সৈকতে গোসল করা পর্যটকদের দিকে বাড়তি নজর রাখছি আমরা।