ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে যে পরামর্শ দিলো সংসদীয় কমিটি

  • আপডেট সময় : ০৩:১২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে প্রবেশ করতে চলেছে দেশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি পরামর্শ দিলো বিদ্যুৎ বিভাগকে। সম্প্রতি এই মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ইলেকট্রিক গাড়ির বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে কেউ যাতে অবৈধভাবে গাড়ি চার্জ করতে না পারে সে বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। কমিটির বৈঠকের একটি কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে বৈদ্যুতিক যানবাহনে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে যানবাহনগুলো ডিজেলে চললে খরচ কত হবে, সিএনজিতে চললে কত এবং বিদ্যুতে কত হবে তার তুলনামূলক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। তিনি মনে করেন, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির অর্ধেক যদি বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর করা হয়, তবে কী পরিমাণ গ্যাস বা ডিজেল সাশ্রয় হবে সেটাও দেখতে হবে। এতে কার্বন নিঃসরণ কমবে কিনা সেটারও একটি চার্ট করতে হবে। তা দেখেই যাতে বোঝা যায় বৈদ্যুতিক যানবাহনের কী উপকারিতা আছে।
প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির টেসলা এককভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি বানিয়ে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। জাপানের টয়োটাও বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে উদ্যোগী হয়েছে। চীন-তাইওয়ানও এ তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে। আমদানিকারকরা বলছেন, দেশে গাড়ি আনার ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো কর। সরকার গাড়িতে কর বাড়িয়েছে। আবার সেই কর জ্বালানি আমদানিতে ব্যয় করছে। তবে হাইব্রিড ও নন হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে কিছুটা কর ছাড় আছে। এতে হাইব্রিড গাড়ির দাম কমেছে। কম জ্বালানির এই গাড়ি জনপ্রিয়ও হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে বজায় থাকলেও এটি সহজলভ্য হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে চার্জিং স্টেশনও বড় সমস্যা। এর জন্য নীতিমালা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ওটার কাজ শেষ হলেই দেশে চার্জিং স্টেশন গড়ে উঠবে।
জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে বিদ্যুৎচালিত গাড়িগুলো বৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে কী তো দেখা। এজন্য পলিসি প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটি প্রণীত হলেই বাণিজ্যিকভাবে চার্জিং স্টেশনের জন্য লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। চার্জিং স্টেশন পর্যাপ্ত হলে এ ধরনের গাড়িও দ্রুত বাড়বে। প্রয়োজনীয় শিল্পও গড়ে উঠবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বার্ন ইউনিটে ৩৩ জন ভর্তি, ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন

বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে যে পরামর্শ দিলো সংসদীয় কমিটি

আপডেট সময় : ০৩:১২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে প্রবেশ করতে চলেছে দেশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি পরামর্শ দিলো বিদ্যুৎ বিভাগকে। সম্প্রতি এই মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ইলেকট্রিক গাড়ির বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে কেউ যাতে অবৈধভাবে গাড়ি চার্জ করতে না পারে সে বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। কমিটির বৈঠকের একটি কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে বৈদ্যুতিক যানবাহনে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে যানবাহনগুলো ডিজেলে চললে খরচ কত হবে, সিএনজিতে চললে কত এবং বিদ্যুতে কত হবে তার তুলনামূলক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। তিনি মনে করেন, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির অর্ধেক যদি বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর করা হয়, তবে কী পরিমাণ গ্যাস বা ডিজেল সাশ্রয় হবে সেটাও দেখতে হবে। এতে কার্বন নিঃসরণ কমবে কিনা সেটারও একটি চার্ট করতে হবে। তা দেখেই যাতে বোঝা যায় বৈদ্যুতিক যানবাহনের কী উপকারিতা আছে।
প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির টেসলা এককভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি বানিয়ে সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। জাপানের টয়োটাও বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে উদ্যোগী হয়েছে। চীন-তাইওয়ানও এ তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে। আমদানিকারকরা বলছেন, দেশে গাড়ি আনার ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো কর। সরকার গাড়িতে কর বাড়িয়েছে। আবার সেই কর জ্বালানি আমদানিতে ব্যয় করছে। তবে হাইব্রিড ও নন হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে কিছুটা কর ছাড় আছে। এতে হাইব্রিড গাড়ির দাম কমেছে। কম জ্বালানির এই গাড়ি জনপ্রিয়ও হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে বজায় থাকলেও এটি সহজলভ্য হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে চার্জিং স্টেশনও বড় সমস্যা। এর জন্য নীতিমালা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ওটার কাজ শেষ হলেই দেশে চার্জিং স্টেশন গড়ে উঠবে।
জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে বিদ্যুৎচালিত গাড়িগুলো বৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে কী তো দেখা। এজন্য পলিসি প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটি প্রণীত হলেই বাণিজ্যিকভাবে চার্জিং স্টেশনের জন্য লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। চার্জিং স্টেশন পর্যাপ্ত হলে এ ধরনের গাড়িও দ্রুত বাড়বে। প্রয়োজনীয় শিল্পও গড়ে উঠবে।