ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

বৈদেশিক মুদ্রায় আন্ত:ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষে বেসরকারি ব্যাংক

  • আপডেট সময় : ০২:৩০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছয়টি বৈদেশিক মুদ্রায় আন্তব্যাংক লেনদেন চালু করার সুযোগ দেওয়া হয় ৪ সেপ্টেম্বর। দেশের অভ্যন্তরে বৈদেশিক মুদ্রায় সবচেয়ে বেশি লেনদেন করছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেছে ইউসিবি ব্যাংক। এরপরে ইস্টার্ন, এক্সিম, প্রাইম ও ঢাকা ব্যাংক। এক মাসে মাত্র দুই ধরনের মুদ্রায় লেনদেন করেছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন ডলার ও ইউরোতে এক মাসে ২০ হাজার ৫৫৩টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। এই সংখ্যার পুরোটাই আবার ব্যাংক থেকে ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন নয়। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন হয়েছে ৯০৯ বার। ব্যাংক ও ব্যক্তি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৭৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নেয়া-দেয়া হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ছয়টি বৈদেশিক মুদ্রায় আন্তব্যাংক লেনদেন চালু করার সুযোগ দেয়া হয়। তবে এক মাসে মাত্র দুই ধরনের মুদ্রায় লেনদেন করেছে ব্যাংকগুলো। গত এক মাসে তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে ৭৭ কোটি ডলারের (৭৭০ মিলিয়ন) আন্ত:ব্যাংক লেনদেন।
এক মাস আগেও শুধু দেশীয় মুদ্রা টাকার ক্ষেত্রে আন্তব্যাংক লেনদেন পদ্ধতি চালু ছিল। একটা সময় আন্তব্যাংক লেনদেনের মাধ্যম ছিল কাগজ-কলমভিত্তিক সনাতন পদ্ধতি। তখন ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ লেনদেন দিন শেষে নিষ্পত্তি হতো।
গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েছে, দেশীয় মুদ্রার পাশাপাশি ডলারসহ অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) বা তাৎক্ষণিক লেনদেন শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন এই পদ্ধতিতে ব্যাংকগুলো আরও আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারবে।
আরটিজিএসের ব্যবহার সম্পর্কিত একটি নীতিমালাও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, দেশে এখন মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড, ইউরো, কানাডার ডলার ও জাপানের ইয়েন মুদ্রা কাগজ-কলমভিত্তিক সনাতন লেনদেনব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে। তাৎক্ষণিক লেনদেন শুরু হলে এই পাঁচটি বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে চীনা মুদ্রা ইউয়ান যুক্ত হবে। তখন ব্যাংকগুলো মোট ছয়টি বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন নতুন এই পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করতে পারবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈদেশিক মুদ্রায় আন্ত:ব্যাংক লেনদেনের শীর্ষে বেসরকারি ব্যাংক

আপডেট সময় : ০২:৩০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছয়টি বৈদেশিক মুদ্রায় আন্তব্যাংক লেনদেন চালু করার সুযোগ দেওয়া হয় ৪ সেপ্টেম্বর। দেশের অভ্যন্তরে বৈদেশিক মুদ্রায় সবচেয়ে বেশি লেনদেন করছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেছে ইউসিবি ব্যাংক। এরপরে ইস্টার্ন, এক্সিম, প্রাইম ও ঢাকা ব্যাংক। এক মাসে মাত্র দুই ধরনের মুদ্রায় লেনদেন করেছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন ডলার ও ইউরোতে এক মাসে ২০ হাজার ৫৫৩টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। এই সংখ্যার পুরোটাই আবার ব্যাংক থেকে ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন নয়। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন হয়েছে ৯০৯ বার। ব্যাংক ও ব্যক্তি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৭৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নেয়া-দেয়া হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ছয়টি বৈদেশিক মুদ্রায় আন্তব্যাংক লেনদেন চালু করার সুযোগ দেয়া হয়। তবে এক মাসে মাত্র দুই ধরনের মুদ্রায় লেনদেন করেছে ব্যাংকগুলো। গত এক মাসে তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে ৭৭ কোটি ডলারের (৭৭০ মিলিয়ন) আন্ত:ব্যাংক লেনদেন।
এক মাস আগেও শুধু দেশীয় মুদ্রা টাকার ক্ষেত্রে আন্তব্যাংক লেনদেন পদ্ধতি চালু ছিল। একটা সময় আন্তব্যাংক লেনদেনের মাধ্যম ছিল কাগজ-কলমভিত্তিক সনাতন পদ্ধতি। তখন ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ লেনদেন দিন শেষে নিষ্পত্তি হতো।
গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েছে, দেশীয় মুদ্রার পাশাপাশি ডলারসহ অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) বা তাৎক্ষণিক লেনদেন শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন এই পদ্ধতিতে ব্যাংকগুলো আরও আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারবে।
আরটিজিএসের ব্যবহার সম্পর্কিত একটি নীতিমালাও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, দেশে এখন মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড, ইউরো, কানাডার ডলার ও জাপানের ইয়েন মুদ্রা কাগজ-কলমভিত্তিক সনাতন লেনদেনব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে। তাৎক্ষণিক লেনদেন শুরু হলে এই পাঁচটি বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে চীনা মুদ্রা ইউয়ান যুক্ত হবে। তখন ব্যাংকগুলো মোট ছয়টি বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন নতুন এই পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করতে পারবে।