ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার

  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৩৪৮তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. এ এফ এম মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যতম পরিচালক অরুন কুমার চৌধুরীসহ অন্যান্য সম্মানিত পরিচালকবৃন্দ, ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সকল মহাব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক : উচ্চ প্রবাসী আয়ের প্রভাবে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ নিট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ।

ফলে আইএমএফের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত দেড় মাসে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এর মাত্র চারদিনে রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করল। রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমটি হলো, বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি।

এতে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ রাখা হয়। তৃতীয়টি হলো ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ, বর্তমানে যা প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার। দেশে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন চার মাসের বেশি আমদানি মূল্য মেটানোর অবস্থায় রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ নাগাদ নিট রিজার্ভ নামে ২৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে। এ সময় বৈশ্বিক উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকে।

অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার আহরণের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হতে থাকে। এ অবস্থায় জ্বালানি ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। উল্টোদিকে ডলার বিক্রি করার কারণে কমে যায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এরপর বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে আবার রিজার্ভ বাড়ানো হয়।

বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিদিনই। উচ্চ প্রাবাসী আয় রিজার্ভ আরও বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আর ডিসেম্বরের ২৮ দিনেই এসেছে ২ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় : ০৮:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : উচ্চ প্রবাসী আয়ের প্রভাবে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ নিট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ।

ফলে আইএমএফের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত দেড় মাসে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এর মাত্র চারদিনে রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করল। রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমটি হলো, বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি।

এতে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ রাখা হয়। তৃতীয়টি হলো ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ, বর্তমানে যা প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার। দেশে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন চার মাসের বেশি আমদানি মূল্য মেটানোর অবস্থায় রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ নাগাদ নিট রিজার্ভ নামে ২৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে। এ সময় বৈশ্বিক উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকে।

অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার আহরণের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হতে থাকে। এ অবস্থায় জ্বালানি ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। উল্টোদিকে ডলার বিক্রি করার কারণে কমে যায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এরপর বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে আবার রিজার্ভ বাড়ানো হয়।

বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিদিনই। উচ্চ প্রাবাসী আয় রিজার্ভ আরও বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আর ডিসেম্বরের ২৮ দিনেই এসেছে ২ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।