খুলনা সংবাদদাতা : খুলনায় ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। এই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা খাবার ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন। গতকাল শনিবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮৫ টাকায়। সোনালি মুরগি ৩৬০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৭০ থেকে ৩৮৫ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। নগরীর গল্লামারী বাজারের মুরগি বিক্রেতা আসলাম বলেন, একে তো প্রচ- গরমে খামারে মুরগি মারা যাচ্ছে। তার ওপর খাবারের দামও বেড়েছে। সে কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় মুরগির সরবরাহ অনেক কম, ফলে দাম বাড়ছে। নগরীর নিরালা এলাকার বাসিন্দা নাইমুল জাকারিয়া বলেন, শুধু মুরগি নয়, বাজারে এমন কোনো জিনিস নেই যে দাম বাড়েনি। বাসায় মেহমান এসেছে, মুরগি ছাড়া তো উপায় নেই। দাম এত বেশি যে প্রয়োজন থাকা স্বত্বেও অল্প পরিমাণ মুরগি কিনেছি। খুলনা বড়বাজারে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দাম রাখা হচ্ছে ৩৩০ টাকা। এই বাজারের বিক্রেতা দেলোয়ার বলেন, খামারিদের কাছে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। মুরগি আনতে হলে এখন আগেরদিন ফোনে অর্ডার করে রাখতে হয়। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে বলে জানান বড় বাজারের পাইকারি মুরগী বিক্রেতা আমিনুল। তিনি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সোনালী মুরগি ৩১৫ টাকা থেকে ৩২৫ টাকা, ব্রয়লার ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার লাল ২১৫ থেকে ২২৫ টাকা, লেয়ার প্যারেন্টস ২৪৭ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান। খুলনা নিউমার্কেট বাজারে প্রতি কেজি লেয়ার মুরগির দাম ২৬৫ টাকা। আর বয়রা বাজারে রাখা হচ্ছে ২৫৫ টাকা। মুরগির দাম বাড়ার পেছনে বাচ্চা উৎপাদনকারী ‘বড় কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেট’ দায়ী বলে মনে করেন আমিনুল। তিনি বলেন, তারা মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়েছে। এ কারণে স্থানীয় পর্যায়ের খামারিদের ব্যয় বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।