নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ আয়োজিত ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০; সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট-১৮৬০ ও ট্রাস্ট অ্যাক্ট-১৮৮২’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যমান আইন ও বিধি অনুসরণ করছে না। ইউজিসি’র নির্দেশনা তারা দেখেও না দেখার ভান করে। বিদ্যমান আইন ও বিধি বাস্তবায়নে কমিশন প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্রের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ। কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, উপ-সচিব (লিগ্যাল)-জেলা ও দায়রা জজ নূরনাহার বেগম শিউলী এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে এটিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমান উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি বাস্তবতা। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সরকার পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আলাদা করে দেখে না।’ তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট আইন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি’র নির্দেশনা শতভাগ অনুসরণের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা কাজ পরিচালনা করা। গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান তৈরি করা। কিন্তু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এসব কাজে অর্থ ব্যয় না করে বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থ ব্যয় করছেন।’ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন মানার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ