ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেসরকারি খাতে বেড়েছে ঋণের প্রবৃদ্ধি

  • আপডেট সময় : ১২:৪০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমতে থাকায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি টানা আট মাস বাড়তে শুরু করে। দুই বছর পর দ্বিতীয় বারের মতো ডিসেম্বরেও এ সূচক দুই অঙ্কের ঘরে অবস্থান করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ডিসেম্বর মাসে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি নভেম্বরের চেয়ে দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশে উঠেছে। যা নভেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২০ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি ঋণ পেয়েছেন। এছাড়া অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধিক পরিমাণ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া বা মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বাড়ার ফলে বেসরকারি খাতের ঋণ বাড়ছে। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়া অর্থনীতির জন্য ভালো। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা ভালো দিক যে, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এটি অর্থনীতির জন্য খুবই ভালো। কারণ এর মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগ বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের জুলাই মাসে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল, তাতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয় ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। সে হিসাবে ডিসেম্বর শেষে উদ্যোক্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যের চেয়ে এখনও প্রায় ৪ শতাংশ ঋণ কম পেয়েছেন। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, করোনায় গত মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমেছিল। সে সময়ে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে ঋণের প্রবৃদ্ধি নেমে আসে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ছে। ২০২১ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫১ এবং ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এপ্রিলে নেমে আসে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে। মে মাসে তা আরও কমে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে যায়। করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় একই বছরের জুনে ঋণ প্রবৃদ্ধি খানিকটা বেড়ে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর থেকে ঋণপ্রবাহ ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। জুলাই ও আগস্টে অর্থনীতির এই সূচক ছিল যথাক্রমে ৮.৩৮ ও ৮.৪২ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৮.৭৭ শতাংশ, অক্টোবরে ৯.৪৪ শতাংশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বেসরকারি খাতে বেড়েছে ঋণের প্রবৃদ্ধি

আপডেট সময় : ১২:৪০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমতে থাকায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি টানা আট মাস বাড়তে শুরু করে। দুই বছর পর দ্বিতীয় বারের মতো ডিসেম্বরেও এ সূচক দুই অঙ্কের ঘরে অবস্থান করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ডিসেম্বর মাসে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি নভেম্বরের চেয়ে দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশে উঠেছে। যা নভেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২০ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি ঋণ পেয়েছেন। এছাড়া অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধিক পরিমাণ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া বা মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বাড়ার ফলে বেসরকারি খাতের ঋণ বাড়ছে। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়া অর্থনীতির জন্য ভালো। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা ভালো দিক যে, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এটি অর্থনীতির জন্য খুবই ভালো। কারণ এর মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগ বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের জুলাই মাসে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল, তাতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয় ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। সে হিসাবে ডিসেম্বর শেষে উদ্যোক্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যের চেয়ে এখনও প্রায় ৪ শতাংশ ঋণ কম পেয়েছেন। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, করোনায় গত মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমেছিল। সে সময়ে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে ঋণের প্রবৃদ্ধি নেমে আসে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ছে। ২০২১ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫১ এবং ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এপ্রিলে নেমে আসে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে। মে মাসে তা আরও কমে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে যায়। করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় একই বছরের জুনে ঋণ প্রবৃদ্ধি খানিকটা বেড়ে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর থেকে ঋণপ্রবাহ ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। জুলাই ও আগস্টে অর্থনীতির এই সূচক ছিল যথাক্রমে ৮.৩৮ ও ৮.৪২ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৮.৭৭ শতাংশ, অক্টোবরে ৯.৪৪ শতাংশ।