নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার বাসে সিটিং সার্ভিসের নামে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় চলছেই। এ নিয়ে বাসচালক ও সহকারীদের সঙ্গে যাত্রীদের সঙ্গে বাগবিত-া চলছেই। এ পরিপ্রেক্ষিতে মিরপুরে কয়েকদিন ধরে রাস্তায় কমে গেছে গণপরিবহন। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে হেঁটে এবং বিকল্প ব্যবস্থায় নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ শেয়ারে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে যাচ্ছেন।মিরপুর ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২ এবং ১ নম্বরে সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর এলাকা থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস রাস্তায় বেশ কম। এসব এলাকার রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন শতশত মানুষ।
মিরপুর-১০ নম্বর থেকে মহাখালী ওয়ারলেস গেট যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যাংকার আমেনা খাতুন মনি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাননি। তিনি বলেন, গতকাল গুলশান যাওয়ার বাস পেয়েছি। আজ প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও বাস পেলাম না। শুনেছি, বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্টের অভিযানের খবর পেয়ে গুলশানগামী বাস কমে গেছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এমন হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধে সরকারকে আরও কঠোর হওয়া দরকার।
যাত্রীদের এভাবে জিম্মি করা, বেশি ভাড়া নেওয়াসহ নানা হয়রানির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলেন ডেকেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ প্রসঙ্গে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে সরকার বাধ্য হয়ে বাসভাড়া বাড়িয়েছে। অথচ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া নিচ্ছেন তারা। এর পাশাপাশি যাত্রী হয়রানি আছেই। এসব বিষয় নিয়ে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাস মালিকদের ধর্মঘটের কারণে গত ৭ নভেম্বর বাস ভাড়া বাড়িয়েছে বিআরটিএ।
বেশি ভাড়া আদায় চলছেই, মোবাইল কোর্টে কমেছে গণপরিবহন
ট্যাগস :
বেশি ভাড়া আদায় চলছেই
জনপ্রিয় সংবাদ