ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

বেশি এমএএইচ মানেই কি ভালো ব্যাটারি?

  • আপডেট সময় : ১০:২৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বাজার থেকে নতুন ফোন কেনার সময় একজন ক্রেতা পরীক্ষা করে থাকেন তার ফোনে কত এমএএইচের ব্যাটারি ইনস্টল করা আছে। সাধারণত বেশি এমএএইচের ব্যাটারি দেখেই ফোন কেনা হয়ে থাকে। ক্রেতারা মনে করেন, যত বেশি এমএএইচের ব্যাটারি থাকবে, ফোন তত বেশি সময় চলবে। কিন্তু ব্যাটারিতে এই এমএএইচ কেন থাকে অনেকেই জানেন না। আজ জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
এমএএইচ মানে মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার। মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার হলো ব্যাটারির ক্ষমতার একটি পরিমাপ, যা একটি ব্যাটারি প্রয়োগ করতে পারে এমন বৈদ্যুতিক চার্জের পরিমাণকে বোঝায়। মোবাইলের ব্যাটারি থেকে কত কারেন্ট টানে জানা যাবে অসঢ়বৎব নামের একটি অ্যাপ থেকে।
এই অ্যাপটি জানিয়ে দেবে, ফোনের ব্যাটারি কত মিলিঅ্যাম্পিয়ার পাওয়ার বর্তমানে সরবরাহ করছে। এটি অ্যাডাপ্টারটি কত মিলিঅ্যাম্পিয়ার কারেন্ট দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করছে তাও দেখাবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি দুটি ব্যাটারির এমএএইচ রেটিং একই থাকে, তবে তারা সাধারণত একই পরিমাণ চার্জ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ব্যাটারি ২০০০ এমএএইচ রেট করা হয়, তাহলে এটি ২০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের পরিমাণ চার্জ সঞ্চয় করতে সক্ষম হবে। আরেকটি ব্যাটারি, সেটির রেটিং ৩০০০ এমএএইচ, ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার চার্জ সঞ্চয় করতে পারে। মোবাইল ফোনও ব্যাটারি থেকে কাজ করতে কারেন্ট নেয়। তাই আমরা মোবাইলে যত বেশি কাজ করব, মোবাইলের ব্যাটারি থেকে তত বেশি কারেন্ট ফোনের নানা অংশে সরবরাহ হবে। উদাহরণ হিসেবে, ধরা যাক, আমাদের ফোনের ব্যাটারি ৩০০০ এমএএইচ। যদি আমাদের মোবাইলের ব্যাটারিতে ১ ঘণ্টা কাজ করতে ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লাগে, তার মানে ব্যাটারি ১ ঘণ্টা চলবে। তবে গরমের সময় ফোনকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা বিরতি দেওয়া উচিত। কারণ অত্যধিক ব্যবহারে ব্যাটারি কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, এতে ফোনে বিস্ফোরণও হতে পারে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বেশি এমএএইচ মানেই কি ভালো ব্যাটারি?

আপডেট সময় : ১০:২৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : বাজার থেকে নতুন ফোন কেনার সময় একজন ক্রেতা পরীক্ষা করে থাকেন তার ফোনে কত এমএএইচের ব্যাটারি ইনস্টল করা আছে। সাধারণত বেশি এমএএইচের ব্যাটারি দেখেই ফোন কেনা হয়ে থাকে। ক্রেতারা মনে করেন, যত বেশি এমএএইচের ব্যাটারি থাকবে, ফোন তত বেশি সময় চলবে। কিন্তু ব্যাটারিতে এই এমএএইচ কেন থাকে অনেকেই জানেন না। আজ জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
এমএএইচ মানে মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার। মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার হলো ব্যাটারির ক্ষমতার একটি পরিমাপ, যা একটি ব্যাটারি প্রয়োগ করতে পারে এমন বৈদ্যুতিক চার্জের পরিমাণকে বোঝায়। মোবাইলের ব্যাটারি থেকে কত কারেন্ট টানে জানা যাবে অসঢ়বৎব নামের একটি অ্যাপ থেকে।
এই অ্যাপটি জানিয়ে দেবে, ফোনের ব্যাটারি কত মিলিঅ্যাম্পিয়ার পাওয়ার বর্তমানে সরবরাহ করছে। এটি অ্যাডাপ্টারটি কত মিলিঅ্যাম্পিয়ার কারেন্ট দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করছে তাও দেখাবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি দুটি ব্যাটারির এমএএইচ রেটিং একই থাকে, তবে তারা সাধারণত একই পরিমাণ চার্জ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ব্যাটারি ২০০০ এমএএইচ রেট করা হয়, তাহলে এটি ২০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের পরিমাণ চার্জ সঞ্চয় করতে সক্ষম হবে। আরেকটি ব্যাটারি, সেটির রেটিং ৩০০০ এমএএইচ, ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার চার্জ সঞ্চয় করতে পারে। মোবাইল ফোনও ব্যাটারি থেকে কাজ করতে কারেন্ট নেয়। তাই আমরা মোবাইলে যত বেশি কাজ করব, মোবাইলের ব্যাটারি থেকে তত বেশি কারেন্ট ফোনের নানা অংশে সরবরাহ হবে। উদাহরণ হিসেবে, ধরা যাক, আমাদের ফোনের ব্যাটারি ৩০০০ এমএএইচ। যদি আমাদের মোবাইলের ব্যাটারিতে ১ ঘণ্টা কাজ করতে ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লাগে, তার মানে ব্যাটারি ১ ঘণ্টা চলবে। তবে গরমের সময় ফোনকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা বিরতি দেওয়া উচিত। কারণ অত্যধিক ব্যবহারে ব্যাটারি কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, এতে ফোনে বিস্ফোরণও হতে পারে।