ক্রীড়া ডেস্ক : নিজের প্রথম বিশ্বকাপে রদ্রিগো খেলতে এসেছিলেন বড় স্বপ্ন নিয়ে, ব্রাজিলকে ষষ্ঠ শিরোপা এনে দেওয়ার লক্ষ্যে। সেই যাত্রায় দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগও তিনি পেয়েছিলেন, কিন্তু কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে দলের প্রথম শটে গোল করতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। দলও হেরে যায়। বিশ্ব মঞ্চ থেকে বিদায়ের কষ্টের মুহূর্ত কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তিনি। তবে কঠিন সময় পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী রদ্রিগো। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে আক্রমণে এবার ছিল কয়েকজন তরুণ ও প্রতিভাবান ফুটবলার। তাদের একজন রদ্রিগো। ক্লাব পর্যায়ে রিয়ালের হয়ে এরই মধ্যে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন তিনি। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউট পর্বে করেছেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গোল। তিতেরও আস্থা অর্জন করে জায়গা করে নেন বিশ্বকাপ দলে। কোনো ম্যাচে গোল না পেলেও একেবারে খারাপ খেলেননি। তবে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন শেষ আটে। গত শনিবার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে নামেন রদ্রিগো। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ সমতার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
নেইমার, কাসেমিরোর মতো অভিজ্ঞরা থাকলেও প্রথম স্পট কিকের জন্য ব্রাজিল বেছে নেয় ২১ বছর বয়সী রদ্রিগোকে। কিন্তু বিধিবাম। তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। এরপর কাসেমিরো ও পেদ্রো গোল করলেও মার্কিনিয়োস পোস্টে মারেন। ৪-২ ব্যবধানে হেরে যায় রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বিশ্ব সেরার মঞ্চে নিজের অভিষেকটা এমন বিষাদময় হবে, ভাবতেও পারেননি রদ্রিগো। শনিবার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লেখেন, বিশ্বকাপে আরও ভালো করার লক্ষ্য ছিল তার। “দুঃখিত, নিঃসন্দেহে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেদনাদায়ক মুহূর্ত, যেন কয়েক মিনিটের মধ্যে স্বর্গ থেকে নরকে চলে গেলাম। জানি, কোনো কিছুই থেমে থাকে না। এই মুহূর্তে উঠে দাঁড়ানোর শক্তি না থাকলেও আমি নিশ্চিত যে, আমি ঘুরে দাঁড়াব। জানি না কিভাবে, তবে আমি ফিরে আসব এবং অনেক শক্তিশালী হয়ে।” “শুধু যারা আমার সঙ্গে ছিল তারাই দেখেছে যে, এই বছর বিশ্বকাপে খেলার জন্য আমি কিসের মধ্য দিয়ে গেছি। কেন এটি এভাবেই শেষ হতে হলো? আমি তা বুঝতে পারছি না। কিন্তু যখন সবকিছু মনে করতে শুরু করি, আমি কোনো বিষয়েই অভিযোগ করতে পারি না। আমি সবসময়ের মতো সবকিছুতেই আমার সেরাটা দিয়ে যাব!” কাতারের হতাশা ভুলে ২০২৬ বিশ্বকাপে নিজের ও ব্রাজিলের আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী রদ্রিগো। “আবারও সবাইকে ধন্যবাদ, ২০২৬ সালে সবকিছু ভিন্ন হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এখনও খুব খুশি থাকব! এই প্রজন্মটি খুব ভালো, বিশ্বকাপের শিরোপা তাদের প্রাপ্য এবং তাদের এটি জেতা প্রয়োজন।”
বেদনাদায়ক মুহূর্ত পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা রদ্রিগোর
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ