যারা বেড়াল ভালোবাসে, বাড়িতে বেড়াল পালে-তাদের জন্য আনন্দের খবর। কেননা, বেড়ালেরা কেমন মিষ্টি হয় তারা তা জানে। আবার বেড়ালেরা কতটা দুষ্টুপনা করে তারও নজির পাওয়া যাবে তাদের কাছে অহরহ। বেড়ালের নাম দেওয়া ভীষণ কঠিন কাজ, ছুটির দিনে খেলার বন্ধু কেবল বেড়াল—তা কিন্তু নয়। বেড়াল সকলেরই প্রিয়।
পাড়ার বেড়ালের খোঁজ-খবর রাখা একদল লোক রয়েছে সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই। বেড়াল ভালোবাসে না কে? সকলেই ভালোবাসে বেড়াল। বেড়াল নিয়ে সৃষ্টিশীল মানুষেরাও কম ভাবেন না। তাদের দুনিয়ায় বেড়াল এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, জীবনের সঙ্গে বেড়ালের সম্পর্ক ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে।
অনেকেরই মনে হয়-আহ্, বাড়ির সকলের প্রিয় বেড়াল সে—তার যদি নাম না হয় মিঠে, তা কী হয়? একটা হাইফাই ব্যাপার তো থাকতে হবে। নরম বিলাসী আর আদুরে আমার বেড়ালের নাম ‘মিনি’, আচ্ছা— তোমার বেড়ালের নাম কী গো বন্ধু? এমন বেড়ালপ্রিয়দের জন্য কিংবা যারা অসামান্য সব গল্প পড়তে চান তাদের জন্য প্রকাশিত হয়েছে— ‘সারাদিন বেড়ালের সঙ্গে’- বেড়াল বিষয়ক গল্প, অনূদিত গল্প এবং লোককথার নির্বাচিত সংকলন। বইটিতে রয়েছে— বাংলাভাষার নির্বাচিত চিরায়ত ও নতুন লেখা ৪৮টি গল্প, অনূদিত গল্প ৯টি এবং লোকগাথা রয়েছে ৪টি।
এই বইটি একেবারে সাচ্চা বেড়ালপ্রেমিদের জন্য। কেননা এই বইয়ের মলাটের মধ্যে চাপা পড়ে আছে নানারকম বেড়াল। বই খুললেই মিঁয়াও ডাক ছেড়ে একে একে বেরিয়ে আসবে তারা। কত্তো কত্তো বেড়াল! ভাবো, একবার— সরল বেড়াল, দুষ্টু বেড়াল, মিষ্টি বেড়াল আর বদ বেড়াল। সবরকমের বেড়ালের আনাগোনা রয়েছে এ বইয়ে। একদিকে বঙ্কিমচন্দ্র, লীলা মজুমদার, মহাশ্বেতা দেবী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, নবারুণ ভট্টাচার্য, সত্যেন সেন, ইতালো কালভিনো, হারুকি মুরাকামি, অ্যালেন পো, জেমস জয়েস, হেমিংওয়ে, তলস্তয়, নিকোলাই নোসভ-কে নেই? প্রতিভাবান একালের গল্পকারদেরও রয়েছে বেড়ালপ্রেমের চমৎকার সব গল্প-আখ্যান। জেলেদের লাথি-ঝাঁটা খাওয়া রোগা বেড়াল, আর গোয়ালাদের দুধভাত খাওয়া মোটা বেড়াল।
সব রকমের বেড়ালের সন্ধান দিতে ‘সারাদিন বেড়ালের সঙ্গে’ বইয়ের পাতায় পাতায় অসামান্য অলংকরণ করেছেন এবং প্রচ্ছদ এঁকেছেন— কবি ও শিল্পী লুবনা চর্যা। গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন, মনের মতো করে গ্রন্থটিতে প্রাণ সঞ্চার করেছেন-এহসান হায়দার। এহসান হায়দার সম্পাদিত ৪৬৬ পৃষ্ঠার অনবদ্য গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে— দ্যু প্রকাশন। গ্রন্থটির দাম রাখা হয়েছে- ৮৫০ টাকা। গ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে-প্রথমা, বাতিঘর, রকমারি, ধী, তক্ষশিলা, পাঠক সমাবেশ। এছাড়া পাওয়া যাবে কলকাতার পাঠকদের জন্য— তক্ষশিলা ও বুকস অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠান দুটিতে।