প্রযুক্তি ডেস্ক : ‘বেজোস অবসর নিয়েছেন পূর্ণ সময় স্পেসএক্সের বিরুদ্ধে মামলা করে কাটাতে’, – সাবেক অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস প্রসঙ্গে সম্প্রতি টুইটারে এ মন্তব্য করেছেন স্পেসএক্স ও টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক।
বর্তমানে ভালো অবস্থানে নেই মাস্ক ও বেজোসের সম্পর্ক। ওই টুইট করার আগে স্পেসএক্সের আরও স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে বিরোধিতা করেছে অ্যামাজন অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ‘কাইপার’।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন বলছে, ওই ঘটনাতেই চটেছেন মাস্ক, টুইটারে আদতে কাইপারের ওই আচরণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। নিজ টুইটে বেজোসের নামের বানানও ভুল লিখেছেন মাস্ক।
জুলাইয়ে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান বেজোস। এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীর ভার সামলাচ্ছেন অ্যান্ডি জেসি।
মূলত স্টারলিংক স্যাটেলাইটের পরিসর বাড়াতে চাইছে স্পেসএক্স। দ্বিতীয় প্রজন্মের স্টারলিংকের জন্য প্রায় ৩০ হাজার স্যাটেলাইট পাঠানোর প্রস্তাব রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। মহাকাশে আগে থেকেই স্পেসএক্সের এক হাজার সাতশ’ ৪০টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট রয়েছে।
এ পরিকল্পনারই প্রতিবাদ করেছে কাইপার। এফসিসিকে বুধবার পাঠানো এক প্রতিবাদমূলক চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, স্যাটেলাইট কনস্টেলেশনের জন্য একটির বদলে দুটি কনফিগারেশনের প্রস্তাব রেখে নিয়ম ভেঙেছে স্পেসএক্স। তবে, স্পেসএক্স বলছে, দ্বিতীয় প্রস্তাবটি ব্যাকআপ হিসেবে রেখেছিল তারা, এফসিসি প্রথমটি বাতিল করে দিলে যাতে দ্বিতীয়টি ব্যবহার করা যায়।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন বলছে, কাইপারের চিঠিটি মামলা নয়।
এবারই প্রথম নয়, আগেও স্পেসএক্সের বিরোধিতা করেছে বেজোসের প্রতিষ্ঠান। এ বছরের শুরুতে নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর চুক্তি জিতে নেয় স্পেসএক্স। শুরুতে এ নিয়ে বেজোসের মহাকাশ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন নাসার কাছে অভিযোগ করে এবং পরে মামলাই ঠুকে দেয়। মামলার মুখে নাসা দুইশ’ ৯০ কোটি ডলারের চুক্তিটি স্থগিত করে পুনঃমূল্যায়নের জন্য।
বেজোস ও মাস্কের বিত-া নতুন কিছু নয়। এর আগে বেজোসকে ‘কপিক্যাট’ –ও ডেকেছেন মাস্ক এবং ব্লু অরিজিনের মহাকাশ ফ্লাইট ও চন্দ্র অবতরণ নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন।