ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বেক্সিমকোর সুকুক বন্ডের আবেদন শুরু সোমবার

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো লিমিটেড) এর প্রস্তাবিত সুকুক বন্ড বা ইসলামী শরীয়াহসম্মত বন্ডের আবেদন গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বন্ডটির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ১৬ আগস্ট, সোমবার। আবেদন গ্রহণ চলবে ২৩ আগস্ট, সোমবার পর্যন্ত। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৯তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির সুকুক বন্ড ইস্যুর জন্য অভিপ্রায় পত্রের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র অনুসারে, অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে বেক্সিমকো ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৫ বছর। এটি কনভার্টেবল অথবা রিডিমেবল হতে পারে। অর্থাৎ বন্ডের একটি অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকতে পারে; আবার মেয়াদ শেষ সম্পূর্ণ অবসায়নের বিকল্পও থাকতে পারে এতে। অভিপ্রায়পত্র পাওয়ার ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুকুকের প্রস্তাবিত ট্রাস্টির নিবন্ধন সনদ, এবং কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাস্ট ডিডিসহ চূড়ান্ত সাবস্ক্রিপশন এগ্রিমেন্ট জমা দিতে হবে। এগুলো পাওয়ার পর কমিশন সম্মতিপত্র ইস্যু করবে। বন্ডের ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে এবং ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার ব্যতিত অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। বাকী ৭৫০ কোটি টাকার বন্ড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। সুকুকের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা। আর ৫০ টি ইউনিট নিয়ে এর ন্যুনতম লট। এ হিসেবে এ লটের দাম ৫ হাজার টাকা। বন্ডের মেয়াদী পরিশোধের ন্যুনতম হার হবে ৯ শতাংশ। সুকুকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ বেক্সিমকোর দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হবে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেড। এই দুটি কোম্পানি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং এর মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে। বেক্সিমকোর এই সুকুকের ইস্যু ম্যানেজার, অ্যারেঞ্জার ও অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর ট্রাস্টি হিসেবে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তলবের পাল্টা তলব দিল্লির, উল্টো দুষল ইউনূস সরকারকে

বেক্সিমকোর সুকুক বন্ডের আবেদন শুরু সোমবার

আপডেট সময় : ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো লিমিটেড) এর প্রস্তাবিত সুকুক বন্ড বা ইসলামী শরীয়াহসম্মত বন্ডের আবেদন গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বন্ডটির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ১৬ আগস্ট, সোমবার। আবেদন গ্রহণ চলবে ২৩ আগস্ট, সোমবার পর্যন্ত। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৯তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির সুকুক বন্ড ইস্যুর জন্য অভিপ্রায় পত্রের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র অনুসারে, অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে বেক্সিমকো ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৫ বছর। এটি কনভার্টেবল অথবা রিডিমেবল হতে পারে। অর্থাৎ বন্ডের একটি অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকতে পারে; আবার মেয়াদ শেষ সম্পূর্ণ অবসায়নের বিকল্পও থাকতে পারে এতে। অভিপ্রায়পত্র পাওয়ার ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুকুকের প্রস্তাবিত ট্রাস্টির নিবন্ধন সনদ, এবং কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাস্ট ডিডিসহ চূড়ান্ত সাবস্ক্রিপশন এগ্রিমেন্ট জমা দিতে হবে। এগুলো পাওয়ার পর কমিশন সম্মতিপত্র ইস্যু করবে। বন্ডের ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে এবং ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার ব্যতিত অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। বাকী ৭৫০ কোটি টাকার বন্ড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। সুকুকের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা। আর ৫০ টি ইউনিট নিয়ে এর ন্যুনতম লট। এ হিসেবে এ লটের দাম ৫ হাজার টাকা। বন্ডের মেয়াদী পরিশোধের ন্যুনতম হার হবে ৯ শতাংশ। সুকুকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ বেক্সিমকোর দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হবে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেড। এই দুটি কোম্পানি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং এর মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে। বেক্সিমকোর এই সুকুকের ইস্যু ম্যানেজার, অ্যারেঞ্জার ও অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর ট্রাস্টি হিসেবে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।