ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা পুনর্বাসনে কমিটি, দেওয়া হচ্ছে বকেয়া

  • আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে লেঅফ ঘোষণা করা ১৪টি কারখানার ‘পুনর্বাসনে’ একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার। এসব কারখানার ৩১ হাজার ৬৬৯ জন শ্রমিক এবং এক হাজার ৫৬৫ জন কর্মকর্তার পাওনা ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বুধবারের সভার সিদ্ধান্তগুলো জানাতে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “চলতি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে অফকৃত ১৪টি প্রতিষ্ঠানে ৩১ হাজার ৬৬৯ জন শ্রমিক এক হাজার ৫৬৫ জন কর্মকর্তার পাওনা বাবদ ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকা যোগাড় করেছে সরকার। এর মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে ২০০ কোটি ঋণ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। অর্থবিভাগ পরিচালন ব্যয় খাত থেকে বাকি ৩২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, “এই টাকা পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, হ্যাঁ, আমরা পূর্ণ পাওনা দিতে পারব। আগামী ৯ মার্চ থেকে টাকা বিতরণ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।” বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের মাধ্যমে শিগগিরই বেক্সিমকোর পুনর্বাসন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটা ঝামেলা চলছে, দুই পরাশক্তির মধ্যে টানাপড়েন চলছে। আমরা আশা করি, অতিসত্ত্বর এ বিষয়ে বাইরের বিনিয়োগ পাব। যারা থেকে যাবেন তারা কিছু না কিছু পাবেন।”

এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার প্রধান হিসাবে আছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
এছাড়া সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি, অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত প্রতিনিধি, রিসিভার হিসাব যিনি আছেন তিনি এই কমিটির সদস্য হিসাবে আছেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার চেয়ারম্যানকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। শ্রম উপদেষ্টা বলেন, “এই কমিটি বেক্সিমকোর ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করবেন। যতটুকু আমরা খবর পেয়েছি, ভালো কিছু হবে। কিছু কিছু লোক আগ্রহ দেখাচ্ছে। কমিটি সেটা আপানাদেরকে জানাবে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা পুনর্বাসনে কমিটি, দেওয়া হচ্ছে বকেয়া

আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে লেঅফ ঘোষণা করা ১৪টি কারখানার ‘পুনর্বাসনে’ একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার। এসব কারখানার ৩১ হাজার ৬৬৯ জন শ্রমিক এবং এক হাজার ৫৬৫ জন কর্মকর্তার পাওনা ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বুধবারের সভার সিদ্ধান্তগুলো জানাতে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “চলতি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে অফকৃত ১৪টি প্রতিষ্ঠানে ৩১ হাজার ৬৬৯ জন শ্রমিক এক হাজার ৫৬৫ জন কর্মকর্তার পাওনা বাবদ ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকা যোগাড় করেছে সরকার। এর মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে ২০০ কোটি ঋণ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। অর্থবিভাগ পরিচালন ব্যয় খাত থেকে বাকি ৩২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, “এই টাকা পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, হ্যাঁ, আমরা পূর্ণ পাওনা দিতে পারব। আগামী ৯ মার্চ থেকে টাকা বিতরণ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।” বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের মাধ্যমে শিগগিরই বেক্সিমকোর পুনর্বাসন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটা ঝামেলা চলছে, দুই পরাশক্তির মধ্যে টানাপড়েন চলছে। আমরা আশা করি, অতিসত্ত্বর এ বিষয়ে বাইরের বিনিয়োগ পাব। যারা থেকে যাবেন তারা কিছু না কিছু পাবেন।”

এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার প্রধান হিসাবে আছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
এছাড়া সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি, অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত প্রতিনিধি, রিসিভার হিসাব যিনি আছেন তিনি এই কমিটির সদস্য হিসাবে আছেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার চেয়ারম্যানকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। শ্রম উপদেষ্টা বলেন, “এই কমিটি বেক্সিমকোর ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করবেন। যতটুকু আমরা খবর পেয়েছি, ভালো কিছু হবে। কিছু কিছু লোক আগ্রহ দেখাচ্ছে। কমিটি সেটা আপানাদেরকে জানাবে।”